আমি প্রত্যেক বীরপুরুষের জগৎ জননী
— % &আমি পরমানন্দ
আমি বিঘ্ন।
আমি সর্বনাশ
আমি তিক্ত,
আমি প্রলয়
আমি প্রারম্ভ।
আমি বংশ
আমি ধর্ম,
আমি সংকল্প ও বর্ম
আমি মোহ ও জীবের প্রাণ স্রোত।
আমি কাম, আমিই লোভ!
আমি দান ও মানবের আক্রোশ।— % &আমি আসক্তি, আমি মুক্তি
আমি জড়তা ও ভুক্তি,
আমি জ্ঞান এবং ভক্তি।
আমি আশীর্বাদ আর অভিশাপ
আমি আকার ও বিকার
আমি প্রতি দুষ্ট, দুরাচারী,
অধর্মীর প্রতিকার,
আমি নির্লিপ্ত, নির্গুণ, নিরাকার,
আমিই স্বয়ং সাকার।
আমি পুরুষের বহুরূপী
কাপুরুষ, কামী, কামান্ধ,
দৈত্য, দানব, অসুর, রাক্ষস
ও পিশাচের বিনাশ এবং সংহার।
আমি অসুর দলনী মহামায়া,
আমি মহিষাসুর মর্দিনী কাত্যায়নী।
আমি মৃতুলোকের প্রত্যেক ধর্ম জ্ঞানীর
জগৎ জননী, আমিই বল প্রদায়িনী।— % &আমি জন্ম
আমি মৃত্যু,
আমি ন্যায়
আমি প্রায়শ্চিত্ত।
আমি সংশোধন
আমি ঐশ্বর্য।
আমি সৃজন
আমি লালন,
আমি সাধন
আমিই ভজন।
আমি নিধন
আমিই দমন।
আমি তাণ্ডব
আমিই নিবারণ
আমি চণ্ডী, আমি উমা,
আমিই অম্বিকা, আমি উন্মাদনা।
আমিই জগদম্বা!— % &আমি প্রতি যুগের তিলোত্তমা, শুন্ড
ও উপশুন্ডের পত্তন পথের সূচনা।
আমি ললনা, আমি জন্মদাত্রী মাতৃকা।
আমি কলিযুগের অজস্র অর্জুন, অভিমন্যু,
বিকর্ণ, বিভীষণ, ভীম ও মহারথীদের
বল, বুদ্ধি, জ্ঞান , অস্ত্র, শস্ত্র এবং আত্ম বিশ্বাস।
আমি বিবেক, বিবেচনা, মনুষ্যত্ব
ও নীতি বিচার, আমি নিরীহের শোক নিবারণ
এবং আমিই পাপীদের জন্য সন্ত্রাস।— % &আমি ভাগ্য, আমি কাল
আমি কর্ম ফল, আমিই সন্মার্গ।
আমি বিধ্বংস, আমি জাগরণ
আমি প্রচার, আমিই আলোড়ন।
আমি সর্বত্র বিশ্বের স্নেহের সঞ্চার
আমি সমস্ত জীবের উন্মীলিত উচ্ছ্বাস,
আমি প্রত্যেক বীরপুরুষের নিরন্তর সাক্ষী
আমি সকল বীরপুরুষের জগৎ জননী। — % &-
তুমিই আমার হৃদয় স্পন্দন
তুমিই আমার আবেগের রুদন।
তুমিই আমার বুদ্ধির শোধন
তুমিই আমার মনের সাধন।
— % &Translation:
You're the palpable
palpitation of my heart,
You're the dolorous
expression of my emotional
emotions,
You're my intellectual redemption
You're my auspicious resurrection.— % &-
যমুনার অশ্রু প্রবাহ
— % &দেখেছি তাঁরে বহু জনম পর
আছে কি তাঁর মনে তাঁর যমুনার
সেই করুন স্বর?
মানব রূপে আমার দ্বারে ধাইছে
সে তাঁর আপন ধ্যানে
পথ ভুলে যায় সবার ডাকে
আমি শুধু এক একাকিনী, এক বিরহী
বয়ে চলেছি তাঁহার প্রেমের টানে।
এসেছে বাঁধা, পরনে পড়েছি আসক্তির বস্ত্র
ও মালা,
তবুও নাড়ির বাঁধন ভেঙে উথলে
ভেসেছি রাখাল রাজের নিত্য লীলায়।— % &মায়ার আবরণে, দেহের অভিমানে, বয়সের
ভেদ ভাবে হয়েছে স্মৃতি বিস্মরণ,
হেঁয়ালি করে একদিন বলেছিলাম হয়ে তাঁর সম্মুখ-
"হে কমল নয়ন যদি দাও তোমার দুটি চরণ
কমল, ধুইয়ে দেবো তবে তোমার সমস্ত
পরিশ্রান্ত, বিধ্বস্ত, দুষ্কর, ক্লান্তির দুর্যোগ"।
সে মৃদু হেসে বলে, "হে দেবী, নই আমি কোনো মহাপুরুষ, সামান্য, তুচ্ছ একজন মৃত্যুলোকের
মানব, আপনি বয়সে যে আমার অগ্রজ, কী
করে সম্ভব হবে এই কার্যকলাপ?"
জোর হাতে, বিনম্র ভাবে সে আমার পানে
চেয়ে সেজেছিল ক্ষমা প্রার্থীর বাচক?!— % &সে কী?! হে অনিরুদ্ধ তুমিই কী
আজও যোগ নিদ্রায় আচ্ছন্ন ?!
হে নন্দলাল, জাগো,
জাগো দেবকি নন্দন!
এই বর্তমান পুরুষ দেহে
হোক তবে তোমার পুনরায় আগমন!
দেহ দেখি নাহি তোমার, দেখি শুধু মন,
আত্মা আর সত্তা, হে মাধব।
তোমার এই দেহ হলেও বা বয়সে অনুজ,
তুমি যে সবার অন্তর্যামী, পরমানন্দ।
তবে শোনো শ্যামসুন্দর, তোমার যমুনা আজ
এই নারীর কায়ায় কাল চক্রের বন্ধনে আবদ্ধ,
তাও ভেসে যাক তোমার চরণ পাদুকা ও শ্রী চরণ
আমার দুই নয়নের ব্যাকুল অশ্রু প্রবাহের ধারায়।— % &-