【 ৩ 】এর পর
কয়েকশ-লোকের ভিড়ে চোখ থমকে গিয়েছিল তার চঞ্চলতায়,মহুয়ার আতর মেখে,
পুরুষালী হৃদয়-জয়ে বেরিয়েছিল সে,সত্যিই কেউ যেন শীতের শহরে বসন্ত এনেছিল ডেকে,
শক্ত পায়ে এগিয়ে গিয়েছিলাম সামনে,কথা বলতে পারিনি,মোমের মত গলে গেছি পথে,
সাহস নিয়ে ঝরাপাতা মাড়িয়েছি আরোও কয়েকবার,বোঝা যায় এইপথে ফিরে গেছে অনেকে...,
পথিক জানে,অপরিচিত এক উষ্ণ-ছোঁয়া আস্কারা দিয়েছিল,মনের শীতকাতুরে স্বভাবের বিপরীতে,
পাশাপাশি বসে যখন পরিচয় বেঁধেছিলাম,সমস্ত লোমকূপের অজানা অনুভবে ভিজেছিল,সামন্ত,
দুঃস্বপ্নে আধখাওয়া সাদাকালো চোখে তখন বেবাগী,সে রোজই এক রঙ্গীন স্বপ্ন বুনেছিল,
স্বপ্নে-বিভোর যখন জড়িয়েছি নিজের অন্তপান্ত,সেটাযে মাকড়সার জাল ছিল কেই বা জানত!
(চলবে)-
অজান্তেই নিজেকে খুন করে ফেলি,
দুপুর রাতের অন্ধকারে ধুয়ে ফেলি একফালি কাটা চাঁদ...,
রক্তের দাগ থেকে যায় তবু,ভাগ্যের পরিহাসে,
হাসি দিয়ে সেলায় করি রোজ,জীর্ণ মনের ভাঙা বাঁধ।
ডুবে যায় কাটা-ছেঁড়া লাশ,বেনামী কিছু কথা বুকে গেঁথে,
যা অপ্রকাশিত,মিশে যায় সময়ের ঘন তরলের সাঁসে,
চাইলেও তখন পূরাতন অবয়ব,পাওয়া যাবেনা যেদিন,
পচাগলা অখাদ্য ভালোবাসা লেপ্টেছে এক মানবী-র আঁশে।
(চলবে)-
【 ২ 】এর পর.....
গোধূলির লালে তর্জনী ডুবিয়ে,স্বীকারুক্তি লিখি তার উন্মুক্ত শরীর-কাগজে,
ভাঙা-মনের ক্যানভাসে ফের ভেসে ওঠে,ডুবে যাওয়া প্রেমের হাড়-পিঞ্জর,
সেই হাড়গুলোর অগ্নিকুন্ডতেই-তো আমি,শয়তানের কাছে আহুতি দিয়েছি তাকে,
চরম-মৃত্যু নামিয়েছি এঁটো ঠোঁট হতে কপালের ভাঁজে,সরলরেখায় টেনেছি খঞ্জর..
ভালোবাসার চোখদুটিতে চুম্বন এঁকে,প্রেমিকাকে শুইয়ে দিয়েছি চির নিদ্রায়...
শান্ত-সিঁথি বেয়ে রক্ত-বন্যা যেন আমার হাতেরই সিঁদুর! ভাসিয়েছে অনাবৃষ্টির দুকূল,
আলো-আঁধারির মাঝে সিগারেটে দীর্ঘ টান,ধোঁয়ায় মুছছে রক্তিম উপাখ্যান,
মনে জাগে এমনসময়,ঝরাপাতার মরসুমে,এক-যুবকের হৃদয়ে গজিয়েছিল প্রেমের মুকুল।।
(চলবে)-
【 ১ 】এর পর....
তাকে এমন-রূপ ভালোবাসাটা ছিল,যেন পূর্বনির্ধারিত,ভবিতব্য...
শীতঘুমী আবেগগুলো এতটাই দ্রাব্য যে ,বহুজন্মের পরিচয় নিয়ে বাঁচে....,
দেখেছিলাম তার কামুকতার সীমা,বিষ-পুরুষের সাথে উত্তম সঙ্গমে,
মস্তিকের শিরায় প্রতিশোধ-আগুন জ্বলছিল,রক্ত ফুটছিল তার আঁচে।
"কতটা ভালোবাসলে শরীর থেকে উপড়ে ফেলা যায়,প্রিয়মানুষটির হৃদয়!!
তার মৃত ঠোঁটে ঠোঁট রেখে,আঁকা যায় এক সত্যিকারের ভালোবাসার গল্প!"
মনে পড়ে ঠিক ততটাই,গাঢ় ষড়যন্ত্র হয়েছিল সেই রাতে,যোনির তরল খেয়ে,
নেশা করেছিল তার রাতের-পুরুষ,বুঝিয়েছিল আমিই ছিলাম তার বিকল্প!!..............(চলবে)-
【 ৪ 】এর পর
মরুজ-ঠোঁটের ওপর এক বিস্ফোরণ ঘটে যায়,সিগারেটের শেষ-টানে শুকোয় আলো,
চেনা-শহর ঠিকই নজর রেখেছে,নোনতা শরীর বেয়ে গড়া,সমুদ্রের রাশিতে,
সবকিছু অগ্রাহ্য করে হাঁটছি বিদ্রুপ-অট্টহাস্যের স্টেজ দিয়ে,পিছনে আঁকা আলপনা,
যেন এক অপদেবীর জাগরণের প্রক্রিয়াকরণ,রক্তভেজা জামা সুড়সুড়ি দেয় শীতে...
কানে আসে মাটির দু-হাত নিচের আবেগত্তুর নিশির ডাক,পরিচিত প্রিয় স্বর অথচ ভয়ঙ্কর..,
পিছন ফিরলেই সে বুকে গেঁথে দেবে মৃত্যু,কণ্ঠদেশে বিষদাঁত রোপণে চুষে নেবে প্রাণশক্তি,
কবর খুঁড়ে কেউ মুক্ত করেছে তাকে,উপাসক এক,-একটা খন্ড সেলাই করে জুড়েছে অশরীরী,
ভয়াল ঢেউয়ে প্রেম মুছছে,দৌঁড়েছি চারদেওয়ালের অন্ধকারে,গা-ঢাকাতে বেড়েছে আসক্তি।।
(চলবে)-
【৫】 এর পর..
ক্ষয়িষ্ণু-রাতের কোলে মাথা গুঁজেছি যখন,ভিজেছে বালিশ আর্দ্র-চোখের নিম্মচাপে,
সম্পূর্ন-উপন্যাস যেন রক্ত দিয়েই লেখা,বিছানায় উলঙ্গ-নারীদেহ জড়িয়েছে আবার অভিশাপে,
জানি,কল্পনার এক পৈশাচিক কারুকার্যে নিবদ্ধ হয়েছি অজান্তেই,খুনির চক্রান্তে মস্তিস্ক খুন,
আপোষ করেছি প্রিয়সীর আঁশটে গন্ধ মেখে,চিতা সাজিয়েছে বিছানায়,পুড়ছি এখন অনুতাপে.....।
পূবের আলো মনের অন্ধকারে আঁটকে যায়,নির্মম সত্য অনায়াসে গলধঃকরণ হয়না আর,
মানুষের নেশা যে মারাত্মক,মৃতুর ওপারে গিয়েও পুরাতনী একঘেয়েমী ভালোবাসা পেতে চাই,
এক বিষধারীনির কামড় ধীরে নিস্তেজ করছে আমায়,কাল হয়তো হবে চাক্ষুষ হত্যাকাণ্ডের পর্দাফাঁস,
রটে যাবে এক যুবকের অপ্রেমের ইতিহাস,জর্জ সাহেব! ভিতরের পঁচা-লাশ বিচার চাইবে কোথায়?"
"""""(সমাপ্ত)-