সকারাতে মাখছে আদর, তোর দেওয়া ডাকনাম
হীন মনে বসন্তরাগ, সামলে রাখে বুকের বাম
প্টে থাকিস অনুভবে, ফাগুন যেমন পলাশ শাখে
ত রূপালী, একমুঠো ওম, রূপকথারা জ্যোৎস্না মাখে
মখেয়ালী আঁখির তারা, আসমানী নীল স্বপ্ন আঁকে।-
শীতের আমেজ, পিঠে-পুলি, নতুন গুড়ের ঘ্রাণ
মিঠে রোদ্দুর, রঙিন ঘুড়ি সঙ্গে মকর স্নান।
বাঙালীয়ানা, আবেগ ছোঁয়ায় ঐতিহ্যের মেলবন্ধন
মায়ের হাতের স্বাদে মাখা জমাটি পৌষ-পার্বণ-
আষাঢ় মানে রথযাত্রা, জয় জগন্নাথ ধ্বনি
জনজোয়ার, মিষ্টিমুখ, সুখস্মৃতির হাতছানি।
মেঘের মলাটে ছেয়েছে ধরা মহামারীর করাল গ্রাসে,
ফিকে লাগে আজ উৎসব যত, ভাটার টান উচ্ছাসে।
প্রার্থনা সাজাই করজোড়ে, দিনবদলের প্রহর গুনি
জানি বন্দীযাপন অবসানে, হাসবে ধরা, অভিমানী।-
খুনসুটি মাখা বৃষ্টি বিকেল, ডাকনামে সলাজ মুখ
খামবন্দী আজ স্মৃতির কোলাজ, ঘিরেছে বিরহ অসুখ।
খেলাঘর ভাঙে, দোসর খোঁজে বিনিদ্র আঁখি
খেই হারানো স্বপ্নগুলো, ভেতরঘরে আগলে রাখি।-
জমাট ক্ষত উস্কে দিয়ে, ফিরছে একুশ আজ;
জব্বার থেকে রফিক, সালাম জানি সেজেছিল রণসাজ।
জীবন বাজি মাতৃভাষার তরে, শিরে বাঙালির তাজ
জেনো গর্বে মোদের বুকটা ভরে, অমর একুশে আজ।-
"জিজ্ঞাসা"
যদি পাখি হয়ে উড়ে যেতে চাই ঐ নীল আকাশের বুকে,
তুমি কি জোগাবে ভরসা আমায়?
হবে কি আমার সেই ডানা দুটি??
যদি মেঘলা দিনে বৃষ্টি হয়ে রিমঝিম ঝরে পড়ি,
তুমি কি হবে সেদিন কবি?
লিখবে কি কবিতা আমায় নিয়ে??
যদি হই আমি সাতরঙা রামধনু,
মাখবে কি সেই রঙ গায়ে?
রাঙাবে কি নিজেকে আমার রঙে??
যদি হই কোনদিন রূপকথার গল্পের নায়িকা,
তুমি কি দেবে ধরা আমার কাছে?
হবে কি আমার সেই স্বপ্নে দেখা রাজকুমার??
এমনি কত এলোমেলো প্রশ্ন
রোজ ভিড় করে আসে মনে
মিলবে কি সেগুলোর কোনো উত্তর
এই বিস্ময়ভরা জীবনে??-
ভাষা পাবে চুপকথারা, পড়তে পারিস যদি
অভিসার বোনে হৃদমাঝার, আগলে রাখা অপেক্ষায়
অভিমানের পারদ গলে নামবে সুখের নদী।
ডাকনামটা মাখবে আদর, ঠোঁটের কোণে লাজ
ইচ্ছেনদীর জমবে আসর, কবিতার পাতায় আবেগ
ধুকপুকানি আঙুল ছুঁয়ে, বসন্ত আনাচ-কানাচ।
মনবাড়িটা প্রহর গোনে
স্বপ্ন সাজায় ফিকে ক্যানভাস,
লেপ্টে থাকিস মনকেমনে
মিথ্যেই না হয় একটু ভালোবাস।-
লিখেছি আবেগ তোমার নামে, ঘিরেছে শ্রাবণ একপশলা
লুটায় ধুলিতে অনাদরে ডাকনাম, মেপেছে পারদ অবহেলা।
লাল পলাশেরা ঝরে গেছে কত, ফাগুন মাখেনি দোলে
লালিত তবুও জলছবিটা, ক্ষতবিক্ষত দিলে।-