যাঁর হাতে খুন্তি সেই রাজা,
রান্না পুড়ে গেলেও বলবে,
পুড়েছে কৈ! এই তো একটু ধরেছে মাত্র।
একে যদি পোড়া বল!
পোড়া কাকে বলে তোমরা তা দেখনি।
#হাল_হকিকত
#সুশান্ত_কুমার_সাঁতরা-
আমি: প্রণাম নেবেন হে সৌম্যকান্তি বীর, আপনি আমার আরোধ্য।
নেতাজী: তা তো বুঝলাম। বলো কেমন আছ?
আমি: ভাল আছি বলি কি করে? কেমন যেন দমবন্ধ করা একটা উপলব্ধি। নিশ্বাস নিতেও কষ্ট হয়।
নেতাজী:কেন? তোমরা তো আজ স্বাধীন ভারতের নাগরিক।
আমি: স্বাধীন বটে তবে অনেকটা ঐ খাঁচার টিয়ার মতন বুঝেছেন।
নেতাজী: কেন? টিয়ার মতন কেন?
আমি: আমরা এখন শেখানো বুলি বলি, অন্যায় হচ্ছে জেনেও কখন মুখ খুলি না, কখনো কখনো অকপট সত্যি বলতেও পিছিয়ে আসি, দেশদ্রোহী তকমার ভয়ে।
নেতাজী: সংবিধানে তো বাক স্বাধীনতা আছে।
আমি: ওটা এখন সংবিধানে বেশি জনগনের কাছে কম হয়ে গেছে।
নেতাজী: তোমরা আমাকে মনে রেখেছ?
আমি: সত্যি বলব, যদি কিছু মনে না করেন, আপনিও বছরে একটা দিন হয়ে গেছেন, আপনাকে নিয়ে বিরাট রাজনীতি হয়। সবচেয়ে ভালো হত আপনি যদি সশরীরে ফিরে আসতে পারতেন?
নেতাজী: তা আর হয় না!
আমি: তাহলে আরেকবার জন্ম নিন না, আপনাকে আমাদের ভীষণ দরকার আজকের দিনে।
-
তিলোত্তমার উপছে পড়া ভিড়।
আবেগঘন কুয়াশা মাখা রাত।
তালু বন্দি তোমার হাতের ওম
শীতের রাতে প্রেমের ভাঙছে ঘুম।-
জন্মদিন
কে যেন পেছন থেকে
ডাকছে আমায়।
সময় ঠেলে ধাক্কা দিয়ে
এগিয়ে দিল আরেক ধাপ।
জীবন খাতায় উল্টে গেল
আরেকটা পেজ।
কিছু সময় আনন্দের
কিছু উলট পালট।
সবমিলিয়ে এগিয়ে
চলার নাম ই জীবন।
জন্মদিনের শুভেচ্ছা
গুলো মন ভরালো।
তর্কবাগীষ বলবে
শেষের দিকে এক ধাপ।
জীবন নেয় প্রতি
পদেই নতুন বাঁক।
-
কোনো এক পূর্ণিমার রাতে
বা অমাবস্যার ঘোর কালো নিশীথে।
কোনো এক দারুণ ঝড়ের রাতে,
বা কোনো অনাসৃষ্টি বৃষ্টি দিনে।
আপিস ফেরত ক্লান্ত দেহ সোফায় রেখে
আলসে ঘুমে ঢলে পড়া কোনো এক ক্লান্তি দিনে বা
হতাশার মেঘ সারা মুখে মেখে আলাদিনের চিরাগ খুঁজতে থাকা কোনো এক ভ্রান্ত রাতে।
বা কোনো আনন্দ মুখর হরষিত শরৎদিনে,
ছাদের আলসে ধরে দৃষ্টি যখন গাঁথা থাকে পথের ধারে বা কোনো
শীতের দুপুর হালকা রোদ পিঠের পরে,
খবরের কাগজ কালো অক্ষরে দূরদর্শন।
ঠিক তখনই বেজে ওঠে যদি ফোনের ধ্বনী,
ধরতেই বলে ওঠা, ভুল করে করে ফেলেছি।
আমি কি বলতে পারি, আর এক বার, বার বার করোনা কেন সেই ভুল।
-
ভরসা যখন স্মৃতির পাতায়
জীবন্ত জল ছবি সব,
হাঁদা ভোঁদা,নন্টে, ফন্টে, কেল্টু কিংবা সুপারিইনটেন্টডেন্ট অথবা বিগ বাঁটুল দি গ্রেট।
স্রষ্টার মৃত্যু হয়েছে কাগজে কলমে।
সৃষ্টির মাধ্যমে বেঁচে থাকবেন তিনি অনন্তকাল বাঙালী মননে।
শ্রী স্বর্গীয় নারায়ণ দেবনাথ স্মরণে,
ছোট্টবেলা কেটেছে যাঁর হাতটি ধরে।-
কুয়াশায় পরিবেষ্টিত চারিদিক।
তারই মাঝে আশার আলো খুঁজে নিতে,
দুর্নিবার জীবন পাখা ঝাপটায় দিক্বিদিক। জীবনযুদ্ধ প্রতিনিয়ত তাঁর,
একমুঠো তাজা শ্বাসের খোঁজে।
-