তবে তাই হোক,
তোমার কাঙ্খিত দূরত্বে আমি বিছিয়ে দিই লাল গালিচার শোভা।
দুপাশে ফুলের ডালা সাজিয়ে সারিবদ্ধ আয়োজন করে দিই চোখের নিমিষে,
তুমি স্থির লয়ে হেঁটে চল তোমার গন্তব্যে আর আমি-
তোমার অতি চাওয়া দূরত্বে তৈরী করে দিই প্রাণবন্ত আমেজ।
পথের বাধা হতে পারে যে সমস্ত আবেগ,
নিজ হাতে খুন করে দিব নির্দ্বিধায়,
তোমায় উপহার দিব তোমার স্বেচ্ছায় দূরে চলার ইচ্ছাদের।
ভালবাসি বলেই, তোমার ইচ্ছাদের জন্য,
আমি দূরত্বেও রাজী।
কিন্তু তিলে তিলে আমার মৃত্যুদের চিঠি কে জানাবে তোমায়?-
রংয়ের কৌটো ছাই মাখে মুখ
এশট্রেতে মিশে বেদুইন
রাত জেগে থাকে, জেগে থাকে প্রেম
পুড়ে চলে কিছু নিকোটিন-
আমি বন্দী কারাগারকে আশ্রয় মেনেছি,
ছুঁড়ি দিয়ে মানুষ কেটেছি, রক্তকে ভেবেছি সূর্যাস্ত;
আর তোমার প্রত্যাখ্যানের প্রতিটি শব্দকে জেনেছি-
আমার যাবজ্জীবন কারাবাসের পূর্বে
আদালতের রায়।-
কেন এত হাহাকার,
কেন এত প্রেম এসে বলে মিছে- ভাল থাক।
কেন তবে ফিরে দেখা কথা ছুঁয়ে ছুঁড়ে দেয়া
কেন তবে হাত ধরে, ভুলে যাওয়া পিছুটান।
কেন তবে মিছে হাসি বলেনিতো ভালবাসি,
তবু এসে বলে গেল- ভাল থাক।-
মুখোমুখি কেটে গেছে সহস্র বছর,
পাশাপাশি কাটে নি তার কিছুই।
আর কটাদিন পরেই আবার চৈত্রের রোদ,
আর কটাদিন পরেই আবার ঘরে ফেরার গান,
আর কটাদিন পরেই যেন কেটে যাবে এক পৃথিবী ভেজা শোক
কেটে যাবে কত শত বিকেলের ঘুড়ি।
এমনই এক শতাব্দি শেষে তুমি এসে দাঁড়াবে নিশ্চুপ,
মুখোমুখি কেটে যাবে কত শত নদী;
জানি, পাশাপাশি কাটবে না তার কিছুই।-
এ কেমন অন্যমনস্ক শহরের পথে,
এক গোছা ফুল, শাড়ির আঁচলে উড়ে চলেছে মেঘ।
এ কেমন ক্লান্ত শহরের পথে,
টানা চোখের দ্রাঘিমা পেরিয়ে বারংবার পিছু নিয়েছে রাত।
এ কেমন পালিয়ে বেড়ানো শহরের পথে,
খোলা চুলের রেণুর ছোঁয়ায় স্থবির হলো সময়, নিছক অভিনয়
মাঝপথে থেমে গেছে সব,
থেমে গেছে কৃষ্ণচূড়ার ঢেউ; আর যা কিছু বলার ছিল;
জানি হবে না বলা সেসব, যা বলার ছিল না আদৌ;
দূরত্ব আমাদের নিয়ে এসেছে কাছে,
যতটা কাছে এলেই আবার দূরে চলে যায় পথ, পথের পরিচয়।
এই ঘোলাটে জীবন পালিয়ে বাঁচতে জানে,
শুধু জানে না কখন রাতের আঁধার দুহাতে আগলে রাখে,
কখন আবার হাওয়ায় ভেসে মিথ্যে ভালবাসে।
এ কেমন তন্দ্রাহত শহরের পথে,
এক গোছা ফুল, শাড়ির আঁচলে উড়ে চলেছে মেঘ,
টানা চোখের দ্রাঘিমা পেরিয়ে বারংবার পিছু নিয়েছে রাত।
এ কেমন অগোছালো শহরের পথে,
এ কেমন অপারগ শহরের পথে,
এ কেমন অসম্ভবের শহরের পথে।-
সন্ধ্যা নামেনি রেণু,
সিঁথিতে সিঁদূর জড়ানো পবিত্রতা আজ বরং ভুলে থাক।
ভুলে থাক কর্তব্যের হালখাতা, সন্ধ্যা হতেই চায়ের হিসেব।
আজ বরং ভুলে থাক আলু পটলের মাখামাখি,
কিংবা উলুধ্বনির পূজাপর্ব।
রেণু, ভুলে থাক সারিবদ্ধ পারিবারিক আলোচনা,
চেনেল ঘুরিয়ে মধ্যবিত্ত বিনোদন;
আর ফিরে আসা স্বামীর রাত্রিবেলার সেই প্রয়োজন।
সন্ধ্যা নামেনি রেণু,
ধূপ হাতে ঘর হাতের বারণ একটুখানি ভুলে থাক,
দেবর ননদ জা শাশুড়ি মিথ্যে কথা, মানিয়ে চলা আর কতদিন
আজকে নাহয় সিঁড়িঘরে পা দুলিয়ে সবটা ভুলো।
কাজের ছেলে আজকে নাহয় দুটো বাদাম চিবিয়ে খেলো;
রেণু, ভুলে থাক কাঁচাবাজার, মাছের মুড়ো পাঁচ মিশালী।
ভুলে থাক সংসার, তোমার চলমান পূণ্যের লেনদেন,
ভুলে থাক সম্পর্ক, ভুলে থাক কে কি হলো!
এই বিকেলে ননদ যেন কই পালালো- ভুলে থাক।
সন্ধ্যা নামেনি রেণু,
নিজের ভেতর উঁকি দিয়ে কাজল রেখা সেই মেয়েটি,
কোথায় যেন লুকিয়ে গেছে তাকেই খোঁজ।
আজকে নাহয় স্বামীর ছোঁয়া বাকির খাতায় তুলে রাখ,
সিঁথির সিঁদূর শাখা পলা আজকে বরং ভুলে থাক,
একটুখানি ভুলে থাক।-
Nora:
I have other equally sacred duties.
Helmer:
You do not. What duties could they be?
Nora:
The duties to myself.
Helmer:
You are first and foremost a wife and mother.
Nora:
I don't believe that anymore. I believe I am first and foremost a human being, I, just as much as you- or at least, that I must try to become one. I can no longer allow myself to be satisfied with what most people say and what's written in books. I have to think these things through for myself and see to it I get an understanding of them.
- Henrik Ibsen-
Helmer(Torvald):
Are you not happy?
Nora:
No, just cheerful. And you've always been so kind to me. But our home has never been anything other than a play-house. I've been your doll-wife here, just as at home I was Daddy's doll-child. And the children, they have in turn been my dolls. I thought it was amusing when you came and played with me, just as they thought it was amusing when I came and played with them. That's been our marriage, Torvald.
- Henrik Ibsen-