হঠাৎ কেন মেঘ আজি করছে অভিমান
মন খারাপের অভিনয় নয়গো অকস্মাৎ।
সদল বলে যায় উড়ে মেঘ রাজের আদেশ মেনে।
হেথায় হোথায় ঘুরিয়া বেড়ায় অম্বর মাঝে
মেঘের বুঝি করলো হঠাৎ মন খারাপ ক্ষিতিজ এর টানে।
উড়ে উড়ে ক্লান্ত কায়া ছুটছে আশ্রয়ের খুঁজে।
উদ্বাস্তু জীবন মেঘলা মন শেষ বেলার ঠাই
পাবে কি কখনও।
তাইতো চুপ করে পর্বতশৃঙ্গে সন্ধি করে নিজেকে লোকায় এখনও।
লেখক প্রাণেশ রঞ্জন গোস্বামী (পরিখা)-
যে বন্ধুত্বতায় আপনত্বের রয়েছে গরমিল।
মিষ্টতার অভাব যেখানে তার সাথে কিসের মিল।
বাতাসে যেথায় প্রেমের আসে না গন্ধ।
ভালোবাসার মাঝে যার সনে অবাধ দ্বন্দ্ব।
তার সনে কিভাবে টিকবে অগাধ বন্ধুত্ব।
সরলতায় অনুমানের প্রমাণ যেখানে মিলেনা তত্ত্ব
যে বন্ধুত্বতায় আনেনা দেহ মনের শান্তি।
চারিদিকে বিলায় হিংসা দ্বেষ আর অশান্তি
ঐ চৌকাঠ হতে তাড়াতাড়ি চলো ফিরে যাই
বিপদ ঘনিয়ে আসার আগে নিজেকে বাঁচাই
বন্ধু শব্দের মানে দু মনের অন্ত মিলের ছন্দ
সারাজীবন ভীষণ পরিস্থিতিতে হয় না দ্বন্দ্ব।
লেখক প্রাণেশ রঞ্জন গোস্বামী (পরিখা)-
তারিখ- ১৪/১২/২০২২
সময় কঠিন পরিস্থিতি জটিল।
সবকিছুই চলছে দিয়ে গোঁজামিল।
ক্ষণস্থায়ী জীবের চিরস্থায়ী পরিকল্পনা।
মুখ্য কারীগর যেথায় রয়েছে মরা অজানা।
এই সময়, কঠিন কার্য্য সিদ্ধির কি করে হবে সাধনা।
এসেছে সময়, কঠিন সমাধানের হয়গো মুস্কিল।
বিচারের তরে যাবে কোর্টে বিচারক দেয় দরজায় খিল।
অপরাধী উল্লাসে মাতোয়ারা হয়ে টাকার ফুটানিতে চলে।
এই বিষম পরিস্থিতির পরিবর্তন আর কি হবে।
মাছ চিপে তুলে মানুষ ধরে খাবে।
এমনি সময় আসিবে একদিন সম্মুখে
পথে পথে শৃগাল কুকুর ক্ষুধার তাড়নায় মরিবে।
ধ্বংস স্তূপে দাড়িয়ে অসহায় চৌদিকে তাকাবে - - - ।
ভালোবাসার বিনিময়ে খালি হাত শুন্যে হিলাবে
অপরিসীম যন্ত্রণার বহিবে পারাবার বন্ধ মূখ সহ্যে থাকিবে।
ধৈর্য্যের সীমানায় নিজেকে আর কতক্ষণ দাড়িয়ে রাখিবে।
-
ভেসে গেছে কত বই উত্তাল প্লাবনে
উড়িয়ে নিল কত বই জীবন্ত ঘূর্ণি ঝড়ে।
ভাগ্যের পরিহাস দোয়াত গেল ভেঙে।
কলমের কালি ও শেষ।
লিখা যাবে না বিধি লিপি আর কিছুতে।
তবুও করছি প্রয়াস চলছি এগিয়ে।
করিতে আয়ত্তে,ভেসে যাওয়া বই গুলি, একত্রে।
ভরে ছিল কাগজের পাতা উদ্বাস্তু মনের গাথা।
ভেবেছিলাম অশ্রু ঝরা বুকে করিব প্রকাশ।
এলো না ঐ সুযোগ পেলাম না আর অবকাশ।
লেখক প্রাণেশ রঞ্জন গোস্বামী (পরিখা)
-
কবিতা- উড়ে যেতে মন চায়।
তারিখ - ০৪/০২/২০২১
মন চায় উড়ে যেতে ঐ পাহাড়ী চুড়ায়
নির্জন প্রান্তরে গড়িতে আশ্রম চরম বেদনায়।
লোকারণ্যের বেদনা আর সহানুভূতির
করুণআর্তনাদ।
কর্ণে বেজে উঠে বার বার এ হেন চিৎকার।
মনে হয় এ যেন কোন তিরস্কারের শংখনাদ।
মানব কুলে এসেছিলেম একসাথে
করিতে বসবাস।
অক্ষম আমি তাইতো চলেছি একাকী বনবাস
বনবাসী হয়ে পাহাড়ী উপকূলে
করিব নিশ্চিন্তে জীবন যাপন নীরবে।
লোভ মোহ অহংকারের দিব জলাঞ্জলি
পাহাড়ী ঝর্ণার জলে।
আত্মা করিবো শুদ্ধীকরণ ঐ পাহাড়ী গায়ে।
সুসজ্জিত শ্যামলী মোহনায় বনফুলের আঙ্গিনাতে।
ধন্য হবে জীবন মেঘরাজ দিবে ছত্র ছায়া।
তবেইতো সার্থক পাহাড়ী বুকে পালিত এ রুগ্ন কায়া।
দীর্ঘ দিনের শত যন্ত্রণার হবে সমাপ্তি।
মনুষ্য মনের দীনতাই মানবের মুখ্য অশান্তি।
-
হাসি মুখে যুদ্ধ জয় করবো মোরা।
ধীর স্থির পথে হবো অগ্রসর।
করবো না যুদ্ধ অস্ত্রের আঘাতে,
কুটনৈতিক পথে বুদ্ধির জোরে,অগ্রসর হয়ে।
যুদ্ধ করবো জয় হাসি মুখে।
কেন হিংসার আশ্রয়ে যুদ্ধ করো দৃঢ় পণে।
লোভ লালসায় বশীভূত হয়ে।
কি পাবে কি হারাবে
বন্ধু বান্ধব আত্মীয় স্বজনে আহুতি দিয়ে।
লাভের গুড পিঁপড়ে খাবে,
অযথা কাঁদিবে পাষাণে মাথা ঠুকে।
বিরহ বিধুর চিত্তে ফিরিবে নিলয়ে
যুদ্ধের শেষে কুড়িয়ে নিবে ছাই
মাখিবে অঙ্গে।
বিজয়ের শংখ বেজে উঠিবে অশ্রু বিসর্জনে।
লেখক প্রাণেশ রঞ্জন গোস্বামী (পরিখা)
-
ফিরতি পথে মেঘের দল চলছে আকাশ জুড়ে।
চিন্তিত চিত্তে অন্বেষণে ফিরিছে নিলয়ে।
নিশ্চল তবে কেন পবনের সাহারা পেয়ে।
উড়ে যেতে মন চাহেনা বুঝি সখ্য মিলনের অভাবে।
কতো কপাট প্লাবিত হবে কতো ঝরিবে অগাধ পরশ্রীকাতর হয়ে।
পাষাণ হৃদয়ে জাগিয়ে কামো উচ্ছ্বাস
ব্যথায় আতুর তন বিহ্বল করে সম্পূর্ণ করিলে।
কোমল অশ্রু বরিষনে উত্তাল নৃত্যে ফিরতি পথে যাওরে মেঘের দল।
চায় না মিলন যন্ত্রণায় যাতনায় অতিষ্ঠ মন।
বেবাক প্রকৃতিতে নির্বাক প্রাণী চায় না অতি বৃষ্টি
তাইতো চুপটি করে যাও ফিরে সৃষ্টি কর নব কৃষ্টি।
উদাসী চিত্তে দু হাত তুলে গাইছে গাজন।
যাও ফিরে যাও ফিরতি মেঘের দল।-
নদী করছে সন্ধি
তারিখ ১৭/৬/২০২২
মাঝি বাইয়া চলো উজান টানে
শক্ত করে ধরো হাল নদীর অন্তরাতে
নদী করছে সন্ধি নৌকার সনে
মাঝি এ কুল ও কুল দু কুল ছেড়ে।
চলছো মাঝ দরিয়ার মাঝে।
শক্ত করে ধরো বৈঠা যেন হাল না যায় ছেড়ে।
মাঝি নদী যদি করে নৌকার সাথে সন্ধি
হতে পারে এ তার কোনো নুতন অভিসন্ধি।
শক্ত হাতে ধরো মাস্তুলে দাও পাল তুলি।
অকপটে দিশার তোরে করোপবনের সনে সন্ধি।
নীরবে নিশ্চিন্তে যাবে বেয়ে
এ ভাঙ্গা তরী ভব নদীর স্রোতে।
দেখবে গাঢ় তমসার মাঝেও
নৌকা নদীর তালে তাল মিলিয়ে
পৌঁছেছো একদিন বৈতরণীর ঘাট পেরিয়ে।
বৈকুণ্ঠ ধামে।-
ভুলে থাকবো তোকে কাজের ফাঁকে।
ঐ হরিণী দৃষ্টিকে ভুলে থাকবো কি করে।
ঝিরি ঝিরি বৃষ্টির ফোঁটাতে দুনয়ন খোঁজে
হেথা হোথা হদিস নাই যার সুদূর প্রান্তে।
দিগন্তের ও পারে আঁকাবাঁকা পথে।
বেদনায় কাতর হিয়া উচাটন করে কায়া।
ভাবিয়া ঝরে আখিঁ কোথায় পাই তোমা সখী।
কোথায় তুমি আছো লুকিয়ে কোন অন্তর্বাসে।
অন্তর্জালা মিটাতে ভুলে থাকি তোকে
সারাক্ষণ নিজ ব্যস্ততার মাঝে।
কি করে ভুলে থাকবো তোকে
যে প্রতিদিন সারা দিয়ে যায় মনে।
লেখক প্রাণেশ রঞ্জন গোস্বামী (পরিখা)-
আমরা ভয় পাই না
ভীষণ উল্লাসে এগিয়ে যেতে।
উত্তুঙ্গ হিমালয়ের শিখরে।
প্রজ্বলিত করেছি বিজয় প্রদীপ।
রত্নাকরের বুক চিরে চলেছি ধেয়ে।
বিনা সংকোচে বিনা ভয়ে।
আমরা ভয় পাইনা তাইতো দিয়েছি হানা।
ঘাটীর অপারে উগ্রবাদীর চক্রব্যুহুতে বেধেছি নিশানা।
মহাসংকটে আছি প্রস্তূত সংগ্রাম করিতে
হাতে হাত ধরে একসাথে।
আমরা পাই না ভয় মহাশূন্যের
অপারে লভিতে বিজয়।
তবুও আসে ভয় জাগে কিছু সংশয়
গুপ্তচর স্বার্থের টানে শত্রুর সাথে
হয় যদি বিলয়।
তবুও মানবো না হার স্বীকার করবো না পরাজয়।
-