বিশ্বাসের কেরামতি
ধার্মীকের ধর্ম হল এমন বর্ম
এতে স্বাস্থ্য, স্বার্থ এবং স্বর্গ
নিষ্ঠা ভরে পালন করলে
তিন-ই নাকি হাতের মুঠোয়!
প্রথম দুইয়ের কেরামতি
না মিললেও নেই যে ক্ষতি
অনাহারে গেলেও মরে
তৃতীয়টি হাতের মুঠোয়!
এই আসাতেই জগৎ ভুলে
ধর্ম-ধ্বজা চাগিয়ে তুলে
অপুষ্টিতে অক্কা পেলেও
স্বর্গ পাবে হাতের মুঠোয়!
থাকবে আরও খানাপিনা
থাকবে যেটায় স্বর্গ কিনা
বিনা পয়সায় প্রাসাদ পাওয়া
এক্কেবারে হাতের মুঠোয়!
আয় চলে তাই জগৎ ভুলে
যুক্তি তর্ক শিকেয় তুলে
ধর্ম-সুরায় মন ভেজালে
বেহেস্ত কিন্তু হাতের মুঠোয়!-
প্রিয় পিএম,
একবুক আশা নিয়ে
পাহাড় ডিঙোতে চেয়েছিলাম আমি,
ওই দূরের সবুজের গায়ে
যেখান ফেরিওয়ালার স্বপ্ন ফেরি চলে
একবুক ভরসা নিয়ে
ফুরফুরে বাতাসে ভেসেছি আমি
ওই দূরের টিউলিপের ছায়ায়
তোমার সে-স্বপ্নের শ্বাসে ভিজবো বলে
একবুক বিশ্বাস নিয়ে
তোমার পাশে বসেছিলাম আমি
ওই ওওই একচালা কুঠিতে
বাঁচবো বলে তোমার ভাসনের ভরসায়
কিন্তু একি হল পিএম,
কেমন বেটি আমি, যে বাঁচার স্বপ্ন
দেখার অধিকার হারালাম!
উত্তর আছে তোমার, বোঝাবে আমায়!
ইতি,
তোমার বেটি-
সবার থেকে দামি আমি সবার থেকে ভালো
ভাবি আমি বল যখন বাসবে তুমি ভালো
বৃষ্টি হয়ে তোমার চোখে
যখন ঝরি অঝর ধারায়
আলো হয়ে রাঙিয়ে শোকে
চিবুক ছুঁয়ে আঙুল ছাড়ায়
সুখের পরশ হৃদয় ছুঁয়ে মন করে দাও আলো
বুঝি তখন, আমার চেয়ে তুমিই অনেক ভালো
মেঘলা দিনে মেঘ হয়ে যেই মন করে দেয় ভারি
খুশির আলো হয়েই তুমি মন খুলে দাও আড়ি
ছায়া হয়ে ভাসো ভালো
ছাতার মত হয়ে আলো
সঙ্গে চলো, সাথী সাথে
সঙ্গে থাকো, আঁধার রাতে
মনের আকাশ ভরিয়ে দাও হয়ে চাঁদের আলো
বুঝি তখন, আমার চেয়ে তুমিই অনেক ভালো
-
আকাশ কালো মেঘের ভেলা
সকাল কিম্বা সন্ধ্যাবেলা
চলছে দেখ বকের পাখায় ভেসে,
দিচ্ছে পাড়ি এদেশ ছাড়ি
অচিন দেশে মামার বাড়ি
যেই-খানেতে, আকাশ মাটি মেশে।
আকাশ মাটির মনের কথা
জল করেছে বুকের ব্যাথা
মুখের কালো দূর করেছে বেশ,
ভাদ্র এসে ভদ্র বেশে
আশ্বিন তার সঙ্গে মেশে
শিউলি-কাশে ভরিয়ে দিল দেশ।
শরৎ এলো হাওয়ায় ভেসে
শিশির তারই সঙ্গে মেশে
ঘাসের ডগায় রুপোর নাকের ফুল
শরৎ আনে নতুন মানে
দোয়েল শ্যামার নতুন গানে
বাবুই বোনে নতুন কানের দুল
কমতে থাকা বিলের জলে
ডাকপাখিরা হেঁটে চলে
পানকৌড়ি ডুবমারে মাছ ধরতে,
এমন মাসে দুর্গা আসে
লক্ষ্য থাকে অসুর নাশে
মুর্খ চোরা মর্তে আসে মরতে।
------------****-------
বাজি
আসছে বছর আবার হবে হবেই সেটা জানি
কিন্তু যেটা মানি না
এবং কেন জানি না
বিকট শব্দে যখন বাজে
কোলের শিশুর সয়না তা যে
জেনেও কেন পোড়ায় বাজি স্বাস্থ্য করে হানি।-
সাথী,
আগামী ১৫ ই আগষ্ট 'বাংলা সাহিত্য' প্রকাশ পেতে চলেছে নতুন রূপে, নতুন সাজে। এই নতুন রূপের রূপ-সজ্জায় আপনার সুকুমার বৃত্তির মূল্যবান ছোঁয়া 'বাংলা সাহিত্য' আশীর্বাদ রূপে পেতে চায়।
আপনি আপনার 'স্নেহের ধন সোনার মানিক'কে পাঠিয়ে দিন আমাদের ঘরে। আমরা অত্যন্ত স্নেহের সঙ্গে সাদরে স্বাগত জানাতে উন্মুখ হয়ে অপেক্ষায় আছি।
আমরা কথা দিচ্ছি, এই পরম-প্রিয় সৃষ্টির কোনো অমর্যাদা হবে না। যথাযথ মর্যাদায় আপনার সৃষ্টি জায়গা করে নেবে আমাদের 'বাংলা সাহিত্য'-এর সাহিত্য সংসারে।
তবে আর দেরি কেন? এখনি পাঠিয়ে দিন আপনার সোনার মানিককে আমাদের এই ঠিকানায়।
Email : banglasahityaali@gmail.com
বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন এই ঠিকানায় :
http://banglasahityaali.blogspot.com/p/blog-page_21.html?m=0-
আকাশ আমাকে ভিজিয়ে
দেওয়ার খুবর দেয়।
আমি ভাবি ডুবে যাব।
পানকৌড়ি ডুবুরি হয়ে ডুব দেয়;
আমার হৃদয়ের ঝিলে।
আমি ভাবি, ফুরিয়ে যাব।
কালবৈশাখীর বৃষ্টি-ঝড়ে
আমার বুক আলোয় ডুবে যায় যখন
আমি ভয় পাই;
ভাবি, বিদ্যুতের তরবারির মত
ফালাফালা করে দেবে
আমার স্বপ্ন।
আসলে ভয়ই আমাকে ভাবায়।
টেনে ধরে
হেরে যাওয়া ময়দান ভেঙে
পুরনো স্বপ্নের ডিঙাকে ডুবিয়ে
নতুনের কাছে যেতে।-
অসহিষ্ণুতা
আমাকে সে কব্জা করে ফেলছে
আমার শিরায় উপশিরায় জমাট বেঁধেছে
শীতলতর আকাঙ্খা হয়ে
কিন্তু কেন?
উত্তর খোঁজার আলো নেই, সে কথা ভুলে অন্ধকারকে দোষ দিচ্ছি আমি,
কারণ, এটাই বড়ো সস্তা অথবা সহজও
সস্তার কাছে পরাজিত আমার যুক্তিবোধ,
তাই ভুলের প্রতিরোধে ভুলকে আকড়ে ধরছি হাতিয়ার ভেবে,
অপরাধের প্রতিকারে অপরাধকে।
অপরাধের সেই ক্ষমতা কি আছে, যা উত্তাল সমুদ্রকে শান্ত করে দেবে?
ভয়ংকর ঝোড়ো বাতাসকে ডেকে নির্বোধ সমুদ্রের
গর্জন-মত্ততাকে নপুংসক করা যায়?
সে আমার চেতনাকেও কব্জা করে ফেলেছে
আমার মনের কোণে কোণে বাসা বেঁধেছে
শীতলতর আবেগ হয়ে
মৃত্যুর বিপরীত শব্দ তাই মৃত্যুই!
কারণ, আমার নপুংসক চেতনা জানিয়ে দেয়, আমি বাঁচলে সে বাঁচায়, মরলে তুই তার কারণ
এক হাতে তালি বাজেনা জেনেও
অন্য হাতের টুঁটিই চেপে ধরি, সে আমার দোষ নয়, তাঁর।
হায় পরম পুরুষ তোমার রক্ষার দায় যদি তোমার সৃষ্টিকেই নিতে হয়!
সৃষ্টিকে বাঁচাবে কে?
উত্তর খোঁজার আলো নেই, সে কথা ভুলে অন্ধকারকে দোষ দিচ্ছি তাই,
কারণ, এটাই বড়ো সস্তা অথবা সহজও
আর তোমার অসহায়তাই তাকে অবিনশ্বর করেছে
আমি আক্রান্ত হয়েছি অসহিষ্ণুতায়, বারংবার।-
মাছে-ভাতে বাঙালি আড্ডার বাঙালি,
দেখা যেত কফি-শপে কিম্বা কোন রোয়াকে,
চিনে নিত বিশ্ব চেনা যেত এভাবে
বাঙালির পরিচয় এভাবেই দেওয়াতে।
আজ তার পরিচয় অনেকটা পাল্টে
বাঙালি সে মজে আছে রোলে আর চাউ-এতে,
ফিসফ্রাই এগরোল ঢুকে গেছে মেনুতে
শিশুরাও মজে আছে নেটিং আর গেমেতে।
রোয়াকের আড্ডাটা উঠে গেছে কাফেতে
কাফেগুলি মজে আছে নেটিং-এর খোয়াবে,
নেটে বসে একাকী চ্যাটিং-এর কারনে
পরিনত হয় কাফে ভার্চুয়াল রোয়াকে।
দুরে থাকা বন্ধুরা ঘরে ঢোকে ক্ষণিকে
ওয়েভ ক্যাম আছে তাই ঢোকে তারা সটানে
বিশ্বটা জড় হয় ভার্চুয়াল রোয়াকে
মাউসের ক্লিকে বা কিবোর্ডের বাটনে।-
মনখারাপের রাত একলা কাটুক, বয়ে যাক অভিমানের সেতু
বর্ষা তোমায় শুধুই তিস্তা দিলাম,কবিতা যেহেতু-