আমি অস্তিত্বের বাঁধন মানিনা এখন, মুক্তির সীমানা কয়েক ক্রোশ!
মৃত্যুর পরিহাস ভুলে গেলেও শান্তি। ক্ষোভের আগুনে জীবন্ত রোষ..-
কলম লিখুক কাব্যিকথা, আলটুসি মেঘের গল্প।
Writing ... read more
নাহয় অগোচরেই খেয়াল রেখো,
আমি স্বপ্নে ভীষণ হারিয়ে যাই।
স্বার্থপরতায় তবু সুখ আছে,
একাকীত্বেও একটা বাহানা পাই।-
কুমুদিনীও তখন ভালোবেসেছিল, অনন্তের পরিহাস ভুলে।
একযুগ পেরোনো কোনো প্রেমের সোহাগে, হয়তো নিষ্কৃতি পাওয়ার ছলে।
আয়নার সামনে কত আদর বুলিয়েছে, ক্ষয়িষ্ণু রাতে মায়ার আঁচল।
চিঠির ভাঁজে বিনিদ্র চাঁদ, গল্প হাজার। কবিতা ছুঁয়ে বাঁচতে আকুল।
এই তো কতবার সে মুক্তি খুঁজেছে, আদতে এড়াতো জটিল বাঁধন।
সমুদ্র মেখেও চুপ থেকে গেছে, অভ্যাসে পরিণত দুঃখ যেমন।
তারপর কোথাও রোদ ঘেঁষে দাঁড়ায়, চরম বঞ্চনা, হঠাৎ বৃষ্টি অরণ্য;
নেভা আঁধারে যখন সে খুইয়ে ফেলে সবটা, একটু উষ্ণতার জন্য।
কখন নির্নিমেষ কল্পনার জাল ছিঁড়ে যায়, আঁতকে ওঠে ফের ঘুমের ঘোরে।
হারিয়ে ফেলে সুখস্মৃতি, হৃদয়-আবেগ। ভীষণ ভয়। যদি প্রেমে পড়ে!
অগুন্তি মোহ এভাবেই পার ক'রে ফেলে, এক একটা সিঁড়ি, অপেক্ষা।
চরিত্র মানিয়ে সে অনেকটা দূরে এখন, সঙ্গী শুধু উপেক্ষা।
কুমুদিনী কি আর কিছু চেয়েছিলো, বিরহী কবির পদ্য ছাড়া?
নাকি অবসাদ ঘিরে আজও মোহময়, অলঙ্কারহীনা সর্বহারা?
-
"এখন অনেক রাত, তোমার কাঁধে আমার নিঃশ্বাস, আমি বেঁচে আছি ভালোবাসায়।"
তোমাকে বোঝানো কঠিন জানি, অগুন্তি হোঁচটে হয়রানি,
তবু বেখেয়ালে বর্ষা মেখেই চলোনা, খানিকটা এগিয়ে যাই..।
হয়তো এভাবেই ফের হারিয়ে যেতাম, রংচটা স্বপ্নে ধুয়ে যেত সবটা।
"Jaane kya asar yeh hua hai, Ik aas mili phir mujhko.."
অনিশ্চয়ের প্রবল জ্বরে, তুমি কি নেবে তার দায়?
যখন বৃষ্টি ক্রমে শিথিল হ'বে, কতকটা আমিও ঠিক তলিয়ে যাব!
একবার অবৈধ মেঘে আকাশ বুজিয়ে দেখো...
"I will be your crying shoulder.."-
।। চাঁদ চুরি ।।
শুধু বিধিনিষেধের ছড়াছড়ি। তারাখসা রাত কি ভীষণ ডুব দেয় আজ!
ছন্নছাড়া গতিতে নিয়তি হাতড়ে ম'রে, অনন্তের শরিক, চাঁদনি লাজ।
ছাদের কোণে স্মৃতি ক্ষয়ে যায়, পরিমরি ক'রে শুধু গুছিয়ে রাখি।
অপচয় খুঁজে ভিড়ে মেশা বারণ! জড়িয়ে মড়িয়ে এক হয়ে থাকি।
অবহেলায় তুই আসবি ফের? ক্ষণিকের বাহানা যতটা মেলাতে পারি!
ঝাপসা জ্যোৎস্নায় খুব তারা গুনে নেব। চাঁদ! আজ নাহয় তুই কিছুটা দরকারি।
তারপর হঠাৎ আবেগ ছিঁড়ে যায়, গল্প চরিত্র সব পাল্টে ফেলি নিরালায়।
অভিযোগ ছুঁড়ে তুই বলতেই পারিস 'খুনি!' আজ সত্যিই কি আর কিছু এসে যায়!
কখনও কখনও ভাবি চাঁদটাকে চুরি ক'রে আকাশ নিভিয়ে দেব!
দেখিস সেদিন! কলঙ্ক মোছার ছলেই হয়তো, আমিও ঠিক রাত আঁকড়ে নেব।-
অনুভব জুড়ে শুধু প্রেম গেঁথে যাই,
আস্তিনে জমে দু'-এক পশলা বৃষ্টির গন্ধ।
আকাশ খুঁড়ে আজও রোদ মাখি, জানো!
খানিকটা তার অভিলাষ আর খানিকটা দ্বন্দ্ব।-
সমাজ নেই, শুধু কালিমালিপ্ত একটা আস্তানা এখন,
আমরা অপ্রতিরোধ্য গতিতে শির উঁচু করে চলেছি।
নারীবাদের স্পষ্ট ধারণা আছে। সময় আসেনি। ফলাবো কেমনে?
ওরা তো মাংসপিণ্ড! জ্বলবে রোজই, পুড়বে একটু একটু করে।
ঠুনকো আইন, মোমের মিছিলে ন্যায়ের হিসেব মিলবেনা একটাও,
তবু এই ভীড়ের মাঝে সে ধর্ষিতা হয়ে যাবে বারবার..
কাল আমরাও ফের এই সমাজের বেড়াজালে আটকে যাব,
আবার কোনো এক 'আসিফা'কে হারিয়ে যেতে দেখব 'নির্ভয়া'র সাথে...।-
স্বপ্ন দেখি না, আমি তুচ্ছ কবি,
যদি হুজুগবশে হারাই ফের।
মন তো পাবো না, শুধুই খুচরো আবেগ,
ব্যর্থ রোজনামচায় রকমফের।-
অবেলায় ছেঁড়া সূর্যটা যেমন দিন শুষে নেয় একটু একটু করে,
মন্দবাসায় সঙ সেজে ঠিক অতটাই কি স্পষ্ট ছিলিস তুই মেয়ে?
"এই তো ক'দিন আগেও বেশ, দিব্যি ছিলি শান্ত দিঘী।
হঠাৎ কেন পাহাড়ি নদী হতে এলি! সস্তা জলের দরে বিকিয়ে গেলি..?"
তবু মন্দ-ভালোর এদিক-ওদিক, কখনও মন হাতড়ে নিস তারা মেখে,
ঠুনকো শোকের অজুহাতে যদি, আবার হারাস কোনো পাহাড়ি পথে...।-