প্রিমিয়াম নেব? কটা লোক দেখবে বোঝার রিয়েলিটি চেক এই পোস্ট!
-
আমার প্রাক্তন স্কুলে সব বিদেশী ফুটবলারদের সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে। মনে করতে পারছিনা সবার মুখ, তবে বালোতেল্লি কে দেখলাম মঞ্চ থেকে নেমে আসতে।স্কুলে অপটু পান্-এর ছাঁচে খিস্তি দেবার সুযোগ পেয়ে জোরে চেঁচিয়ে উঠলাম 'বাল!' বালতেল্লি চুমু ছুঁড়ল বেশ কয়েকটা।
আরেহ কাকা! রোনাল্ডো! মঞ্চ থেকে নেমে আসছে ( তুমি তুমি করছি, অভ্যেস। আমাদের ধোনিও ছয় মারে। বা সৌরভ চার অক্ষরের কানা বলে স্লিপে খোঁচা মারে)
জীবনে প্রথম বার রোনাল্ডোকে দেখতে পাচ্ছি! গলা দিয়ে আওয়াজ বেরুচ্ছে না! আমার পেছনের মুখ না চিনতে পারা বন্ধু গুলো তারস্বরে চেঁচাচ্ছে। রোনাল্ডো সামনে দিয়ে বারান্দায় গেল।
আমি বাইরে যেতেই ছবির আবদার জুড়ে দিলুম। রোনাল্ডো, হঠাৎ দেখি কোনো এক জাঁদরেল ক্লাব প্রতিনিধি কে ধরে নিয়ে এসেছে। সে আমাকে দুচ্ছাই করে তাড়াচ্ছে, আমি নট নড়নচড়ন। রোনাল্ডো ছবি তুলতে রাজি হল। আমার হ্যাং করে যাওয়া লেণোভো ফোনটা খু্ঁজে পাচ্ছিনা! হঠাৎ, এক প্রাক্তন বান্ধবী, তার বরের স্যামসাং টার ক্যামেরা অন করে আমার হাতে গুঁজে দিল। অনেক কাল আগে আমি অনেক ঘেঁটে এই সিদ্ধান্তে এসেছিলুম যে, আতেঁল ও সিপিয়েম স্যামসাং ব্যবহার করে। বাকিটা ক্যাপশনে...-
প্রত্যেক সুর ভুলে আমি চেঁচিয়ে গাই।
কথার ফাঁকে কথা বসাই। গোঙাই। গুনে গুনে গুনগুন গুণ করি সময়ের। তোমার প্রেমিক তোমার জন্য গান বাঁধে। ছিঁড়ে যায় স্ট্রিং,ছড়ে যায় আঙুলের মাথা গুলো। আমি যে হাত সরিয়ে নিই, তাল বদলাই!
গান থামাই।তুমি যখন ওর কাছে জাগো, আমি মার কোলে ঘুম পাড়ানি গানের সুর খুঁজে পাই। রাস্তা দিয়ে একলা বাঊল প্রেম খোঁজে। আমি ধাওয়া করি, ছুটে গিয়ে জড়িয়ে বলি হ্যামলিন কতদূর?
অন্তরা, তোমাতেই স্থায়ী।
বলেছিলাম,আমরা কথা বন্ধ করে দিলে, তুমি গান পাঠিও।।-
সকালের দিকে বৃষ্টিও হয়েছে হয়ত ঝিরঝির করে। আমি জানতে পারিনি। জানবোও না। টিভিটা গ্যাছে। সকাল বিকেল বাবার ব্যবহারের ফিলিপ্স এর রেডিওটা অন করে বসে থাকি। মাসি আসে, সকালের জন্য পেঁয়াজ ভেজে,রাতের আলুসেদ্ধ ভাত করে এঁটো কাঁটা মেজে চলে যায়। আমি বাবার দেওয়া চেয়ারটার চারপাশে মর্নিং ওয়াক করি। গায়ের চামড়ায় ভারতের ম্যাপ আঁকি ময়লাজমা নখগুলো দিয়ে। প্রতিখবরে ইস্ ইস্ করে উঠি। এফ.এম এ বেজে ওঠা 'শীলা কি জাওয়ানি'তে মাথা নাড়াই আতিপাতি ব্যান্ডের ছেলে ছোকরাদের মতো। নাক খুঁটে বুড়ো আঙুল আর তর্জনীতে গোল পৃথিবী বানাই। কড়িকাঠ গুনতে গিয়ে নামতা ভুলে যাই। গোটা গা দিয়ে 'পে এন্ড ইউজ' এর গন্ধ।আলো দেখিনি কতদিন। জানলা দিয়ে রোদ ঠিকরে বেরোলে খিস্তি করি। আর সুযোগ পেলেই বিছানার চাদরে নিজের গন্ধ শুঁকি।
দিনটা ৬ই জানুয়ারি না হয়ে অন্য কিছুও হতে পারত। ঠিক যেরম আমি হতে পারতাম পাশের বাড়ির কর্পোরেট ছেলেটা, যে রোজ ঘুমের ঘোরে আগামীকালের হিসেব কষে। আমি ভালো নেই। ওকে বাজার যাবার পথে জিজ্ঞেস করে দেখো, ও ভালো আছে কিনা!-
বাল বৈশাখী ৪
Song এর মুখে রং চড়িয়ে
জং মেখেছি খাটে।
পুড়কিবাজি মাড়াতে গিয়ে
আগ লেগেছে ঝাঁটে।-
বালবৈশাখী ৩
গ্রীষ্ম এসে গেছে,আমি দেখি মরীচিকা
স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড খোঁজে প্রাক্তন প্রেমিকা।-
বালবৈশাখী ২
কচিখোকা ক্যাসানোভা
রোজ ছ্যাঁকা খায়।
ভালোবাসা হেগে যায়
রোদচশমায়।-
কোনো চুনখসা দেওয়ালে বা দরজার কাছে,
গল্প শোনায় শয়ে শয়ে ইট।
স্লোগানের পাশে লেখা ' I quit'।-