তারপর থেকে সুমনের বাড়ির দুর্গাপুজোই হোক বা নাফিজার বাড়ির ঈদ কোনোকিছুতেই তারা সামিল হয়নি,তারা তাদের মতো একটা আলাদা পৃথিবী তৈরি করে নিয়েছে ততক্ষণে।
-
করছি বড়াই,গড়ছি সভায়, মহামানবের আদর্শ;
লড়ছে লড়াই, মৃত্যু শোভায়,চিলতে ভ্রূণে নারীত্ব।
বলছি সবাই 'রঙ মানিনা',মাখছি কলম মাহাত্ম্য;
'পণ'এর প্রণাম লিখছে প্রমান, সৌন্দর্যের দাসত্ব।
মানছি ত্বরাই,রাজনীতি-ছাই,ভাঙছি স্বদেশ শাশ্বত;
লড়ছি বৃথাই, মরছে সেপাই,স্বাধীনতা তবু শাসিত।
পড়ছি ঝুঁকে,ধর্ম সুখে,পাথর কিংবা চাঁদ'ই হোক;
গর্বে বিলাই সহানুভূতি,কেউ বুঝিনা মায়ের শোক।
সুনাম কিংবা দুর্নামই হোক "মানুষ" হচ্ছে চর্চিত;
কাগজ কলমে,নৈতিকতায় মিথ্যে মানসিকতা বর্ণিত।-
এখানে জীবন শেষ হয়না;
বাতাস বইলে দু'একটা পাতা ঝরে পড়ে শুধু।
ওরা জানেনা..
আমারও জানলার বাইরে একটা মর্গ আছে।
রোজ লাশের স্তূপ জমে।
চিক চিক করে পাতা দোলে।
শুধু ফুলের গন্ধ আকাশ ছুঁতে পারেনা।
আমি জানি..
এবার ওরা আকাশ হয়েই জন্মাবে।
-
এলিয়ে রাখলে যা রাত হয়ে ফেরে পিঠের ওপর;
"বোঝা" বললে তা হবে কেবল,দায়সারা।
কাঁচ ভেবেও যাকে ভেঙে ফেলা যায়না,নিরুত্তর
মৃত্যুর মতো অবিকল।
নাকের ডগায় পুষে রাখলেই হাজার রকম বায়না;
আমি ভিজতে চেয়েও জমিয়ে রাখি জল।
ঘর-দোর জুড়ে জারি থাকে নির্ভয়,
চুপি চুপি আসি দক্ষিণী জানলায়।
যা কিছু স্তব খোলা যায়নি কান্নায়,
ভেজা কাঁচ বেয়ে ঝরে, স্বপ্নের রঙিন ভাবনায়...-
মেয়েটা বোঝেনা পিরিয়ডস'এর মানে,
ছেলেটা জানেনা কাকে বলে দাম্পত্য।
বছর ঘুরতেই প্রেম বুড়িয়েছে,মায়ায় জড়িয়েছে মাতৃত্ব।
দের কেজি শিশুর ওজন,খুব রিস্ক,পুষ্টির অভাব;
ট্রিটমেন্টে রাখতে হবে যে..কি করে বাপ?
মেয়েটি চুপচাপ।
শয্যায় ঠোঁটে ঠোঁট মেলেনি বহুদিন..পুরুষ মন;
কিছুটা জবরদস্তি...,এভাবে আর কদিন!
এখন শহরের কালো গলিতে ছেলেটির আনাগোনা রোজ,
অবাঞ্ছিত মাতৃত্বের মায়ায় মেয়েটির যৌবন চিরতরে নিখোঁজ।-
সুনসান রাস্তায় হানা দেয় দস্যু,
মাঝ রাতে জ্বর ওঠে,বের হয় অশ্রু;
ফাঁকা তালে একা পেলে জাপটিয়ে বেশ ধরে,
আমি ভাঙি টুকরোতে,টুকরোরা ভেঙে পড়ে।
পড়শীরা সুর তোলে..'হর হর মহাদেব',
আমি জপি জপমালা,বুকে ভয় মুখে টেপ।
তারপর দিন যায..রাত হয়,দিন হয়,
ভেঙে পড়া টুকরোরা একে একে জড়ো হয়;
"আর নয়"_ বলে ওঠে বালিশের ভেজা রঙ,
নিশ্বাসে ঝড় ওঠে,অশ্রুতে শ' বারণ।
একা হাঁটি ফাঁকা মাঠে, দস্যুরা পিছে আসে;
আমি বলি,"সাবধান"_'সহ্যেরও সীমা থাকে'।-
হাতে হাত জুড়ে দাও তোমরা,
তবু তালি লাগেনা মন খারাপের গায়ে
জমতে থাকে শুধু..
ভাবি জমতে জমতে পাথর হবে হয়ত,
গর্জাবে তারপর..
ব্যারোমিটার এ পূর্বাভাস মেপে আশঙ্কায় বর্ষাতি জড়াও গায়ে,,
আমি তখনও খালি পায়ে..
হেঁটে যাই, আরও অনেক দূরে ঘর-দোর ফেলে রেখে।-
রওনা হই খেলনা বাটি গুছিয়ে,
ভেজা শহর
আলসেমি ছুঁয়ে থাকে।
খোলস পুড়িয়ে,বিদঘুটে গন্ধ..
মাখে ওরা
আমি জড়িয়ে ঘুমাই মা'কে।
খুঁজে এনে দেয় ভেজা দড়ি একখানি,
নিংড়ে মেটায়
লোহা লক্কর, আমরা কি অত বুঝি।
বিদেশি প্যাকেটে ভরে এনেছি ক্ষিদে।
৭-৮ মাস হয়ত
ওরা কাঁদে,আশ্রয় খোঁজে একমুঠো দুধ-সুজি।।-
ছুঁড়ে ফেলে দেব লাল-নীল সব আড়ি।
বেরঙিন হব, একদম সাদাকালো।
ছেড়ে যেতে যেতে জমকালো কোনো রাতে
নরম পেরিয়ে তরবারি হওয়া ভালো।
পথের ওধারে আস্ত মরুভূমি,
বাষ্পীভূত জলের ওজন ভারী।
কোনো মধুরাতে কলঙ্ক হই যদি,
ছেড়ে রেখে যাবো আলতাপেড়ে শাড়ি।
মেখে নেব এক হলুদ বিকট আলো
পাতাঝরা কালে মশাল জ্বলন্ত।
কয়লা পড়ানো গন্ধ ঢেলে দিও
সাজিয়ে নেবো ধূসর বসন্ত।-
হৃদয় জুড়ে বসন্ত রোগ,
টীকার খোঁজে বিজ্ঞানী।
ওভারডোজ এর প্রতিক্রিয়ায়;
ফলাফল শ্লীলতাহানি।।-