দু-হাতখানি জায়গা নিয়ে ঘর বেঁধেছি সিন্দুকে একটুখানি ব্যাতিক্রম নজর রাখে নিন্দুকে উষ্ণ একটু স্পর্শ ছিল ছোট্ট একটা বিন্দুতে একটা বড় উঠোন ছিল মুসলিম আর হিন্দুতে।
আমাদের কিছু বিকেল কেটেছে দূর্বা চয়নে কিছু সন্ধ্যে কেটেছে ডানার গন্ধে স্বপ্ন বয়নে কিছু বর্ষা কেটেছে মন খারাপের সুর গেঁথে কিছু শরৎ কেটেছে ছেঁড়া মেঘের ছন্দে মেতে আমাদের কিছু ঋতু থেকে গেছে গোপনে, একাসনে কিছু হারিয়ে গেছে দীপ নিভে গেলে পরে কিছু রেখেছি গুছিয়ে, ভালোবেসে, যতনে পলাশ রঙে সাজিয়েছি কিছু কিছু অভিমানের অলঙ্কারে আমাদের কিছু স্মৃতি রয়ে গেছে মনের খেয়ালে। আমাদের কিছু সময় রয়ে গেছে কালের দেয়ালে।
পাতা ঝরা একটা শরীর কঙ্কাল রূপ শীতল বাতাস বেয়াক্কেলে বইছে চুপ একলা মাঠের অন্তহীন রাস্তা মাঝে ইলেক্ট্রিকের তারের পানে উঁচিয়ে মুখ ভীষণ কোনো শপথ নিয়ে চিতিয়ে বুক রক্ত মাখা দিগন্তরেখায় থাকছে চেয়ে।
এমন দিনে নাই বা তুমি ডাকলে কাছে এমন করে নাই বা কোনো শর্ত দিলে দুচোখ জুড়ে সবুজ পাতা জন্ম নিলে আকাশ জুড়ে মনখারাপের মেঘ কাটলে আবার এসো এমনি করে বসব পাশে এমনি করে আবার কোনো নতুন আশে গায়ক পাখির সঙ্গে বাঁধব নতুন গান।
সবার জন্য যিনি জন্ম নিলেন, সবার পাপে যিনি জীবন দিলেন, পুনরুথ্বানে সবার জন্য জীবিত হলেন, তিনি জন্ম নিলেন, সবার মাঝে জন্ম নিলেন।
এ বড়দিন সবার, সবার জন্য তিনি ভালোবাসার দ্বার খুললেন, সবার মাঝে, সবার জন্য ক্ষমার বাণী দিলেন সবার জন্য অনন্ত জীবন দিলেন যিনি তিনি জন্ম নিলেন, সবার মাঝে জন্ম নিলেন।
আকাশের বুকে তারাদের রূপে, নীচু স্বরে বুনে রেখে যায় কিছু গল্প কথা, আগামীর তরে পয়ারের ছন্দে, শব্দের বন্ধে জমে নীরবতা।
টুকরো কাগজ আর আলগা কিছু কথা, রূপকথার ঢেউ হয়ে, পাল তোলা নৌকায় ছলাৎছলাৎ নক্সি কাঁথার রঙ বোলায় ভেঙে দিতে সময়ের অনন্ত বধিরতা।
টুকরো কাগজ আর আলগা কিছু কথা, টুকরো স্মৃতি আর আলগা কিছু ব্যাথা টুকরো সময় আর আলগা ছোটো খাতা একে একে খসে পড়া তারাদের সাথে থাকে থাকে মিশে যায় পৃথিবীর কোলে পুরনো হিসেবের জমা সব জটিলতা।