সিগন্যাল আগলে জোরালো আলো,
বৃষ্টি মাখা ট্রাফিক জ্যাম সঙ্গে
'আপনি' থেকে 'তুমি'-তে নামার ভিড়।
বহাল তবিয়তে সবই তো ছিল,
সাহসী রাত্রি, শুনশান উত্তরের গলি
আদৃত হৃদয়ের খোঁজে
জল ঝাপটানো মুকুটমণিপুর।
মরীচিকার খোঁজে ছুটতে গিয়ে এক মানুষ
ঢুকে পড়ে অন্যের আস্তানায়,
এ তো ব্যতিক্রম নয়
জানা দুজনেরই ,
তবে কেন এখন
বাজ পড়লে,
এলোমেলো চুল না সরিয়ে,
ছুটে যাচ্ছো
সাংসারিক সিঁদুর মাখা মুখের কাছে।
- অপ্রেমিকা🍂
-
শ্বেতশুভ্র বৃষ্টি ফোঁটা গুলোকে
জুড়ে জুড়ে তিলক পড়ি,
স্নেহপরবশে গড়ে উঠছিল
একটা বসত বাড়ি,
হাওয়ার গতি রুখতে না পেরে
ঝরে পড়লো তাস পাতার মতো.....
বিদ্যুৎ খেলা করলো
কালো জলের ওপর,
ততক্ষণে হারিয়ে গেছে অনেক কিছুই
সোনাঝুরির বনে অহর্নিশের আলাপ ,
রোদ্দুরে জমানো আসর
সংকেতের জুঁইয়ের বেলী....
এখন উপেক্ষারত কথাদের ছায়া
আমার মুখের 'পরে,
কেন অছিলায় হারালে?
কেনই বা দিলে চোখে কূলদেবতার
আরতির কাজল?
সবকিছু ছড়িয়ে একশা না করলে ;
আর একটা বর্ষাতি থাকলে আজ
গৃহপ্রবেশ করতাম ,
তোমার আমার তৈরি ' নষ্টনীড়ে '।-
ইতি , সূর্যমুখী / সুপর্ণা
১৭ই চৈত্র,বিকেল ৫:৩০ আজকের পর;
আর দেখা হবে না কোনোদিন,
পড়ে থাকবে আমাদের
হাতে বোনা রোদেলা আকাশ,
যেমন করে নিয়ন আলো
ধার করে পড়ে থাকে ,
মাঝরাতের পরিচিত শান্ত শহর।
মুখ নামিয়ে অচেনা আমি নতুনের ঘরে ফিরি,
অপেক্ষায় থাকা বৃদ্ধ পাতাগুলো বেতালে পায়ে ঠেকে,
সবকিছুর পর তোমার নিরবতাও বড়ো অবুঝ
নাহ্ ভালোবাসা নয় ,
সূর্যমুখী ঝড়কে সাক্ষী করে এবার তুমি,
খানিক ঘৃণার চাহনি দিও এ চোখে।-
এলোমেলো করা অমন তপ্ত সর্বনাশী চাহনির ,
এই ফাগুনে নাম দিয়েছি 'ঝড়' ।-