একটা ভোর। বাঙালির ইমোশন । একটা অসম্ভব ম্যাজিকাল ভয়েস দিয়ে শুরু হয়। রবিঠাকুরের মতো বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রও বাঙালির মজ্জায় ঢুকে গেছে। এঁকে ছাড়া আমরা ভাবতেই পারিনা।
নাহ্ আমি ইউটিউবের মহালয়া চালানো পাবলিক নই (আমার মতে সে তো সারাবছর শুনতে পারি, অনেকটা customised)। আমি আবার একটু সেকেলে। ভোর ৩.৪৫ এ উঠে পুরনো রেডিও ঝেড়ে মুছে চ্যানেল পাল্টে পাল্টে ঘ্যার ঘ্যারে আওয়াজ ওয়ালা চ্যানেল ধরে মহালয়া শুনি। আজকাল আবার অনেক পুজো মণ্ডপ আগেরদিন সন্ধ্যাতেই ক্যাসেট বাজিয়ে দেয়। সে এক বিরক্তিকর ব্যাপার। কাল তো রীতিমত ঝামেলা করে আমি গিয়ে থামিয়েছি। আচ্ছা বলুনতো আগের দিন রাত্তিরে "আশ্বিনের শারদপ্রাতে" চালিয়ে কি আনন্দ পাওয়া যায়! প্রথমত বলছে প্রাতে আর শুনছে সন্ধ্যায়! আর একটা কারণ হলো এই ভোর টা। পার্টিকুলারলি এই ভোরে শোনার আলাদাই আমেজ, আলাদাই ভাব।
সে যাই হোক এবারও আমার ছোটবেলার রুটিনের অন্যথা হয়নি। আমি আজও উঠেছি। মহিষাসুরমর্দিনী শুনছি। হ্যাঁ সেই রেডিও তেই! কিন্তু প্রতিবারের থেকে সবটা পালটে গেছে। একটা অভাব, যেটা সারাজীবন আমাকে বয়ে বেড়াতে হবে! সেই ছোটবেলার ঘুম ভাঙ্গানোর মানুষটা আমার কাছে নেই। সারাজীবনের মত। কোথাও গিয়ে একটা খুব মনখারাপ গলার কাছে জমাট বেঁধে আছে। এই প্রথম পুজো তোমাকে ছাড়া। কি জানি তুমি আজ শুনলে কিনা আমার সাথে! বাবা ভালো থেকো। খুব ভালো থেকো। Miss you baba!-
লিখে লিখে যাই
তবু নাহি পাই
কোথায় আমার শেষ..
#আমি_রাজেন্দ্রনন্দিনী