QUOTES ON #প্রকৃতি_কলমে

#প্রকৃতি_কলমে quotes

Trending | Latest
30 JUN 2020 AT 9:06

সবুজের নেশায় বুঁদ পাহাড়,

হঠাৎ প্রচণ্ড রোদ্দুরে হাসতে থাকে ভেজা-ভেজা খামে...

কাটাকুটির অঙ্ক ভুলে তক্ষুনি হয়ে যাই মাজুলি দ্বীপের মতই নিঝুম

বর্ষা-শরত ওলট-পালট! আরেকখানা তিস্তানদী মনের কোণে

নীল ফুলের মতো অবাধ বিষণ্ণতা হয়তো গোণে

আমি তবু মুছে যেতে থাকি সমান্তরালে!

আমি তবু মশারির আড়ালে বাড়তে থাকি ধীরে ধীরে বুনোলতার জঙ্গলি ফুলে

শ্যাওলাধরা বন্দরে! তোমাদের থেকে বহুদূরে!

দেখো আমার নুব্জ অক্ষরগুলোর ছাপে কেমন ঘাসের তীব্র মেঠো সুগন্ধ!

অনেকটা পাহাড় রয়ে গেছে মুঠোর ভেতর, অনেকটা বন রয়ে গেছে!
- An Obscure Existence

-


13 MAY 2020 AT 8:31

জ্যোৎস্নাভেজা হিমঝুরি যে তীরে পড়ে,একা মধুকুপী ঘাসে
কিংবা ক্লান্ত পানকৌড়ির পায়ের শব্দে ফুটন্ত কাশে
শিহরণ জাগে! তুলোপাপড়ি তার পাটাতন, অলিগলি ধরে কবিতায়
কৃত্তিকা নক্ষত্র হয়ে আশ্বিনের স্মৃতিতে লিখতে চায়!
নদীর গায়ে বিবর্ণ নলখাগড়ার গন্ধ, পুরোনো বন্ধু হয়ে এসে
নৌকোকে বলেছিলো কথা তাদের, তারাদের ভালোবেসে
যারা আজ বহুদূর, ধুসর আকাশও স্বপ্নে একা
যে জন্ম নিয়েছে যুগে যুগে, তার কালপুরুষের রেখা
এখনও আছে জেগে; ছাতিমরেনুর নেশায় অন্ধকার
জলে স্থলে, নৌকো আর নদী আজ মিলেমিশে একাকার!

-


2 JUN 2020 AT 11:54

সেই চিঠিটা,

আমি লুকিয়ে রাখিনি স্বপ্ন দেখব বলে

সে নিজেই ডানা মেলে উড়ে গিয়েছে প্রজাপতির মতো!

হয়তো আকাশে আলো হয়েছে সে!

কাউকে কাউকে তো মুক্তি দিতে হয়, তাই না!

-


20 JUL 2020 AT 18:33

রাতদুপুরে ওই চিলেকোঠার নির্জন জ্যোৎস্না ছায়া ফেলে যখন শহর, তোমার মুখে

দোলনচাঁপা জানে, আলসের কোণে আঙুল বাড়িয়ে ছুঁই কেমন রোজ শ্রাবণমেঘ!

শ্রাবণমেঘকে আগলে রাখি নিঝুম স্বপ্নের ফ্রেমে! ও অনেকটা প্রজাপতির মতন

ফাঁক পেলেই জানালাকে গল্প... সেসব কত গল্প! গল্পের পরতে একআকাশ ঘুন

আমি ঘুম সেজে তার একটা দুটো ভাঙাচোরা বর্নও মিশিয়ে নিই! ওই ঝরাজলের মত বর্ন

জানো, শহর,তোমার নিয়নভেজা ফেরিঘাট, সাইকেল, কুয়াশা আমাকেও দিন-দিন করেছে ভীষণ জীর্ণ

অনেকদিন কংক্রিটের কিনারে বসে হয়তো কুড়োনো হয়নি স্কুলরঙা দুয়েক মুঠো বকুলফুল!

কি জানি! তবু খেলাছুট বিকেলে একফালি বারোয়ারী হৃদয়ের নিভৃতে খুঁজেছি পুরোনো কোনো ভুল

শতবর্ষজীবী পাকুড়ের শাখার অবাক রোদ্দুরের পিগমেন্টে গড়িয়ে যায় ফুটপাথের আঁচলে

পাপড়িঘন আকাশ চোখ তুলে রাখে আঁধারের দরজায়... শোনো কি তুমিও ছায়াপথতলে?

"আমার যে দিন ভেসে গেছে চোখের জলে!"
- An Obscure Existence



-


13 JUN 2020 AT 18:19

এই বিকেলের কাছাকাছি

আকাশের কোণে আষাঢ় আঁকড়ে দাঁড়িয়ে আছি

পকেটভর্তি চিনেবাদামের হলুদ ফুলের সুগন্ধে মিশে

রূপসা-মেঘনা লুকিয়ে আছে যে ওদের ক্লান্ত নিঃশ্বাসে!

মানুষের বন্দর অনেক দূরে, শহর আমার গল্পে মৃত

এখানে শুধু একলা বাঁচে পাহাড়ি জ্বলন্ত ইচ্ছেগুলো, বৃষ্টিসিক্ত

পোড়ো ডানাও শিহরত কাব্যের আস্তানায়!

জানি আমার বৃষ্টি ওই পাড়ায় আসে - যায়

তবু আমাকে কেউ রেখো না উল্লাসের বাঁধনে জড়িয়ে

আমাকে কেউ নিও না ওই সমাজে আবারো ফিরিয়ে!

আমি ছুটির চিরকুটে বিকেল মাখিয়ে নিয়েছি!

-


14 MAY 2020 AT 10:28

তার আনা-কানাচ! কবে যেন প্রজাপতিদের পাড়ার সেই জানালাটাতে রোদে জলে মরচের বিবর্ণ রং ধরেছে... আকাশটাও কবে যেন হারিয়ে গেলো! বুঝতে পারি না এখন এই শিশিরেভেজা শহরের গন্ধটা এত অচেনা কেন লাগে! বারান্দার কোণে জ্যোৎস্নাঝরানো পেয়ারাফুলের পাপড়ি আর ভিড় জমায় না! বহুদিন হয়ে গেছে, ওপারে, সে লাল অশোকে ঢাকা নদীটার রূপকথা শোনায়নি কেউ! রামধনু প্যাষ্টেলের বাক্স চাপা পড়ে আছে শ্যামাঘাসে, বৃষ্টি আর দুর্গাটুনটুনির পায়ের চাপে এলোমেলো হয় তার নীরবতা... অনেকদিন যেন শাঁখের শব্দ কানে আসে না শরপাতার আড়ালে লুকোনো সেই পোড়ো মন্দির থেকে! এখনো কি বর্ষার মেঘ উঁকি দেয় সেই শিকে,কপাটে, শরতের একটুকরো চাঁদ? খুঁজতে থাকি রাস্তাদের, দরজা, সেই পেছনের জানালাটা! হঠাৎ দেখি, এতদিন খেয়ালই হয়নি কবে যেন সেই খোলা পাল্লার পাশে লোহার উপর জন্ম নিয়েছিলো এক অঙ্কুর! চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকি, অদম্য বুনোলতার জালে আচ্ছন্ন হয়ে গেছে আমার অতীত! ছায়া নামছে বুঝি স্মৃতির উঠোনে! অবশ্য একদিন তো সবই শেষ হয়ে যায়!

-


13 MAY 2020 AT 19:15

সে জ্যোৎস্না অনেক পুরোনো আজ,প্রাচীন মহাকাব্যের মত
একলা আঁধারি ঘরে তার আলো টলমল আবছায়া যত
উঠে আসে বারান্দায় সহস্র প্রজন্মের অতীত থেকে...
শাঁখের শব্দটা ভীষণ পরিচিত! একে একে
হিম জমে নিভে যায় তারার দল,একলা চাঁদ জেগে
স্বপ্ন দেখায় অনাগত কোন ভবিষ্যতের আবেগে!
মৃত্যুও যেন কুয়াশার মতো ঝরে যায়, মৃত্যুজড়ানো খাতার পাতা
জুড়ে ফুটে ওঠে ব্রহ্মান্ড, রহস্যকবিতা!

-


19 JUN 2020 AT 18:14

সবুজে হারিয়ে,
অন্ধকার সবুজ হয়ে ওঠে
সবুজ নির্মম, নির্জন

-


13 MAY 2020 AT 18:56

টুপটাপ অন্ধকারে বিলের কোনায়, কানাচে, ঘাসে ঘুম যেন উঁকি দিতে চায় মিহি রুপোর সুতোয়! নিশ্চুপ অশ্বত্থ একা দাঁড়িয়ে থাকে, ধুসর কুয়াশায় তার শিকড়ে শিকড়ে পুরোনো ব্যথার মত ইতিহাস বুঝি কথা বলে! জলে ডুব দিয়ে লাজুক লজ্জাবতীর মত নরম আকাশের কোণে একটুকু চাঁদ, পারূল-জারুল, কাঞ্চনে মধু খুঁজে চলে যে ভোরের মৌটুসি তাকেও কি চেনে শহুরে ডাকবাক্সটা! তারও ছিল কি কোনো চিঠি, অক্ষরের ভিড়ে যা কোনোদিন পৌঁছয় নি ঠিকানায়! শীলাবতী একা হয়তো পড়েছিল সে চিঠি! মাধবীলতার সুগন্ধমাখানো রাতটা থমকে ভাবে, এস্রাজের তারে বাঁধা তারাটার পায়ের শব্দ শুনে মুখ তোলে সুতীব্র নৈঃশব্দ! অট্টালিকার প্রান্ত থেকে অনুভব করি আমিও ওই আলোর কিনারেই! ধীরে ধীরে যেন দূরে সরে যাচ্ছে কাচের শহর, কাছের শহর! মৌটুসির মতো!বিবর্ণ কারখানার ম্লান কুয়োর জলে ততক্ষণে জন্ম নিয়েছে একটা কবিতা, এক মুঠো জ্যোৎস্না! সীতাহরনের ফুলের মত জ্যোৎস্না! অস্তিত্বে শিশির আর চাঁদ মেশাই, তাকিয়ে থাকি কুয়োর দিকে, চাঁদের আলোর বোধহয় কোনো ভাগ নেই! পাথরের জীর্ণ শিরায় ওই যে জ্যোৎস্না বইছে, শ্রাবণ হয়ে... শুনতে পাচ্ছি...

-


29 MAY 2020 AT 10:19

এক চিলতে রোদ্দুরের চোখে দেখেছি

ঝরে যাওয়া সোঁদালের ক্লান্ত হাসি

তোমার শহরের ব্যস্ত স্ট্রিটলাইটের রোশনাই

কেড়ে নিয়েছে সূর্যের অধিকার তার থেকে

বনের সোঁদালফুলকে ছাড়া শহুরে সূর্য আজও অসম্পূর্ণ

আলো তো জ্বলে, আলোর তালে ছন্দ মেলে কই?

দিতে পারো ফেরত সে সবুজ গ্রহের স্বপ্ন?

-