আলোয় আলো নিয়ে;
সেজেছে শহরে আনন্দের রোশনাই,
না জানি কেন;
সাদা-কালো ক্যানভাসে থাকা
রঙিন জলের স্তর
আজও সেই ফেকাশে রয়ে যায়।-
মেঘভাঙা বৃষ্টি;
সাথে শরীর জুড়ে বেরঙিন টক্সিন।
এমন মেঘলা শোকে
বড় বিষন্ন আজ এ দিন।-
সে ছিল তুলোর মতো;
ঢেকেছিল চারিদিকে শুভ্র তুষারের ন্যায়।
সে ছিল স্নিগ্ধ সমান;
যেন শান্ত পুকুরে কোন তরঙ্গ ওঠে নাই।
সে ছিল বহমান স্রোত;
যাহা নদীর বুকে কোনো বাধা পরে নায়।
হঠাৎ তার মনে জমল বিষন্নতা;
অকালে সে ঝড়ে গেল, দুঃখ আবেগী রিমঝিম বৃষ্টির ন্যায়।-
যদি চলে যাই নিরাকার সুরে;
পিছু ডেকোনা কখনও আর,
অতীতে সে ডাক দিয়েছিল
মোর প্রাণে থাকা প্রিয়জন,
সেথা ফিরে এসে আমি
দেখা পায়নি তাঁর দ্বিতীয়বার।-
তুমি কে!
যে আমায় ভেঙেছে একদা;
তুমি কী সেই!
কেন ফিরলে হেথা পুনরায়!!
ফিরে যাও।
আর আশা কোরোনা স্থান,
হেথায় জ্বলেছিল আগুন;
বিভীষিকায় ভস্মীভূত হয়েছে প্রান।-
দ্বীপান্তরে আজো আঁধার নামে,
ঢেউরাশি রাখে মহরা বারংবার।
ডালেরা আবার ধরে নৃত্য,
চোরাবালি ফোঁটায় পটচিত্র।
সেথা পরে এক আজব ছায়া,
উরে যায় কোনো অলীক মায়া।
চাঁদের কোলে ছবি ভাসে তার,
তারায় তারায় লেখা গুণহার।
বলতে পারো কে সেই মায়া?
কোন জগতে তার অবস্থান?-
না থাকার ইচ্ছে,
না বলার চেষ্টা,
তবু কাছে ডাকা বারবার।
খেলার পাত্র হয়ে যায় তারা;
যাদের মনে অন্যের মায়া নেয় অধিকার।
শেষে এল লক্ষ্যভেদ;
মন হলো ক্ষতবিক্ষত,
সময় দেখে শুধু ভাঙ্গন আর কান্নার হাহাকার।
তবে সময় জানে ক্ষতের মানে;
তাই মনের ক্ষত বুঝিয়ে
পূর্ণ করে সে বারবার।-
যদি ফুটে ওঠে নতুন পর্ণ
সেই বেরঙের পুরাতন ডালে,
যদি তারা ধরতে পারে আবার ছন্দ
কোনো ভিন্ন অনিল তালে,
তবে ক্ষতি কী বলো!
নিজেকে গুছাতে; একলা হয়ে
না হয় ভুলিয়ে দিলাম তোমায় এবার;
কোনো নতুন সুরের টানে।-
জ্বলেনি বাতি আঁধার ঘরে,
লেগেছে ক্ষুধা শহর জুড়ে,
দেশ হয়েছে রণক্ষেত্রে হাহাকার,
কিছু মানুষ তবুও বেঁচে আছে;
স্বপ্ন কল্পনায় গড়া
নিজের দেশটাকে নিয়ে,
রূপকথাদের ভিড়ে।-