আমি পড়তে চাইছি না সেই বরফ শীতল কাব্য;
আমি মনে করতে চাইছি না শীতের দিনের অঙ্গীকার;
আজও শীত আসে,
গ্রীষ্ম আসে,
ঠান্ডা লাগে,
জ্বর হয়;
তবু প্রলাপের মধ্যেও বরফ পড়ার শব্দ আসে না।

তুমি শীতের দিনের বন্ধু ছিলে
একটা বড়দিনের সাজানো গাছের মত,
বরফ পড়ার বিরল মায়াবী শব্দের মত,
রঙিন উলের শাসনের মত,
সকালের নরম রোদের যত্নের মত,
তুমি শীতের দিনের মরমী হয়ে ছিলে।

আজ যদি চোখে রাখো সেই সব শীতের শীতলতাদের
অভিযোগ করবো কাকে!
তোমার শীতল যুগ থেকে হারিয়ে ফুরিয়ে যেতে যেতে মনে করবো,
সেই সময়টা আমার ছিল না।
ভুল করে অন্য গ্রহে পৌঁছে গেছলাম।
তার কক্ষ থেকে ছিটকে বেরিয়ে পড়লেও
আর কেউ ঘরে ফিরে আসতে বলবে না।
ডাকলেই চলে এসে বলবে না যেতে দেবো না কখনও।
বলবে না দেবদূতের মতো
কোনো আকাশস্পর্শী জ্ঞানের কথা ।

তাই, শীতের ঝরা পাতার মত,
জলের তরল ধারার মত,
রোদের চড়া তাপের মত,
প্রতিজ্ঞার কুয়াশা ভেঙে ভেঙে মিলিয়ে যাচ্ছি
শীতের রাজ্য থেকে।

-

কাল পাওয়া ডাকনাম
আজ লাগে অচেনা
ও নামে অন্য কেউ
ওই নাম আমি না।

অচেনার ব্যবধান
সুরে সুরে বাঁধা থাক
কোনো ভাষা চায় না
ভুল কোনো অনুবাদ।

অঙ্কের খাতা ধরে
রঙ খোঁজা অবিরাম
নামগুলো বদলায়
একই থাকে ডাকনাম।

-

জানি হিসাব রাখবে না সমুদ্র, তবু জানিয়ে দিই,
তোমার এক ফোঁটা জল কেড়ে নিয়ে কয়েটি অশ্রুবিন্দু পাঠালাম।

-

~~ এ কোন সকাল ~~

সূর্য নাকি রোজই ওঠে। না, কোনো সন্দেহ নেই। সূর্য রোজই ওঠে। কিন্তু, আজ সকাল থেকে সূর্য দেখতে পাচ্ছি না। বলা ভালো কিছুই দেখতে পাচ্ছি না, চারিদিকে অন্ধকার, ঘন কালো অন্ধকার। বাতি জ্বালানো যেতে পারে, কিন্তু, সূর্যের হল টা কি! সূর্য উঠছে না কেন? শীতের দিন বলে কি? পাঁচটা বাজলো, ছ'টা বাজলো, সাতটা, আটটা, নয়টা.... এত দেরি হওয়ার তো কথা না। তবে কি আজ কোনো গ্রহণ? বাতির আলোয় ক্যালেন্ডার দেখলাম। না, কোনো গ্রহণ তো নেই। তবে?

~~~~~(বাকি লেখা ক্যাপশনে)

-

ভার-সাম্য

ভারসাম্যের দোলা, তাল ভুলে অসমান;
দোর পথে জমা হয়, ইগো নাকি অভিমান?

-

তারার পুনর্জন্মে



আবার তোমরা ডেকো নাহয় তারার পুনর্জন্মে
ভাসিয়ে দিয়ে আবার কয়েক দিন;
আলো-আলো খেলবো সবাই জোনাক বাতি সাথে।
বর্ষাধোয়া কোমল চাঁদনি রাতে।
শুধু কয়েক দিন ।

-

~~ ভালোবাসা দিন ~~
ফুল, রং উপহার,
চেনা চেনা গান তার,
এ হাসি, মিতালী যেন
আজন্ম সাথেতে রয়েছে ।
ভোরের সূর্যোদয়
দেখে কেন মনে হয়-
পরশুর বৃষ্টিতে মন তার
খারাপ হয়েছে!
আজ জানলাম তাই,
বারবার বলে যাই,
ফুল, গান, চিঠিদের রং দিই
তোমার আলোকে।
তারাটির যত আলো,
তোমাকেই বাসে ভালো,
সূর্যের হাসি আমি
ভালোবাসি। সাজাই পলকে।

-

- কাঁপছিস কেন? পুলিশ এখানের ঠিকানা পাবেনা। লাশটা কোথায়?

- তোর পিছনে... দাঁড়িয়ে।

-

নতুন ঘর দেখতে দেখতে বৃষ্টি বললো, "ছবিতে বাথরুমের দরজায় একটা মেয়ের মুখ ছিল যে, কোথায় গেলো"?
আমি একটু হেসে বললাম, "একটা নতুন আয়না কিনেছি, যা না, ঢুকে দেখ"।
বৃষ্টি বাথরুমের দরজাটা খুলতেই আয়নায় আলো ঝলসে বৃষ্টির চোখে লাগলো আর দরজাটা শব্দ করে বন্ধ হয়ে গেল... বুঝলাম, আজ দরজার মেয়েটা আবার ফিরে আসবে।

-

-