Read the Caption as well
-
বাস্তবের সিংঘম
ধর্ষণে অভিযুক্তরা পুলিস 'এনকাউন্টার'-এ প্রাণ হারিয়েছে। পুলিস ঘটনার রাতে কেন অভিযোগ নেয়েনি সে প্রসঙ্গও এখন তাঁদের কীর্তির গরিমায় ধামাচাপা পড়েছে। এই পদক্ষেপের পক্ষে বিপক্ষে অনেক যুক্তির অবতারণা হবে। গণতান্ত্রিক দেশে এরূপ পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে কাম্য নয়। আইনজীবি থেকে বুদ্ধিজীবি সমাজ সুষ্ঠু বিচার ব্যবস্থার পক্ষে সওয়াল করলেও সাধারণ মানুষ যে বিচার ব্যবস্থায় আস্থা হারাচ্ছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। খুন, ধর্ষণ, জঙ্গী হামলা সব ক্ষেত্রেই বিচার ব্যবস্থা এতটাই দীর্ঘায়িত প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে চলে যে বিচারপ্রার্থীরা ভরসা হারায়। যেখানে আজমল কাসভের ফাঁসি হয় মুম্বাই হামলার চার বছর পর, নির্ভয়া থেকে কামদুনি এখনও বিচারের আশায় দীর্ঘ ছয়-সাত বছর ধরে অপেক্ষা করে সেখানে বিচার ব্যবস্থার ব্যর্থতা গুলো বড্ড প্রকট ভাবে ধরা দেয়। তবে বাহবার মাঝেও অনেক খামতি আছে পুলিসি ব্যবস্থাতে ও। পুলিসের এই পদক্ষেপ বা তৎপরতা প্রভাবশালীদের ক্ষেত্রে কতটা দেখা যাবে তা যথেষ্ঠ সংশয়ের। সর্বোপরি সংশোধনাগারে অপরাধীর চারিত্রিক সংশোধন যে একেবারেই হয় না তার সাম্প্রতিকতম উদাহরণ 'উন্নাও' এ ধর্ষিতাকে পুড়িয়ে মারার ঘটনা। সবের মাঝেও এই ঘটনা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। বাস্তবের 'সিংঘম' জণগণের বাহবা কুড়োবে সবসময়ই।
-