প্রিয় ,
কিছু শুরুর হয়তো শেষ থাকতে নেই; তাই আবারও গুটিসুটি পায়ে ফিরে আসা। তোমার কাছেই শেখা নীরবতার তুলিতে আকাশ সাজিয়ে তোলার কৌশল।সুপ্তির সাথে সখ্যতা নেই বহুদিন। সে সুযোগেই এই নিরবিচ্ছিন্ন পারস্পরিক বুনটে বাঁধা পড়েছি আমরা অজান্তেই। নিদারুণ কোলাহল বর্জিত আমার আস্তানায় প্রহরীর মত আগলে রেখেছো আমার একাকীত্বের কোষাগার। অভিমানের চাদরে মোড়া নীলাভ স্বপ্ন সাময়িক বিচ্ছেদ ঘটালেও সময়ের হিসেব মেনে আবার তোমার রাজ্যে শুরু হয়েছে আমার অবাধ যাতায়াত। আঁধার ঘেরা তোমার নিস্তব্ধতা, ঝিঁঝিঁ পোকার ঐক্যতান, টিনের চালে বৃষ্টির মেঘমল্লার তোমায় আরও অন্যন্য করে তোলে।
রবির রূপালী আভা যতই বুক চিরে পরাস্ত করার পরিকল্পনা করুক; দিন শেষে মুখ ডুবিয়ে আগামীর অনুমতি নিতে হয় মাথা নিচু করেই। তুমি আছো বলেই ভোরের আধিপত্যে সুখ আছে। ঠিক যেমন তুমি আছো আমার নির্ঘুম বালিশের পাশ ঘেঁষে।
ইতি-
সময়ের দাপটে জমতে থাকে হিসাবহীন বলিরেখা ,
ফিকে হয়ে যায় জোয়ার ভাঁটার পর্ব;
একঘেঁয়ে, আমি'টার খোঁজ চালায় বিলুপ্তির খাতা ;
রং চটা জানলায়, বৃষ্টির আনাগোনাও আজ বন্ধ।
-
এক শালিখের গপ্প
দুই শালিখ ছিল, ভীষন তৃষ্ণার্ত বিষন্নতায়,
বেরিয়ে পড়ত হঠাৎ বৃষ্টি ভেজার আশায়;
আগলে রাখার কথা নাইবা থাকুক দেওয়া,
উষ্ণতা পেলেই দ্রবীভূত হত জমাট বিষন্নতা।
খড়কুটো জোগাড়ের নেশায় ব্যস্ত যখন ঠোঁট-
নিজের বাসার স্বপ্ন টুকু না'হয় সার্থক হোক!
বুঝে ওঠার আগেই যখন ছিঁড়ল তার জোড় ;
অপয়া অপবাদে ঘুম ভাঙলো, সেই এক শালিখের ভোর।
-
প্রত্যেকের যেমন নিজের একটা দহন থাকে; ঠিক তেমন আমরা একে অপরের দহনেও পুড়ে ঝাঁঝরা হই। তুমি যেটা'কে জলোচ্ছ্বাসের বাষ্প বলে ভুল করছ, সেটা পাশে না থাকার অনুশোচনার ধুম।
-
আমরা যদি সত্যিই স্বাধীন হতাম তবে রাতের রাস্তায় ভয়ে হাঁটতে হতো না আমার বোনেদের, আমরা যদি সত্যিই স্বাধীন হতাম তবে রাস্তা দখলে নামতে হত না আমার বোনেদের। নির্থক এই স্বাধীনতার উৎসব বড্ড চোখে লাগছে। কাল যে সব জায়গাতে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা করা হলো এটা কী খুব দরকার ছিল! না হয় একদিনের এই স্বাধীনতা উদযাপন একটু বন্ধ ই রাখতাম। খুব ক্ষতি হয়ে যেত কী! তিলোত্তমার মত নাম না জানা বোন গুলোর জন্য না হয় স্থগিত রাখতাম এ সব।
যাইহোক হয়তো আমি এখনো এত উদার হয়ে উঠতে পারিনি। তার জন্য ক্ষমা প্রার্থী।-
দু পায়ে হাঁটলেই তো আর মানুষ হওয়া যায় না;
শরীর দেখেই হিংস্র হাসি, এরা মানুষরূপী হায়না...
আকাশ সমান উল্লাসে, লোভের থাবায় রক্ত তার;
কলি যুগেও ধ্বংস হবে রক্ত বীজের বংশ যার।
বিচার যদি পিছিয়ে পড়ে খড়গ হাতে আসবে সুখ,
অন্ধ হয়েও রাজ শাসনে ধৃতরাষ্ট্রের পুড়ছে মুখ।
প্রতিরোধের আগুন জ্বেলে আমার হয়েও পথ হেঁ'টো;
মেয়ে আমার রাতের বেলায় দুর্গা রূপেই ঘরে ফেরো।-
চাইলেই যদি আকাশ ছোঁয়া যেত
নিয়মের মেঘ ছিঁড়ে ছুঁয়ে দেখতাম ঠিক
উদাসীনতা নেব তোমার থেকে ধারে
অপ্রাধান্যের পর্ব, সে'তো আমার দোষেই ঠিক।
-
বেপরোয়া প্রত্যাশাদের মনের চিলেকোঠায় বন্দী করে রাখাতে হয়। না হলে মরীচিকার মত এক ঝাঁক অলীক স্বপ্নের মায়া জাল বুনতে থাকে শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত।
-
যত্নে থাকা বাগান কেমন শীতের ভয়ে রং হারায়..
কাঁপতে থাকা বুকের ভিতর মারণ ঘুণও ঘর পাতায়।-