আজ বসন্তে ঝড় হয়ে এলে,কৃষ্ণচূড়ার ঝরিয়েছ ফুল।
অকাল বর্ষা,বেরঙীন বেশে,কালচৈতালী,ওড়ে এলো চুল।
নদীর ধূসরে ঢেউ তুলে এলে,কালো রাস্তার ধুলোবালি সব।
আকাশের মন খারাপের মেঘে, বৃষ্টি নামার ওঠে কলরব।
আমিও সামিল,একা গাঙচিল,
উড়ে যেতে যাই,তবু মুশকিল,
ডানায় মাখিয়ে সোঁদা গন্ধকে,তোমার শীতল পরশে প্রেয়সী, ভিজেছি ভীষণ আজ।
এ শহর জানে,ঝড়ের কি মানে;
ছেঁড়া কাগজেরা ওড়ে কোনখানে,
তবুও তোমায় জানাতে স্বাগত মেঘমলাটের সাজ।-
কিস ডে অথবা বিষ দে;
তোর বিষাক্ত ঠোঁটে নীলচে গরল,
সমীকরণটা বড্ড সরল,
নীলকন্ঠের মত নই,
আমি ফিনিক্স হয়েই লিখব
তুই লিখে নিস;
তোকে ধ্ববংসের বই
করে গেছি সই,
তাই দেবদাস নই,তোর কাছে হব নেমেসিস।-
নির্বাক স্বাধীনতা ভাষা খুঁজে পায়,দু'চোখের আলপথ ধরে।
ধুলোপায়ে হেটে যাই,
হয়ত খুঁজে বেড়াই,
চশমার পিছনের আড়াল দেয়াল;
সহজের সাথে থাকি,স্বরলিপি সাথে রাখি,
সুরেলা সফর শেষে, মাতাল অলির বেশে,
মধুপানে ছুটে চলা,ফের ভুল করে।-
তোমার রাত্রিজাগা শিবির ঘিরেই আমার মরূদ্যান।
কিছু শুন্যতা আর অপূর্ণতার চাঁদনী উপাখ্যান।
নাহয় কাব্য হয়ে থাকল লেখা জ্যোৎস্না রাতের চাঁদ।
এক সমুদ্র নোনতা জলের ভীষণ মিঠে স্বাদ।-
আবার যদি পাঠাই ডাক,চিরাচরিত কথার ছলে,
আসবে, নাকি এড়িয়ে যাবে,হিসেব করা গল্প বলে।
ঘুঘুর ডাকের দুপুর এলো,
চড়ুই পাখির সকাল ভোর;
অন্ধকারে হাতড়ে বেড়াই,
চাঁদ জোনাকির গল্প তোর।
গল্প থাকবে হলুদ পাতায়,
শুকনো ফুলের ডায়েরী ঘুম।
মাঝরাত্রে ঘুম ভাঙলে
মনখারাপের জ্বরের ধুম;
স্রোতের দিকে ভাসতে মজা,
উলটো পথেই সকল সাজা,
কাব্য হয়েও ভর করে ঠিক,
স্বপ্ন ভাঙা কাঁচের হুল।
প্যাঁচার চোখে রাত দেখছি,
মানুষ সেজেই করছি ভুল।-
যদি কথারা যায় নির্বাসনে,
ক্লান্ত দিনের শেষে;
শেষ রাত্রির উচ্চারণে,
অস্ফুট ঠোঁট হাসি।
সংলাপ কিছু একপেশে,
আর নিখাদ ছেলেমানুষী।
হয়ত হারিয়ে যাওয়ার এক যুগ পরে,
হঠাৎ করে
সময় ফেরত পাবো।
তখন সময় ঠিক আমাদের মত বুড়িয়ে যাওয়া।
কুড়িয়ে পাওয়া
অবসাদ রেখে দেব
আপন করে,গোপন ঘরে মনের।
শুধু লাভের অঙ্ক শুন্য এ প্রহসনের।-
তোমার মেঘের মত চোখ,
আমার পরাণে দুর্যোগ।
ঠিক বৃষ্টি নামার আগে,
কেউ রোজ রাত্তির জাগে।
হয়ত কথার মত প্রেম হারাবে বিকেল অস্তরাগে।
আমি কালপুরুষের মত,
অল্প কিছু তারা,
নিয়ে গল্প সাজাই একমনে
যা রয়ে যাবে অক্ষত।-
দিনের শেষে ক্লান্তি ঘুমের আগে,
কোন দোটানায় কে কত রাত জাগে,
ঘুম আসে না চোখের পাতায়,
চোখ পড়লে স্মৃতির খাতায়,
সরিয়ে ধুলো,আবার ছোঁয়া মন;
অস্ফুটে ফের গোপন উচ্চারণ।
থাকতে পারা বড্ড কঠিন,তাইনা?
ভুল ভেবে তাই থাকতে দিতেও চাইনা।
বুড়িয়ে যাওয়া সময় নিয়ে ফুরিয়ে গেল যারা,
ভাঙাগড়ায় ব্যস্ত সবাই,ভীষণ যাওয়ার তাড়া।-
নয় জোনাকি মিটিমিটিয়ে,জ্বলুক নিভুক, রাতের বাতি।
আঁধার ঘরে,সুখ হাতড়ে,স্মৃতির ধোঁয়াই নিত্যসাথী।
হলদে হওয়া ছবির মত,
খুব অচেনা বন্ধু যত,
এক নিমেষে যায় ফুরিয়ে,
ক্ষণিক আবেগ,মন পুড়িয়ে,
দহন জ্বালায় মৃত্যুমুখী,
গোপন থাকা বুকের ক্ষত।-
এমন নিঃসঙ্গ সকাল ঘিরে,
হিমেল হাওয়া,কুয়াশা চিরে,
মন ভিজিয়েছে শিশিরের কণা খুব গোপনে।
মৃত্যুমুখী হাইওয়ে কালো,
ঝাপসা দূরের হলুদ আলোয়,
তোমায় দেখি স্বপ্নভাঙা দুঃস্বপনে।-