সুন্দরবনে বাংলাদেশ লাগোয়া আস্ত একটা গ্রাম।
বাপ, রতন কাকা সব সক্কালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় কাঁকড়া ধরতে।এর পর মুড়ি বাতাসা চিবোতে চিবোতে জানলার পাড়ের জঙ্গল দেখতে আর ওর ভাল্লাগেনা।

বাড়ির সবাই কাঁকড়া ধরে বিক্রি করলেও,ওর নেশা ছিল ঝিনুক। লালচে,সাদা,বাদামি ঝিনুকরা রোজ ডাকত ওকে। একলা থাকলে খেলার সাথী এই ঝিনুক। ওরা লুকোচুরি খেলত রোজ। কাদার ফাঁকে রোজ লুকোত ঝিনুক গুলো। ওর ধাপ্পা না দেওয়া পর্যন্ত। বাড়ি যেতে যেতে যুদ্ধ জয়ের হাসি কাদা মাখা মুঠোয় ভরা থাকত। বনবিবির কাছে পাকা কলা দিয়ে মানত করেছিল, গোটা সুন্দরবন ঝিনুকে ভরিয়ে দিতে।

ঝিনুক দেখলে বড্ড মার কথা মনে পড়ে। ঝিনুক যেভাবে বুকে জড়ায় মুক্তো কে, ওর মাও ওকে ঠিক এভাবেই জড়াত। তাই,পাশের মাদুরে ঝিনুক রেখে আগলে ঘুমোত ও। রোজ স্বপ্নে গান শোনাত ঝিনুকেরা।সবার হাততালি কুড়োত ওরা। আর ও কুড়োত? ঝিনুক।

-

When your state is devastated, your people are dying,
your pen will not allow you to write ,
your thoughts and words can't be combined . #prayforwestbengal.

-

নদী,
কাকে ভালোবাসো তুমি ?


(সম্পূর্ণ লেখা ক্যাপশনে)

-

আমি সুন্দরবন হয়ে যাবো ।
মধু আনতে আমাতে আসবে মানুষজন।
আমার ভেতর তীব্র বাঘ তাদের গিলবে।

গভীর রাতে ঝিঁ ঝিঁ তে মাতবো।
অসংখ্য খাড়ি এফোঁড় ওফোঁড় করে দেয়।
তারা কোথায় চলে যায় স্বপ্ন নিয়ে।
ডিঙি গুলো জল ছেড়ে আসেনা।
আমি কাদা ছেড়ে নামিনা জলে।

এদিকে উড়ালপুলে গাড়ির গতি বাড়ছে।
ওরাও স্বপ্নের দিকে যাচ্ছে।



এ শহর সুন্দরবন হতে পারবেনা।

-