ওরে! আর কতদিন বইবি আমায়?
এই আমি ঘুমোলাম এইখানে।
যা দিকি আমায় ফেলে ছুটে যা!
স্মৃতি ভুলে খুঁজে আন জীবনের মানে।
মৃত হই, স্বপ্ন হই, ভুল কী ঠিক
ছুটতে গিয়ে ভুলতে আমায় হবে!
স্মৃতি হাতড়ে বল তো দেখি তুই
কে বেঁচেছে, কবে?
---সুজান মিঠি
-
আজ বাইশে কাঁদছে শ্রাবণ
লুটিয়ে হৃদয় সিক্ত পথে,
শেষ ঠিকানা দুঃখ সুখের
হাসেন ঠাকুর কাব্য রথে।
ঝরছে কান্না বিরামবিহীন
মেঘের কোলে লুকিয়ে রবি,
অঝোরধারায় বাইশে শ্রাবণ
আঁকছে মেঘে বিশ্বকবি।
---সুজান মিঠি
--------------
08. 08. 2019
-
দোল-গাঁথা
সুজাতা মিশ্র(সুজান মিঠি)
প্রতিবছরের মত আবার দোল। রঙে মাতামাতি।
তুমি বলবে, ‘তাই সই শুধু আঙুলটা তুই বাড়া।
তোর যত ঢং, ন্যাকামো। চারিদিকে রং আবীর
দেখ দেখি সবার মুখে বুকে .. জেগেছে গোটা পাড়া।
রং মেখেছে রে, অন্য কিছু বলছিনা তো আজ।
হাতটা ছুঁয়ে ধরতে দে, গোলাপি আবির মাখি’।
আমি ভয়ে ভয়ে হাত বাড়িয়ে দেব বারান্দার গ্রিলে
তুমি তর্জনীতে আবির ছুঁইয়ে বলবে , ‘এইতো
দেখ এবার গোলাপী হাত ভরিয়ে দিলাম নীলে।’
তারপরে আদর সোহাগ সব মিশে যাবে রাস্তায়
তুমি উদ্দাম ঝড় হয়ে ছিন্ন ভিন্ন করবে ধুলো,
আকাশে উঠে যাবে ভয়ানক বজ্রের আগুনে
কাদামাখা আবর্জনায় নোংরা হবে আমার চুল ও।
তোমাকে আমি আমার তর্জনী দেখিয়ে ডাকবো
বলবো চিনতে কি পারছো না, এ তোমার নীল!
তুমি কঠিন হেসে বলবে, ‘ সেকি আমি কি আকাশ নাকি
আমি এখন উড়ছি ঠোঁটে ছেঁড়া মাংস আমি এখন চিল।’
বারান্দার গ্রিল খুলে উঠোনে নেমে চিৎকার করবো আমি
ওগো আমি আমি দেখো এইযে এইখানে এস দাও সাড়া
প্রতিবছরের মত আবার দোল। রঙে মাতামাতি।
‘বলবে তাই সই, তুই আঙ্গুলটা শুধু বাড়া।’
চোখের পলকে আটকে ভয় আমি বাড়াবোই তর্জনী
তুমি লাগাবে ময়ূরকন্ঠী, তাকাবে বুকের খাঁজে,
আমি আবার উঠোনে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে মনে পড়াবো
তুমি আবার হারাবেই ছেঁড়া ছেঁড়া মাংসের ভাঁজে।
-
'আমাদের সেই তাহার নামটি রঞ্জনা'
ইথার থেকে ভেসে এসে মর্মে প্রবেশ করেছিল।
এক আকাশ প্রাপ্তিতে নদীতে বেজেছিল সেতার।
সে রেশ এখনো কর্ণে…
ঘুঙুর গুলো ক্লান্ত ভীষণ; অশ্রু অনর্গল।
কোমর-বন্ধনী এলিয়ে পড়েছে এ বিশ্বের শোকে।
মুদ্রা কাঁদছে, মঞ্চ কাঁদছে, রাতের শেষ অন্তাক্ষরি।
মুখ লুকিয়েছে রঙগুলো, বিবর্ণে।
প্রণাম শাঁওলি মিত্র🙏
প্রণাম বিরজু মহারাজ🙏
---
সুজান মিঠি
-
আমিই বিলে
সুজান মিঠি
আমি এখন ছোট্ট মানুষ
ধ্যানে বসেছি ধরো
বন্ধ দুচোখ, স্বপ্ন অনেক
মাটিও শক্ত বড়ো।
তুমি বলবে, 'বিলে কোথায়?
নরেন'ও তো নয়!'
তবু, আমার বজ্র মুঠি
একফোঁটা নেই ভয়!
বিবেক আমার গড়বে দেখো
মা যে শেখান রোজ
'মানুষ তুমি! মানুষ থেকেই
মানুষ নিও খোঁজ!'
ধরো, আমিই বিলে আজ।
কালকে নরেন আমি
অযুত হৃদয় গড়ব বুকে
বিবেকানন্দ স্বামী।
-
মা- বাবু এই যে দেখ, ট্রেন বাস লরি এসব কিন্তু মানুষ বানিয়েছে। আর মানুষই এর সামনে পড়লে চিঁড়ে চ্যাপ্টা!
তন্দ্রিলা(সোনাই/বাবু)- না গো মা! মানুষ তো আর ট্রেন, বাস, লরি তৈরি করে রাস্তায় ছেড়ে দিয়ে বলেনি...নে তোদের বানালাম, এখন ক্ষমতা তোদের!
ওরা কি কাউকে ধাক্কা মারে বলো? ইঞ্জিন তো সেই মানুষেরই হাতে!
মা- তাই তো!🤔🤔
-
কালো রঙে শিক্ষা শুরু হয়, যদিও কালো ব্লাকবোর্ডের উপর সাদা চকের বিন্দু ফুটে ওঠে বলেই কালো শুভ হয়ে ওঠে।
তন্দ্রিলা মুখার্জী
ষষ্ঠ শ্রেণি
-
কানে কানে মাধবী এসে বলে
শিশির নাকি ভালোবাসে তাকে,
ঘাসের তাই গাল ফুলেছে খুব
মাটির বুকে অভিমান আঁকে।
কী আর করে মাধবী নাকি শেষে
ঘাসের বুকে ছড়িয়ে দেয় স্নান
শিশির ভেজা ভালোবাসা গায়ে
ঘাসও এখন ভুলেছে অভিমান।
---
সুজান মিঠি
-
দুঃখ দিয়েছ প্রভূ
দাও সহন বাকি।
অশান্ত বিষাদ যত
সময়ে আহুতি রাখি।।
যাপন দিয়েছ প্রভূ
দাও বহন কাঁধ।
অশ্রু জোয়ার যদি,
দিও ধৈর্য্য; সাধ।।
---
সুজান মিঠি
-
যে প্রাণ জন্ম নিল এইমাত্র
তাকে বলে দাও…
রোদ্দুরে সোনা এবং আগুন দুই'ই থাকে
বেছে বেঁচে নেওয়া শিখে নিতে হবে
নিজেকেই!
---
সুজান মিঠি
-