ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে
--------------------------
তবুও হঠাৎ জবানবন্দি মুখ,
ফিরে পেতে চাই অতীতগামী দিন।
একলা মানুষ বিষণ্ণ-উজবুক।
বেদনার জলে স্মৃতিরা আজ লীন।
কি হবে ভেবে কাঁপছে হঠাৎ বুক,
ঈশ্বর আজ কোথা আছে জানি না।
সুখের আশায় আজও চেয়ে উন্মুখ।
সব শেষ হবে একথাও মানি না।
তবুও তো মন মানছে না কোনো কথা,
ছেলেভোলানো আওড়ানো সব বুলি।
কিভাবে কাটবে দুঃখের নিরবতা!
কাঁধে বন্দুক রেখে ঈশ্বর ছুঁড়ছে গুলি।
তবুও জীবন হারতে শেখেনি আজও,
স্বপ্ন দেখছি সব হয়ে যাবে ঠিক।
জীবন যুদ্ধে এবার সৈনিক সাজো,
বাকি কথা তো বর্তমান, সাম্প্রতিক।
ঈশ্বর তুমি জেনে রাখো একটা কথা,
জীবনকে আমি ভালোবেসেছি, বাসবই!
যতই তুমি তিলে তিলে দাও ব্যাথ্যা,
দেখে নিও আমি শেষ হাসি হাসবই।-
উন্নয়ন মানে দুটাকা কেজি চাল পাওয়া নয়☝️
উন্নয়ন মানে হল,
নিজের রোজগারে যেকোনো দামের চাল কেনার যোগ্য হওয়া👍-
বেকারত্বের তকমা নিয়ে, বুকের ভেতর অবক্ষয়।
পাতা ঝরার এ মরশুমে বান্ধবীদের বিয়ে হয়।।-
কেমন আছো? করছো টা কি?
মিথ্যে কথার এই শহরে?
মনের কথা আজও যে বাকি,
এখনো কি মনে পড়ে?
বলেছিলে সামলে থেকো,
নিজের মতোই অন্ধকারে,
আমায় ছাড়াই বাঁচতে শেখো,
খড়কুটোকে সঙ্গী করে।
আজ কেনো তবে ডাকছো কেনো,
তোমার কি আজ মন ভালো নেই,
বিশ্বস্ততার হাতটা চেনো,
আটকে আছি সেই তুমিতেই।
তুমি কি আজ একলা-একা,
হারিয়ে গেছে সমস্তটা,
পাগলী আমার, ধুর!বোকা!
মুছিয়ে দেবো চোখের ফোঁটা।
শীতের দিনের উষ্ণতা রোদ,
দুজন মিলে বুনবো বিকেল,
এখন সময় বন্ধু হবার,
নিরীহ আর সাংঘাতিকে।
আবার আমরা ঘুরবো বিকেল,
চেনা বাস আর সন্ধের ট্রামে,
ঠোঁট আর ঠোঁটের ব্যারিকেডে,
কাজল চোখের বৃষ্টি থামে।
আজকে নাহয় মান অভিমান,
সরিয়ে রেখে জড়িয়ে ধরি।
ভুল বোঝাবুঝির হোক অবসান,
চল না আবার প্রেমে পড়ি।
সোমনাথ
-
পৃথিবীকে ভালোবেসে কতটুকুই বা বুঝি,
একলা ট্রেনের জার্নিতে তাই একাকিত্ব খুঁজি।
নিয়েছি তো অনেক কিছুই, কতটুকুই বা দিলাম,
ভিড়ের মধ্যে আমি তো শুধু খড়কুটোটাই ছিলাম।
তাই তো আজ একাকীত্বে খুঁজছি তোমার মুখ,
প্রতিশোধেরা আমার উপর ছুঁড়েছে বিদ্রুপ।
একলা ট্রেনের জার্নিতে আর শরীরী অসুস্থতায়,
এমন দিনের দুর্দিনেতে বিরহভাব জোটায়।
খুব রাগ হয় নিজের উপর, নিজেরই দংশনে,
এমন দিনে মুহুর্তরা পড়ছে বারে মনে।
আমার জন্য একাকী ট্রেন, জোনাকী তোমার তরে,
আবার জানি হবেই দেখা অসুস্থতার পরে।
সোমনাথ-
কাটিয়ে আঁধার মনখারাপের,
প্রেমের প্রদীপ জ্বালো,
আর যায় হোক, ভুল মানুষকে--
ভুলে যাওয়াই ভালো।
-
কোন বসন্তে কৃষ্ণচূড়ার ডিপ রং,
ছিটকে এসে লাগবে জামায় রং-জল।
কোন বসন্তে লাগবে জোড়া ভাঙ্গা মন,
প্রেমদিবসে সাজবে শহর-মফঃস্বল।-
তুমি বদলে গেলেও, সূর্য আজও পূর্বদিকেই ওঠে।
তোমার অবহেলায়,শব্দরা তাই বিদ্রোহী হয়ে ওঠে।।
সোমনাথ
-
বসন্ত ও প্রেমদিবস
________________
এখন অনেক শান্ত চোখের সংলাপ,
ঠোঁটের কোণে আটকে কথা, জিভজট।
বসন্ত প্রেম পিছিয়ে হঠাৎ দুইধাপ,
ডজ, ড্রিবলিং তবুও তো গোলে ভুলশট।
হাতের তালুই থমকে আসে বন্দর,
চোখের ভাষা বুঝতে পারে কোনজন?
ভেতর থেকেই বন্ধ প্রেমের অন্তর!
উদাসী মন হাতড়ে খোঁজে নির্জন।
কোন বসন্তে কৃষ্ণচূড়ার ডিপরং?
ছিটকে এসে লাগবে জামায় রংজল!
কোন বসন্তে লাগবে জোড়া ভাঙা মন!
প্রেমদিবসে সাজবে শহর; মফঃস্বল।-
শহর জুড়ে জন্মদিনের বিচ্ছেদ,
মনের কথা ব্যাকস্পেসেতে বন্দি।
আপন হয়েও দূরে থাকার ইচ্ছে,
মনের মানুষ গুপ্ত প্রতিদ্বন্দ্বী।
সোমনাথ
-