কৃপণের মেলা।
অস্তিত্বের লড়াই,
ক্ষুধার বড্ড জ্বালা।
স্বপ্ন বিকায় পাল্লাদরে ।

-

প্রতিচ্ছবি হাসছে।
মেঘের আড়ালে
কাটাকুটি খেলা,
ভালোবাসার ঘর
একলা স্রোতে ভাসছে।

-

যোগাযোগ হারিয়েছে।
ছিন্ন হয়নি নাড়ি ছেঁড়া টান;
বৃদ্ধাশ্রমে, প্রশংসা করে, বাবুসোনার গুনগান।

-

তারাদের ব্যাথা ,
দূর থেকে লাগে
অপরূপ এক রেখা।
এক আলোকবর্ষ পারে
তারাদেরও মন,
ভাঙ্গে আর গড়ে।

-

স্বচ্ছ নীল আকাশের কোণে জমেছে একটুকরো ঘন কালো মেঘ।
ঝরে পড়ে, ফোঁটা ফোঁটা জলকণা, ধুয়ে যায়, শহরতলীর বুকে চাপা পড়া আবেগ।

-

শিশির ভেজা নরম ঘাসের উপর
পদচিহ্ন এঁকে গেলাম‌..
সাক্ষী রবে,
স্মৃতিপথে খুঁজছি তোমায়,
তোমার অজান্তে, তোমারই প্রেমের শহরে।

-

জীবন-যুদ্ধ সমীকরণের
সমাধান খুঁজে, এগিয়ে যেতে হবে
আঁকাবাঁকা পথ ধরে।
কারণ, এগিয়ে যাওয়াই জীবন।

-

ভালবাসবো আবারও...
ঠকবো হয়তো আরেকবার;

মনের মাঝে অগাধ বিশ্বাস,
সব প্রেমিক, সমান হয়না।

-

অন্নদা, মিত্তির বাড়ির বড় বউয়ের একমাত্র মেয়ে। এই নামটি তার মায়ের আগে থেকেই ঠিক করা। অন্নদাকে জন্ম দেওয়ার পর বড় বউমা মারা যান, আর সেই থেকেই বাড়ির কেও অন্নদাকে দেখতে পারেন না। পরিচারিকা মিনামাসি অন্নদাকে মায়ের মতো দেখভাল করেন।
মিত্তির বাড়িতে দুর্গা পূজো বেশ ধুমধামভাবে হয়। ছোট্ট অন্নদার ইচ্ছে থাকলেও দুর্গা-দালানে প্রবেশ করার অনুমতি নেই কারণ সে নাকি অপয়া, তাই দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে থেকেই করুণ নয়নে চেয়ে থাকে মায়ের দিকে।
অষ্টমির সন্ধিক্ষণে মিত্তির বাড়ির সকলের চক্ষু চড়কগাছ....একি,দেখছে সকলে! দেবীমায়ের মুখমন্ডলে অন্নদার প্রতিবিম্ব।
আসলে মা বোঝাতে চান....প্রতিটি মেয়েই যে তারই রূপ।

-

বাতাসে বিষ, বৃন্তের তলায় কীটের বাস;
তবুও ফুলের পাপড়ি গুলো শত রঙ বাহারে,
দিনশেষে, ব্যর্থ প্রেমের মিলন ঘটাই।

-