-ভালো লাগছে না, তোমাকে খুব মিস করছি।
-সে কি! কেন? তোমার সুন্দরী সঙ্গিনীরা আছে তো!
-নাঃ তুমি দূরে গেলে ওদেরকেও আর ভালো লাগে না। তুমি কাছে থাকলে মনও ভালো থাকে আর..
-আর সেই মনের দখল পেতে মনোহারিণীদের খুব একটা অসুবিধে হয় না। তাইতো? তবে তো দূরত্বই ভালো!
-না, একটুও ভালো না, তুমি তাড়াতাড়ি চলে এসো....
-কেন যাবো? কাছে থাকলে যদি মনের থেকে বেরিয়ে যাই আর দূরে গেলে মনের দখল পাই তবে আমি দূরেই থাকি।
-ভুল করছো, আরে পাগলি! আমার মন জীবন সব তো তোরই!
-এটা তো তুমি ওদেরকেও বলো। বলো না?
-আরে সে তো শুধু নাটক!
-সে তো সবার সবটাই নাটক এই পৃথিবীর রঙ্গমঞ্চে...আর তোমার জীবনের দখল আমি চাইনি কখনও, শরীরেরও না-সে তুমি ভালো করেই জানো। আমার আছে মনের ক্ষিদে যা তোমার মনের দখল নিয়ে মেটাতে চাই। তার জন্যে দূরে থাকতে হলে তাই সই।
-না, আমাকে তুমি এভাবে দুঃখ দিতে পারো না।
-পারি। কারণ দুঃখের দহনে একদিন তুমি খাঁটি সোনার মতো শুদ্ধ হয়ে উঠবে,বোধি লাভ করবে। সেদিন তোমার কাছে ভালো-মন্দ সুখ-দুঃখ আলো-আঁধার বা দূরত্ব-নৈকট্য সব এক হয়ে যাবে, কোনো তফাৎই থাকবে না।
-বেশ, শুধু আমার মনের দখল নিয়ে তুমি যদি আমায় স্থিতপ্রজ্ঞা দান করো, তবে তাই হোক....হে নিঠুরতমা তোমার জয় হোক।-
হৃদমাঝারে রবি ঠাকুর,
মলম দিতে ক্ষতস্থানে
কলম জুড়ে মন মুকুর।
প্রথম থেকেই হয়েছিল অনেক ভুলভাল!
আমি হারিয়েছি সুর, তুমি গুলিয়েছ তাল।
ভেবেছিলাম শেষের গানটা অন্তত ঠিকঠাক...
ছিঁড়েই গেলো তার! থাক তবে, আজ থাক।-
তোকে ভালবাসি বলতে চেয়েও বলা হল না শেষমেশ।
তুই কখনও শুনতে চেয়েছিস বলেও মনে পড়ে না।
চাইবিই বা কেন?
তোর আসক্তি তো মন-বিহীন শরীরে;
তাই শরীর-বিহীন মনের ডাকে সাড়া দিতে তোর বয়েই গেছে!
আমি একা নই জেনে তুই চটেছিলি বেজায়...
সে দিনটা ভোলার নয়-
নির্মম আক্রোশে হিংস্র জন্তুর মতো আঁচড়ে কামড়ে,
নিঃশেষে ঢেলে দিলি যত পৌরুষ আমার সন্ত্রস্ত পেলব অঙ্গে ! তারপর...
তারপর সব অন্ধকার... জ্ঞান হারানোর আগে-
একটা বাদুড়ের ডানা ঝাপটানোর আওয়াজ কানে এসেছিল।
তারপর কেটে গেছে বহুদিন, তুই বেপাত্তা।
কিন্তু বিগ ব্যাং সত্যি হলে বিগ ক্রাঞ্চও অবশ্যম্ভাবি(?)
তুই এসে দাঁড়ালি আমার শয্যাপাশে, শুধু...
সাদা চাদর আর সাদা ফুলে ঢাকা আমার মুখে কথা এলো না।
বলা হল না- "আলো নয়, অন্ধকারই চেয়েছিলাম"
বলা হল না "তোর জন্যেই তুলে রেখেছিলাম আমার সবটুকু একাকীত্ব"
বলা হল না.... "ভালবাসি..." বলা হল না......-
আর কিছু নেই আগলে রাখার,
আটকে থাকার মিথ্যে দায়!
মরা গাঙে বান আসেই যদি-
ভাঙন তবে কে ঠেকায়?
-
যারা প্রথম কলম ধরতে শিখিয়েছিল তারা আজ আর নেই! অথচ এমনটা হওয়ার কথা ছিল না। কথা ছিল যেতে হলে তিনজন একই দিনে একই সময় একসাথে যাবো। কিন্তু.... "কেউ কথা রাখেনি" নয়, আমাকে স্বীকার করতেই হবে- আমি কথা রাখিনি। ওরা চলে গেলো। আমি শুধু তাকিয়ে থাকলাম.... গেলামও না ওদের সাথে। গেলে নাকি ওরাই কষ্ট পেতো! ওরা যে সত্যি, ওরা যে মিথ্যে নয়- আমিই নাকি তার সবচেয়ে বড়ো প্রমাণ! কি জানি! কিচ্ছু জানি না। শুধু জানি আমি এক অপদার্থ সন্তান যে কিনা অতিমারী নামক সিস্টেমের সাজানো ষড়যন্ত্রের কবল থেকে তার মা বাবা রূপী ঈশ্বর বন্ধু শিক্ষক পথপ্রদর্শক.... এক কথায় যারা তার বেঁচে থাকার কারণ তাদেরকেই বাঁচাতে পারেনি। নিস্ফল ফলাফল বেঁচে আছে... কারণ নেই.... এই পৃথিবীর কোথাও আর তাদের সজীবতার চিহ্ন মাত্র নেই...... কলমেরও দম আটকে আসছে। জীবন হয়তো কেটে যাচ্ছে জোড়াতালি দিয়ে। কলম থেমে গেছে, ছন্দ শব্দ লয় তাল সুর বেসুর সব হারিয়েছে....হারিয়ে যাক.... সব হারাক... কিছু ফিরে চাই না.... কারণ যাদের সবচেয়ে বেশি চেয়েছি তারাই আর ফিরবে না... ফিরবে না.... ফিরবে না.......
-
না হয় আমি আবার একা হবো,
না হয় তারা খসবে গভীর রাতে-
কান্না যদি না আসে আর চোখে
কলম তুমি আসবে কি এই হাতে?
না হয় প্রেম চাইবো না আর প্রাণে,
হারিয়ে দিঠি কালোয় ভুবন ভরা-
ভোরের আলো না ফোটে আর যদি,
কবিতা? তুমি দেবে আমায় ধরা?
গল্পগুলো জমবে আবার তবে?
বাঁধনহারা জীবন যাবে বয়ে?
অর্থনীতির মিথ্যে দাম্ভিকতা -
গানের সুরের ধারায় যাবে ক্ষয়ে!-
আলো,
তুমি এতো কম ভালবাসো কেন?
এতো কম কাছে আসো কেন?
সম্পর্কে দূরত্ব বাড়লে-
হবেই গভীর অন্ধকারের সাথে পরকীয়া,
আর অবসাদের বন্ধুত্ব অটুট....।-
চোখ থাকতেও আজকে সবাই অন্ধ,
নীরোগ জিহ্বা তবু কথা নেই মুখে!
মানুষ তো নয় যেন পোষা তোতাপাখি!
শেখানো বুলিই কপচায় মহাসুখে।
বিদ্যে বুদ্ধি প্রখর ও সাম্যবাদী!
বিচার যদিও চিরদিনই একপেশে,
আজ রক্তস্নাত মানবাধিকার দেখেও
ওঠে না কৃপাণ পিশাচদের উদ্দেশে।-
আপন খেয়ালে সাজে মহানভ আলোক সজ্জায়,
নীল গ্রহটা ধুঁকছে কেবল মরণ শয্যায়।
ত্রিকালদর্শী অঙ্কগুলো ব্যঙ্গের হাসি হাসে!
চেতনার ভুলবোঝাবুঝি তবু দূষণের আশ্বাসে।
আপেক্ষিক মাপকাঠি যত বুনে চলে কথকতা!
উপলব্ধিকে গলা টিপে মারে সাজানো বাস্তবতা।
-
কালো, তবু আলোর উৎসধাম-
সৃষ্টি প্রলয় সবই তার মর্জি,
কেউ বা ডাকে কৃষ্ণ ঘনশ্যাম!
কেউ বা বলে 'ডার্ক এনার্জি'।-