পরিচিত কণ্ঠ ভরে যাক বাতাসে ।
বদ্ধতা ঘুচতেই
যন্ত্রণা মুছতেই
সকলে আবার মেতে উঠুক উল্লাসে ।
সূর্য উঠুক এবার ঘরের আকাশে ।-
দেশ ভরি কত অনাচার আজি ,
কত কূট-নীতি কত কারসাজি ;
রুখে দাঁড়ালেন বীর নেতাজি ,
দেশ-সংগ্ৰামে হইলেন রাজি ।
অরাজকতার নাই অবকাশ ,
দেশবাসী সব হইল হতাশ ;
রুখে দাঁড়ালেন নেতাজি সুভাষ ,
সকলে ফেলিল দীর্ঘশ্বাস ।-
মহাশয় আপনারে করিয়া শ্রদ্ধাঞ্জলী
ভক্তিভরে প্রণামের সাথে বলি ,
উপকৃত হয়িয়াছি আমি আজ
অন্তরে যেহেতু আপনার বিরাজ ।
অজ্ঞ আমি বিজ্ঞ হইতে সদা ছাত্রবেশে ,
বসিয়া রহিব আমি আপনার দেশে ।
শীর্ষে লইয়া আপনার উপদেশ ,
অক্ষুন্ন রাখিব আমার জীবনাবশেষ ।।-
বহু আবেগ লইয়া মরিব যবে ,
পারিলে তুমি মোর নিকটে রবে ।
মম বাসনা রাখিতে চাহিলে তবে ,
মাল্য সাজিয়ো মোর নিথর শবে।
তব অক্ষি বাহিয়া ঝরিলে পানি
পূর্ণ হইবে মোর জীবনখানি ।
শুনিতে চাহে তব মলিন বাণী ,
জীবন ভরিয়া মোর হৃদয়খানি ।
তাহা শুনিতে পারিলে মোর অন্তর হইতে
হইবে যাতনাহানি ।-
তুমি আজ নাই তবু পরাণে সাজাই
মোরা তোমারে সাজাই , প্রভু ।
তব সে অভাব তব প্রাণহীন ভাব ,
মোরে সুখবাসী করেনি কভু ।
তুমি সে অমর কবিগুরু মোর ,
অঞ্জলি করি তোমাতে হৃদয় ,
শ্রদ্ধেয় রবী অন্তঃপ্রাণকবি ,
এই রবে তব পরিচয় ।-
অশ্রুর জলে ভাসাব তোমারে ,
রাখিব না তব মোর বাসনায় ।
ভাবনা তব অন্তর মোর চূর্ণ করিয়া যায় ।
বিজন এ মোর জীবনধারায়
মিলিবে না গো তব প্রাণ হায় ,
থাকিব না হয় বহু বেদনায়
দূর সাগরপাড়ে রাখিয়া তোমায় ।
চিত্র তোমার মুছিয়া ফেলিব
ফাল্গুনের ওই শীতল হাওয়ায় ,
বারে বারে মন কী কারণে তব পানে ফিরিয়া চায় ।-
কি আকাঙ্খায় আমি
শতরাত জেগে রই ,
তাহারই অপেক্ষায়
বড়ো যে কাতর হই ,
বৃথাই সে অপেক্ষা —
আমি তো তাহার নই ।-
আমি জানালার পাশে বসে আছি ।
বাইরেটা চেয়ে দেখি —
কত গাছপালা , কত বাড়িঘর ,
কত ফুলফল আর পশুপাখি ।
বাইরেটা এত সুন্দর , তবু
বদ্ধ ঘরেতেই বসে কেন থাকি !
আমি জানালার পাশে বসে আছি ।
বাইরেটা চেয়ে দেখি —
দিনরাত কত লোকেদের আনাগোনা ,
কত লোকেদের জলে ভেজা আঁখি ।
তারা শ্রম করে , প্রতিদিন লড়ে ,
তারা কি অসুন্দর নাকি ?
আমি জানালার পাশে বসে আছি ।
বাইরেটা চেয়ে দেখি —
সৌন্দর্য শেষ হয়ে এল ,
অসুন্দর হতে আর নেই যেন বাকি ।-
প্রতিদিন একটা স্বপ্ন ভেঙে যায় ,
তা যেন আবার নতুন করে গজায় ।
স্বপ্ন দেখি শুয়ে শুয়ে আমার শয্যায় ,
দাড়িয়ে আছ তুমি আমার মনের দরজায় ।-