"তোমার চোখে ব্যর্থতা,
আমার চোখে একতা।"-
স্মৃতি মুছে যায়, কেন মুছে যায়?
থাক না আজ,
এসব প্রশ্নের দ্বিধা-দ্বন্দের সংশয়! স্মৃতির ঘরের সদর দরজায় কলিংবেলের আওয়াজের অনুরণন শুধু এইটুকুই বলে,
" স্মৃতিভারে অন্তঃসত্ত্বা, মন ও মস্তিষ্কের দড়ি টানাটানিতে উজ্জীবিত স্মৃতিরা একসময় ক্লান্ত হয়ে সত্যের সামনে মুখ লুকিয়ে ফেলে। তবুও কি মুছে যায়? বোধহয়, মেঘনাথ এর মতই জীবনে চলার পথে রয়ে যায়!!"-
" টুকরো কথা"
সময় কথা বলে অবশ্যই ঠিক, যদি আমরা তার সঠিক ব্যবহার করতে পারি পারি তবেই কিন্তু ঠিক, না হলে সময়-ও সারাজীবন নিশ্চুপ ও নির্বাক হয়ে রয়ে যায়। আমাদের জীবনে সবকিছুরই মত সময়ের-ও একটা ব্যাকরন আছে। তবে "ব্যাকরনটা কি?" বেশিরভাগই আমরা, অলস সময় আর অবসর সময় এই দুয়ের মধ্যেকার সূক্ষ্ম সীমারেখার গণ্ডিটা গুলিয়ে ফেলি। প্রশ্ন ওঠে কি রকম! অলস সময় হল সময়ের অপচয় যেমন জীবনের অর্ধেকটা সময় আমরা ঘুমিয়েই কাটিয়ে দিই তারপর যেটুকু জেগে থাকি তার মধ্যে লুকিয়ে থাকে পরচর্চা-পরনিন্দা ও সব বিষয়েই অজুহাত। কিন্তু অবসর সময় হল প্রাপ্য সময় যা সারাদিনের ব্যস্ততা কাটিয়ে পরিশ্রম করে উপার্জন করতে হয়। যদি আমরা ঘাড় ঘুরিয়ে নিজেদেরই চারপাশটা একটু দেখার চেষ্টা করি তাহলে দেখব, যার কাছে প্রচুর সময় আছে সে আপনার আপদ-বিপদে একটুও সময় দিতে পারবে না কিন্তু সত্যিই যার সময়ের অকুলান সে আপনাকে কিছু মুহূর্ত হলেও সময় দেবে। আসলে জীবনে চলার পথে একটু অনুধাবন করার চেষ্টা করলেই বুঝতে পারি, আমার বিছানো কাঁটায় কখনো মাছের গলা, আবার মাছের কাঁটায় কখনও বা আমার গলা আটকে যায়। এই ভাবেই সময়, আমাদের দিকে আঙ্গুল তুলতে তুলতে আস্তে আস্তে ঘড়ির কাঁটার মতোই টিকটিক করতে করতে এগিয়ে যায়।-
"হৃদয় জুড়ে শুধু, আমার আমি!
সে আমার অনুভূতি
আমার যুক্তিহীন আবেগ,
স্পর্শহীন অদৃশ্য ভালোবাসা।-
"ধোঁয়াশা"
হতভাগ্য দেশে জন্ম আমার।
খাদ্যবাবু বলে, পর্যাপ্ত খাবার আছে
খাবার লোকের অভাব, সবাই কি অন্ধ?
শিক্ষাবাবু বলে, শিক্ষার কি দরকার? পরীক্ষাটাই বন্ধ!-
চুমুকের স্পর্শ যেন আমায় বলে,
"তোর সাথে আলাপ হয়ে আমি খুব খুশি।" চুমুক দেওয়ার সাথে সাথেই নিজের দৃষ্টিভঙ্গি কে নিজের সঙ্গী করে, নিজের সাথে নিজেই কথা বলি, সারাদিনের ব্যস্ততা কিভাবে স্মার্টলি সামলাবো? মনে মনে একটা সারাদিনের অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করি। মোটামুটি,প্ল্যানটা হয়ে গেলেই চায়ের কাপে শেষ চুমুকের শেষে চা ও কাপ দুজনকেই একটা প্রচ্ছন্ন ধন্যবাদ দিই, সেই প্রচ্ছন্ন ভালোবাসার মধ্যে এটা প্রাণের স্পন্দন লুকিয়ে থাকে।-
মেঘলা বিকেলের কিছু স্মৃতি, যা কখনো স্মৃতিবেদনা হয়ে রয়ে যায় আবার কখনো সেটা স্মৃতিমধুরও বটে। আজ এই অপরাহ্ণ বেলায় স্মৃতিতে ভেসে আসছে প্রাইমারি স্কুলে ক্লাস ফোরের এক মেঘলা বিকেলের কথা। শৈশবের বিকেল রোদ ঝলমলে বা মেঘলা যাইহোক স্কুল ছুটির পর ছুটতে ছুটতে বাড়ি ফিরে এসে ছুটোছুটি, খেলাধুলা, টায়ার চালানো এসব ছিল ঐটুকু বয়সে মনের ভেতর শান্তির আশ্বাস। কিন্তু সেরকমই এক মেঘলা বিকেলের শেষ পিরিয়ডে প্রকৃতি বিজ্ঞানের ক্লাসে ফুসফুসের ছবি আঁকতে না পারায় শাস্তিস্বরূপ বেতের ঘা খাওয়ার অপেক্ষায় আমার মতোই কীর্তিমানদের লাইনে প্রায় দশ বারো জনের পেছনে দাঁড়িয়ে থাকি। লাইনে দাঁড়িয়েও বেতের ঘা খাওয়ার কথা ভুলে গিয়ে বিকেলে বোধহয় মেঘলা আকাশের জন্য টায়ার চালানোটা মাটি হয়ে গেল এই চিন্তা করতে থাকি। হঠাৎই আমার মাথায় বুদ্ধি আসায় টায়ার চালানোর লোভে আমি সবাইকে টপকে মার খাওয়ার জন্য প্রথমেই দাঁড়িয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর স্যার আমাকে দিয়েই মার শুরু করে লাঠিটা ভেঙে ফেলে, লাঠিটা ভেঙে যাওয়ায় আমার পেছনে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা বাকি সবাই মারের হাত থেকে রেহাই পেয়ে যায়। অসহ্য যন্ত্রণা ও নিদারুণ জ্বালা নিয়ে সারা শরীরে হাত বুলাতে বুলাতে সেদিন বাড়ি ফিরে ছিলাম।
-
I have no regrets about you jumping up and down just make sure that the age of my feelings does not increase.
Thanks and regards.-