অনেক কথা বলার আছে বাকি
অনেক স্মৃতি দিচ্ছে মনে উঁকি;
অনেক কিছুই বলতে যে মন চায়
দুঃখ জমে নাভিশ্বাসের গায়।
বেশ কিছুদিন ছিলাম তোমার উঠোন জুড়ে,
দুঃখ সুখের ঢেউ খেলানো অনেক স্মৃতিকে ঘিরে
বেশ কিছুদিন মেতেছিলাম আমি ,
সবার সেরা আমার কলেজভূমি।
তোমাকে দিলাম আমি আমার হৃদয়
যা কিছু আমার আর যা আমার নয়
স্কুলে দেখা আমার স্বপ্ন যত
তোমার কাছে হলো তারা সত্য।
প্রথম যেদিন নিলাম তোমার স্মরণ
নবীনভাবে করলে তুমি আমাদেরকে বরণ।
থেকেছি চুপচাপ বড়দের পিছে
কিন্তু যত উৎপাত ছিল তাদেরই কাছে।
তারপরেতে যেদিন নিলাম মিন্টুবাবুর দীক্ষা
খুব যতনে শিখিয়ে দিলেন যন্ত্রকলার শিক্ষা।
পেয়েছি drawing এর শিক্ষা মিলনবাবু হতে
Engineering এর স্বাদ পেলাম সমনাথবাবুর কাছে।
ক্লাস ফাঁকির যে ভীষণ মজা
তারই সাক্ষী ছিল পিছনের দরজা;
তারপরেতে বিকেলবেলায় ক্লাসছুটির পরে
সবাই এসে ভিড় জমাতাম কলেজমাঠের তীরে।
-
● আমি সুদীপ্ত ঘোষ
নিতান্তই উদ্দেশ্যহীন, প্রেমহীন, স্বাধীনচেতা এক মানব।
● পৃথিবীর প... read more
দৃষ্টিসড়ক ঝাপসা হলেও
স্বপ্নেরা চায় মনের গোপন;
মন-অভিধান হাতড়ে দেখি
তুমিই আমার অবচেতন।।
-
এক পৃথিবী ঝলমলে রোদ
আলো ছড়ায় সঙ্গোপনে
চাঁদের আলো যেথায় স্নানে
মায়াবী এক তুলির টানে
গল্পেই বলি এমন মেয়ের গল্প
মনের কোণে ফুটে ওঠা অজানা চিত্রকল্প,
তার শরীরেও গন্ধ মাটির
তার চোখেতেও দৃষ্টি স্থবির;
তার চোখেতেই কথা হারায়
স্নেহপাগল দুটি চোখ
আমার গল্পে সেই মেয়েটার ,
স্নেহা নামেই মুক্তি হোক।।-
আমার রবি
~ সুদীপ্ত ঘোষ
শুদ্ধ নি করি মা,
যতন করে আগলে রাখি
খাঁচার ভিতর অচিন পাখি।
বাঁচবো বলে বাঁচিয়ে রাখি
খাতার পাতায় বৈঠকি রবি।।
ভ্রমের মোহে ভ্রমন করি
ভ্রমণ নেহাত মন্দ না;
দূরহ আশায় বুক ভরে যায়
দ্রোহয় ভরা মনমোহনায়।।
তবুও আমি ঘুমিয়ে পড়ি
আঁকড়ে ধরে তোমার ছবি,
তবুও দুচোখ স্বপ্ন দেখে
খুব গোপনে রবির সাথে।।
বাংলা ভাষা বইছে মোদের,
রক্তে আছে সহজ পাঠ।
তোমায় ঘিরে বাংলা বাঁচে
শব্দ সাজে রবির সাজে।।
আগলে ঘিরে বাঁচতে চাই
তোমার সাথেই প্রতিটা রাত;
স্বপ্নে আমার যাপন করে
ছেলেবেলার রবীন্দ্রনাথ।।
-
মেঘবালিকা -
স্মৃতি রোমন্থনে
সারাদিনের ওই সময়টায় তোকে বেশ লাগে আমার। বিকেলবেলায় যখন তুই আর আমি বসে থাকি চিলড্রেন পার্কের সেই কোনটায়, যখন অস্তগামী সুর্যের শেষ লাল আভাটুকু ছুঁয়ে যায় তোর ওই সোনালী মুখটায়; বিশ্বাস কর আমি স্বর্গ দেখেছি। সন্ধ্যের শান্ত আকাশটার মতো তুই যখন নিবিড় হয়ে বসে থাকতিস তখন নিজেকে কেমন যেন পাগল পাগল বলে মনে হতো আমার। মনে হতো জরুরী নয় যে তোর হাতটা ধরতেই হবে কিম্বা তোর কাঁধে মাথাটা রাখতেই হবে, তখন শুধু মনে হতো তোর দিকে তাকিয়ে থাকতে, তোর ওই মিঠে রোদ্দুরস্নাত শরীরের ঘ্রাণ নিতে। হতো দু-একটা কথা কিম্বা হতোই না হয়তো
জানিস!
তোর ওই কালো চোখদুটোর মাঝে তাকিয়ে যখন আমি পড়তাম তোর মনের কথা হয়তো একচিলতে হাসি লজ্জা পেতো তোর ওই লাল ঠোঁট দুটোর ফাঁকে। হয়তো তোর মনে হতো আমি কেমন স্বার্থপর, একা একাই সব অনুভূতি গুলো উপভোগ করছি, কিন্তু বিশ্বাস কর এর মাঝেই নতুন জীবনের সূচনা দেখতে পাই।
কি করবো তোকে নিয়ে আমার এই বিক্ষিপ্ত ভাবনার গল্পগুলো যে সারাক্ষন চষে বেড়ায় আমার মস্তিষ্কের অলিগলি ।।-
# শহরের উষ্ণতম দিনে_
নির্জন দুপুর ,ধূ ধূ মাঠ , শুকনো পুকুর , ঝরা পাতা , মরা গাছ , রাস্তা ধুলো ,
কিসের যেন ষড়যন্ত্র চলছে...
মেঘেরা সন্ধি করে গোপনে, আকাশের সাথে ;
গাছেরা সভা করে বাতাসের সাথে
নদী চিঠি পাঠায় সূর্যকে
বৃষ্টির নাকি আজ তার বাড়ি নিমন্ত্রণ......!!-
বিপ্লবী চিঠি
- সুদীপ্ত ঘোষ
বুক কেঁপে ওঠে আচমকা দেখে,
রাজপথে বসে অগণিত লোক।
রক্ত-মাংস আর একতাল স্বপ্ন
চোখের কোণে কল্পনারা ভগ্ন
কিসের আশায়, কিসের নেশায়
ওরা কোন ধ্যানেতে মগ্ন?
কঠোর রোদে মনের শহর
কোন দাবিতে কাটায় প্রহর?
অবক্ষয়ী সভ্যতায় বিষণ্ন সুন্দর
অসহায় শিশু মাতৃজঠরে কাঁদে
বেকারত্ব ঢাকে সাদা কফিন;
মহাপ্রস্থানের পথে আজ
মৃত স্বপ্নের অন্তিম দিন।
কিন্তু...
পাথর চাপা বুকেও একদিন
আশার আলো উঠবে জ্বলে,
কবরে ঢাকা স্বপ্ন ছেড়ে
একটি চারা উঠবে ফুঁড়ে;
রাজনীতি সব নিপাত যাবে
শিক্ষা সেদিন মুক্তি পাবে।।
-
মধুচক্রের মলাটে মুক্তির সংজ্ঞা খোঁজে ক্লান্ত মৌমাছি
ঠিক যেমন,
বসন্তবিমুখ অরণ্য সাজায় শীতের পর্নমোচী।।-
নির্জনতার সোহাগে হাপিত্যেশ করে প্রেমসিক্ত মনবাড়ি,
অতীতের বাগানে সন্ত্রস্ত স্মৃতিরা খোঁজে নিষ্কৃতি-
প্রেমহীন বাগানে উদ্বাস্তু প্রেমিকের নিঃস্পৃহ হাহাকার
জাহান্নামের কক্ষপথে নিপাত যাক বিষন্নতার ক্যালেন্ডার
পুনশ্চঃ
প্রেমের হরফেই মুদ্রিত হোক উন্মাদ প্রেমের ইস্তাহার।।
-
স্পর্শকাতর সম্পর্কে একটু স্পর্শের লাগি অস্পৃশ্য এ মন মর্মস্পর্শী!!
-