মা দিলো আশীর্বাদ,
সারাজীবন নিজের উপর বিশ্বাস রাখিস,
যা তোকে অবিশ্বাসী করে তুলবে না।
বাবা দিলো আশীর্বাদ,
নিজেকে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলিস,
যে খারাপ সময়ে খারাপ পথে চালিত করবে না।
-
চিরন্তন
---------
ধূসর মধ্যরাত্রি। মুছে যায় সব গগনচুম্বী অপমান।
ঘনিষ্ঠ বন্ধু নির্জনতা। চোখ বুঝলেই ঘুমের গান।
চোখের নিচে জমানো চারকোল। ছোট্ট দীর্ঘশ্বাস।
গাঢ় দুঃসময়। স্বপ্ন বিক্রিতে লাগে না কোনো অভ্যাস।
দীর্ঘ হয়েছে জঞ্জাল। শহর মানিয়ে নিয়েছে ছদ্মবেশ।
ক্লান্ত নিষিদ্ধপল্লি। সব লড়াই গেছে নিরুদ্দেশ।
নক্ষত্রের ঠিকানায় একা মুখোমুখি। ধারালো কুয়াশা।
আদিম ভাষায় মেঘে লেখা 'প্রত্যাশা বড় দুর্বল নেশা'।
-
ছেড়ে দিয়ে এসো
-------------------
উজ্জ্বল তারা,জোনাকি,চোখ।
ওদিকে যেও না। শ্মশান!
হারিয়ে ফেলবে আলোর শোক।
মন্ত্রোচ্চারণে পুজো হচ্ছে। নিরাকার
মানব-মুন্ডু,মদিরা,নীরব সেতার।
কি ভীষণ ঠান্ডা জমছে। মনে-মনে
সব পাপ নিপাত যচ্ছে। সাধকের শোধনে
একে-একে কদম ফুলের অজুহাত ঝরে পড়ে।
শেষ রাত্রিতে
রিপু আর স্মৃতি দু-ইঞ্চির তফাতে পোড়ে।-
জেগে আছো!
-------------
মহাস্তব্ধতায় বিভাজিত মুখটা।
হঠাৎ মুগ্ধ!
পাশে জটিলতাহীন শব'টা
ওদের জন্মতারিখ উদযাপিত হয়।
বেকারত্ব?
শুধুমাত্র নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি চায়।
লালসার জিভ ঘন কালচে লাল।
দুর্নীতি?
কারা যেন দূরে থেকেও দেয় সামাল।
ওই যে দূরে..দাঁড়িয়ে একলা সভা।
কত মিথ্যে ভাষণ!
তাতে ঝলসে যায় শিক্ষিত মুখের আভা।
তোমার একগালে সংজ্ঞাহীন দৈন্যতা
হে ব্যারিকেড!
অন্যগালে লাগামহীন প্রাচুর্যতা।
ঘন কুয়াশায় ক্রমশ আবছা হয়ে আসা স্বপ্ন সব।
চেয়ে দেখেছো?
আমাদের অপেক্ষার মাঝে শুয়ে আমাদেরই শব।
-
-কারোর কাছেই নিজেকে প্রমাণ করার কিছুই নেই তবু আমি কেন যে করি! বারবার করি।
-কি লাভ হয় করে?
- কিছুই না।
-তাহলে কেন করিস?
-জানিনা রে।
-তাহলে ছেড়ে দে আজ থেকে নিজেকে প্রমাণ করা!
-ওটাই যে পারিনা। আসলে মানুষের কোনো কিছু একবার অভ্যাসে পরিণত হলে তা ছাড়তে যে অনেক সময় লাগে। যেমন তোকেও।
-মানে?
-মানে কিছুই না। তোর বিয়ের কার্ডটা খুব সুন্দর হয়েছে।
-কেন তোরও কি করতে ইচ্ছে করছে বিয়ে!
-না। বেশ টাটা।
-
# মৃত্যুর মতো শান্ত
---------------------
মৃত্যুর মতো শান্ত হয়েছে রাত্রি
হাঁটুভর্তি বিষাদের গন্ধ ভাসে। বাতাসে
ঘন সাদা রঙ দিয়ে অঙ্কিত চাদরে
রাগ-অভিমান-অহংকার সব ঢাকা পড়েছে
তারও আগে তারা আলাদা নামে পুড়েছে।
মিষ্টি রজনীগন্ধা-
এক জীবনের জন্য খুব বেশি মনখারাপ।
-
সুযোগ সেটুকুই গ্রহণ করা উচিত যা তোমাকে "পরজীবী গোত্রের" অন্তর্ভুক্ত করবে না।
-
নিঃসঙ্গ উপলক্ষ্য
-----------------
যারা যাই বলে কিছুটা দূরে গিয়ে
দ্বিধায় থেমে থাকে
কাছে আসার বাহানা নিয়ে
নক্ষত্রে জড়িয়ে থাকে
তুমি কি চাওনি? তাদের!
যারা বলে যাই- ভালোবাসি
প্ররোচনা নিয়ে অনবরত
অন্যমনস্কতায় পাশাপাশি
বসে পরিচিত-র মতো
তুমি কি থাকবে?হয়ে তাদের!
প্রজনন করে চলা স্মৃতি
ক্ষীণ শব্দের দাপট
শিখে ফেলা ধৈর্য্যের নীতি
সব বুঝেছো কপট
তারপরেও তুমিই কি ঠিকানা? তাদের!
-