না, আমি বিপ্লবী নই।
প্রতিদিন মরতে মরতে বাড়ি ফিরি - 'মানুষের টানে'।
না, আমি হারিয়ে যাই ভিড়ে।
নিজের মাথাকে ক্লান্ত করে রাখি উদ্ভট চিন্তায়।
এত ভয়! এত ভয় কেন?
মানুষের পাহাড় যখন অন্ধের মত গিলে ফেলে সমস্ত বিষ,
তখন জেগে উঠি আমি - আমার আগ্রাসী ঋণাত্মকতা নিয়ে।
চরাচর ব্যাপ্ত করে ভেসে ওঠে অজস্র প্রাণের যন্ত্রনা।
সহজের খোঁজে অন্ধকার পাতালে খুঁজে বেড়ায় উত্তর।
যখন সাধারন মানুষের মাথায় যুক্তির বন্যা বয়ে চলেছে,
তখন জানি না কি উপায়ে ক্রমাগত শাস্তি দিয়ে চলি নিজেকে।
ভীষণ ভয়, কি দারুন তার প্রতিঘাত! কি অব্যর্থ তার প্রতিক্রিয়া!
না, আমি লিখতে পারিনা।
যখন দেখি অজস্র মানুষের দল আবার হাতে তুলে নিয়েছে তার স্বাধীনতা।
সস্তা কলমের আঁচড়ে ফুটিয়ে তুলছে ভবিষ্যৎ।
আর দেরি নেই, মানুষের দল ঘুমিয়ে পড়বে চিরতরে।
প্রেক্ষাগৃহ থেকে আলতো সুরে ভেসে আসবে ঘুমপাড়ানি মন্ত্র।
অন্যের মুখোশে ঢেকে ফেলবে নিজের মুখ।
আর আমাদের মত মানুষ বিক্রি করে যাবে কবিতা।।
-
কন্ঠ ছাড়ো জোরে।
দেখা হবে তোমার আমার,
অন্য গানের ভোরে।❤️❤️
"তোমার চোখে... read more
My realisation.
Please read it.
Pardon for grammatical mistakes.
🙏🙏-
---------" শিক্ষিতদের ভীড়ে"
সুদীপ মুখার্জী---------
স্টেশনের বাইরে যে চায়ের দোকানটা আছে, আজ বসে ছিলাম সেখানে।
এমনিতে বসিনা, জায়গাটা নোংরা।
সিগারেটের ধোঁয়া বের করে সবে চায়ে চুমুক দেব, হঠাৎ পিছন থেকে জামাতে পরল টান!
হকচকিয়ে পিছনে ফিরে তাকায়।
সঙ্গে সঙ্গে পা থেকে মাথা পর্যন্ত একটা জঘন্য ঘেন্না বয়ে যায় শরীরের মধ্যে।
ছিঃ, এত নোংরাও কেউ হতে পারে!
একটু ভদ্রতা- সভ্যতা নেই, এই বাজার ভর্তি লোকের সামনে এত বড় একটা বয়স্ক-ধেঁড়ে লোক ন্যাংটা হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
মনে হচ্ছিল একটা লাথি মারি লোকটার বুকে, নেহাৎ আমি ভদ্র শিক্ষিত অন্য কেউ হলে দুবার ভাবত না।
তোমরাই বলো, ওই রোগ ধরা চামড়া যদি আমার গায়ে লাগতো!
ভাবলেই ঘেন্না করে।
মানুষ কিভাবে এতটা অভব্য হতে পারে ওটাকে না দেখলে বিশ্বাস হয় না।
নাওয়া নেই- খাওয়া নেই লোকের কাছে হাত পেতে বেড়াচ্ছে।
নিজে নোংরা থাকবি থাক কিন্তু ছোট ছোট বাচ্চাগুলোরও একই অবস্থা।
দেখলেই বমি পায়।
গা থেকে অমানুষিক দুর্গন্ধ, কাছে যাওয়া যায় না।
কিন্তু বাচ্চাগুলো কেন হাত পেতে বেড়াচ্ছে বুঝলাম না!
পেট তো ঢিস হয়ে ফুলে আছে,
নিশ্চয়ই ভালো রকম দাঁও মেরেছে।
আমাদের মতো শিক্ষিত-ভদ্র মানুষের জন্য এরা প্রতিদিন প্রাণে বেঁচে যায়, না হলে কবে ম্যানহোলের নিচে হারিয়ে যেত এদের অস্পৃশ্য মৃতদেহ।।
-
-----"বঙ্কিম"
সুদীপ মুখার্জী
স্তিমিত অপরাহ্ণের বঙ্কিম আভায়- রক্তিম হয়ে উঠেছে পথঘাট।
উচ্ছিষ্ট শাকসবজিতে ভরে গেছে হাটের রাস্তা।
দরদাম শেষ করে ফিরতি পথ ধরেছে মুখে বিজ্ঞাপন আটা মানুষ।
পচা মাছের গন্ধে গ্রাম থেকে উড়ে এসেছে বায়সের দল।
সময়ের আবহ এখানে থমকে গেছে গভীরে।
মানুষের অনুর্বর মনে মিশে গেছে ভেজাল।
নিষিদ্ধ বাতাসে গুমোট উগ্রতা।
রাতের নিশ্ছিদ্র অবকাশে কোন এক নিশাচর সরু জিভ দিয়ে স্বাদ নিয়ে গেছে শীতল লোহিতের।
অপাচ্য মাদকে আসক্ত এখানের মানুষ।
আরক্ত জিভে চিবিয়ে চলেছে নিজের শরীরের ভোজ্য অংশ।
দেহের রোম নেচে উঠবে রক্তের তৃপ্ত ঘ্রাণে।
নাস্তিকের রক্তে তার তৃষ্ণা হবে ক্ষান্ত।
অনন্ত ক্ষুধাই অতৃপ্ত তার দেহের প্রত্যেক কোষ।
বিকৃত যাতনার বিকারে সেজে উঠেছে সে।
তার প্রত্যাখ্যান হয় না- হয় প্রত্যাবর্তন,
বীজ মন্ত্রে সুরক্ষিত তালা ভেঙ্গে উঠে এসেছে অন্ধকার থেকে।
হাজার বছরের প্রাপ্যসম্মান ছিনিয়ে নেবে অশ্লীল ভদ্রতায়।
সহস্র পরজীবীর সূচালো দন্তে ফুটে উঠেছে আগামীর প্রতিচ্ছবি।
উন্মাদ আলিঙ্গনে অতিষ্ঠ করে তুলবে সমাজকে।
নিষ্ফল সম্মানের প্রত্যাশায় শ্বাপদের বীজ পুঁতে যাবে বেহায়া বর্ণসঙ্কর।।-
"মুখোশ"
সুদীপ মুখার্জী
রাতের অন্ধকারে দূর থেকে দেখা যায় তাদের, পৃথিবীর বুকে যখন নেমে এসেছে শীতল মৃত্যু।
পা টিপে টিপে আপনার জানালার পাশ দিয়ে উঁকি মেরে গেছে তারা।
আপনার মৃত চোখের আড়ালে- কালো কালো ছায়া গুলো কিলবিল করে বেরিয়ে এসেছে, অশুভ অন্ধকার জগত থেকে।
আপনার ঘরের অন্ধকার কোণে ঘাপটি মেরে বসে আছে।
তারা গন্ধ পেয়েছে আপনার ক্ষুদ্রান্ত্রে আধপচা কাঁচা মাংসের।
রাতের অন্ধকারে তারা উলঙ্গ।
পূর্ণিমার নিভৃত রাত্রে তাদের উল্লাস নৃত্য।
কখনো আপনার শিওরে দাঁড়িয়ে তাকিয়ে আছে- একদৃষ্টে আপনার টোল খাওয়া ভুঁড়ির দিকে।
আঁশটে গন্ধ ছড়ানো এসব নিশাচরের শ্মশানে ফেলে যাওয়া শব দেহ নিয়ে সোল্লাস।
রাতের অন্ধকার কালো কালো ঝোঁপে গুটিসুটি বসে আছে এরা।
পথভ্রান্ত এক পথিকের পাথেয় হয়ে।
মধ্যরাতে যখন চাঁদ ঢাকা পরবে ঘন কালো মেঘে,
উঁচু উঁচু তালগাছের অন্ধকার মাথা থেকে
নেমে আসবে এরা।
রাতের দিগন্ত জুড়ে নেমে আসবে করাল কুয়াশা।
ঠান্ডা বাতাস কাঁপিয়ে ছুটে আসবে দুর্গন্ধ।
আর আপনি ঘুম থেকে জেগে খুলে ফেলবেন আপনার চামড়া।।-
সিগারেটে টান মেরে
ভুলে যাও বেদনা
সব ব্যাথা লিখে দাও
যদি কেউ শোনে না।।-