।।।।। কুয়াশা ঘেরা দার্জিলিং।।।।।
- শুভময় চক্রবর্তী
ঘুম ঘুম চোখে সকাল দেখা
কুয়াশা ঘেরা পাহাড় আঁকা
মনে হয় শুভ্র সমুদ্র কোনো
শায়িত নিদ্রা বেশে যেন
রোডোডেনড্রন যেন ডাকে
ধুপি গাছের ফাঁকে ফাঁকে
পাইন বনের পাতায় পাতায়
কুয়াশা মাখা নির্জনতায়
একটু দূরে দেখা ভার
ঘিরে আছে কুয়াশার চাদর
অনুভূতির দোলা আসে প্রাণে
কুয়াশা মাখি আপন মনে
ভিজে সোয়েটার দিচ্ছে সাড়া
কুয়াশা মেখে নিচ্ছে যারা
পাহাড়ি রমণী দিচ্ছে হাঁক
গরম চায়ে পড়ুক চুমুক
কুয়াশার আমেজে শুষ্ক ত্বক
শীতের সকাল দিচ্ছে ডাক
=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-
অগোচরে জানতে চাই তোমার মনের গোপন।
।।।।। যখন তুমি এলে।।।।।
-শুভময় চক্রবর্তী
যখন তুমি এলে সাঁঝের বেলা দেশে,
কত ফুল আঁকলে তুমি।
এই রুক্ষ বুঁকের বিদীর্ণ দুয়ারে এসে,
অমলিন চিত্তে বিরাজ জানি।
যখন বৃষ্টি শব্দে ঢালিলে প্রাণের প্রহর,
এই চৌচির বক্ষ মাঝে।
জুরইলো প্রাণপাখি মিটাইলো তৃষ্ণার জোহর,
তোমাতেই বিলীন অক্ষী বুজে।
শহুরে ধোঁয়ায় ধোঁয়ায় তার ফুসফুস আক্রান্ত,
বিষ-বৃক্ষের আধুনিকতায় অঙ্কিত।
তখন তুমি জুড়াইলে প্রাণ এনে বৃষ্টি অবিশ্রান্ত,
সোনায় সোহাগা হলো অবিরত।
জাগলো নতুন প্রাণ এই নিস্পন্দ ধরায়,
খুঁজে পেলো সে আহ্বান।
সদা পল্লবিত হলো বৃক্ষরাজী বৃষ্টির ছোঁয়ায়,
তোমার আগমনে সুরের তান।
তুমি এলে তাই এই গান গাই,
সুরের ছন্দে ছন্দে বেঁধে।
তুমিই তো জীবন জুড়ানো বারির সই,
অন্তর জুড়াও গান সেঁধে।
-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-
-
Once in a while,
You
Gave me a smile,
Now
I find myself huge,
Coz
You are my muse.
-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*--
ESSENCE OF DURGA PUJA
FLYING HIGH OVER THE GREEN GREEN TREES,
HOVERING BY YOUR SMELL WITH SWARMING BEES.
AS I TAKE A LEFT TURN ON THE GALLOPING ROAD,
I SEE A GROUP OF HORSES WITH ARMED COAT.
I AM SINGING YOUR SONG WITH GREAT AMUSEMENT,
FIND MY TRUE SELF IN A DOTTED LINE OF STRENGTH.
BLUE BLUE IS THE SKY WHITE WHITE IS THE CLOUD,
WHITE CATKINS ARE MOVING THEIR HEADS OUT LOUD.
ITS THE TIME WHEN HOLY MOTHER COME DOWN FROM KAILASH,
BRINGING US JOY AND HOPE OF LIVING BETTER WITH MY CRUSH.
STILL FLYING BY REMEMBERING YOUR GREAT GREAT POEM,
AS A COWBOY I SEE MY HEART WITH JOY AND AMAZING OPTIMISM.
------------------------------------------------
-
।।।। স্বপ্ননীল ।।।।
জঠরের উদগীরিত লাভার প্রকাশ,
স্বপ্ননীল সাম্রাজ্যের নীলাভ অবকাশ।
উপেক্ষিত চরণতলে উদ্বেগহীন যাত্রী,
কৃষ্ণমূখী কৃষ্ণচূড়ার ফুলের আর্তি।
দিবানিশি যে আবেশে ফুলের ঘ্রাণ,
মোহিত চিত্তে সন্ধ্যা প্রদীপ আওহ্বান।
কুহেলিকার মিষ্টি সুরে বনানীর ছন্দ,
নিস্তব্ধ আঁধারের অভিমানী আনন্দ।
কল কল রবে বুক চিরে বিচরণ,
মেঘহীন আসমানে তারাদের সমাগম।
বিস্ময়ে প্রকৃতি উল্লাসে রাতজাগা পাখি,
মাঝি তুলিতেছে দাঁড় অবগুন্ঠনে ঢাকি।
স্বপ্নের জালে জেলে তুলিতেছে মাছ,
গুঞ্জনে গুঞ্জনে করিতেছে কাজ।
তমসা ঘনায় চোখে স্বপ্নের রাজ্যে,
শব্দে প্রাণে ঘ্রাণে স্বপ্নীল আজ যে।
ধরণীর বুক চিরে কৃষকের ফলা,
করেছে ধরণীকে সুজলা সুফলা।
মৃত্তিকার গন্ধমাখা পিঁপড়ের ঘর,
প্লাবনের সময় তার জীবনে ঝড়।
তুফানেতে পথহারা বিহঙ্গের দল,
বাসা বাঁধে আসিয়া বুকে করে কোলাহল।
উজান পাইয়া নাও মাঝি ভাসায় দরিয়ায়,
উজানের তোড়ে নাও ভাসিয়া যায়।
চন্দ্রমুখীর কালো দাগ গোপনেতে থাকে,
নিঃসঙ্গ বিশ্বে একাই গন্ধ আঁকে।
স্বপ্ন একলাই সঙ্গী এই যাত্রার পথে,
নিরুদ্দেশের উদ্দেশ্যে স্বপ্নের রথে।
-
।।।। মন ও শরীর ।।।।
মনের অন্তর্দ্বন্দ্বে যখন শারীরিক অনুভূতিরা লোপ পায়,
তখন পূর্বজন্মের স্মৃতিচারণায় শরীর শিহরণ খুঁজে পায়।
নিঃশব্দ আচরণের ভঙ্গিমায় শারীরিক শিহরণ প্রাণ খুঁজে পায়-
কখনও কখনও।
কিন্তু আজ এতকাল পরে দূরে দরজায় দীর্ঘ-নিঃশ্বাসের দল
ঠেস মেরে দাঁড়িয়ে আছে।
দূরে মৃদু সমীরণের আনাগোনা।
শারীরিক অনুভূতিরা প্রবল আবেগে ধেয়ে আসে মনের দরজায়।
প্রাণ কত প্রাণ আছে এই মনের অভিজ্ঞতার সীমানার শেষে।
কিন্তু সেই প্রাণের খোঁজ কবির নির্মল কালীতে খসখস করছে
অমসৃণ পাতায়!
দেখ বর্তমান ও তিক্ত অভিজ্ঞতায় জরাজীর্ণ ছিলো।
কিন্তু অতীতের সিক্ত চাহনি এই বর্তমানের অভিজ্ঞতায়
ক্যানভাস তৈরি করে নেয়।
সেখানে কবিতার পার্সোনিফিকেশন মনকে সবুজ করে দেয়।
শরীর তখন সারা দেয় নতুনত্বের আওহ্বানে।
উনুনের নীল শিখা অবসাদের শরীরকে উত্তেজিত করে,
মনের সবুজ আওহ্বান পেয়ে।
অতীতের তিক্ত ইচ্ছেরা অন্য স্টেশনে নেমে যায়।
যা বাকি থাকে তা শুধু প্রেমিক মন, যা শরীরের সুপ্ত বাস্তবকে জাগ্রত করে।
অভিজ্ঞতারা শরীরকে পঙ্কিলতা মুক্ত করে।
সাধের রসিক প্রেমিক প্রেম খুঁজে পায় মনের অতলে।
মন ও শরীর অভেদ রয়ে যায়।
কিভাবে!
ওই যে কবির 'ক্যানভাস', সেখানেই তো সব স্টেশন।
তাই চলতে চলতে ছবিগুলো জীবন্ত হয়ে যায়।
আর 'আমি', তুলিতে রং মাখি।
----------------------*********----------------------
|||| Spoke of millennium ||||
Sudden burst of happiness
Roaring above my head
Speechless utopia is in motion
Utter forgiveness flashes upon
Gods arm filled with spawn of life.
There I shall sleep
Upon the hezzy corner of a field
Bearing twinkle of shiniest star
And bestowing the good wish
There I shall sleep.
Oh! Almighty your merci is so soft
So soft that it crack the softiest bed
You are so beautiful that
I make my mind to sleep.
Oh! Almighty. I shall sleep.
I shall sleep!
-
।।।। বন্দি জীবন।।।।
শেকলের বন্দনায় সম্মোহিত জীবন,
স্বাধীনতার আস্বাদ দূর বহুদূর।
চিরন্তন অনাবিষ্কৃত সৃষ্টির উল্লাস খোঁজে-
যদি পায় কখনো শুকনো প্রাণের ঘ্রাণ।
অনন্ত স্মৃতিরাজ্যে যার বিচরণ,
শেকলের মায়ায় করে যমদূতের সাধনা।
সমুদ্র যায় শুকিয়ে যার সমাগমে-
মরুর মতো শুষ্ক তার মনের আবরণ।
তাই একলা ঘরে একলা প্রদীপের আলো,
যার ছায়ার নিচে থাকে তার জীবন।
শেকল-বন্ধন হতে হতে চায় মুক্ত-
সস্নেহে মাথায় বোলায় তার জ্যোতির মাল্য।
বন্দ ঘরের জানালার ফাঁকে দেখে চাঁদ,
কত অপরূপ কত নির্মল ও স্বাধীন।
স্বাধীন বিহঙ্গ করে যায় গান-
তার একলা কুঠুরির বন্দি জীবনের স্বাদ।
সহনশীলতা তাকে করে কত প্রশ্ন,
ধৈর্য হারায় তার গতিপথ।
কত মরুপ্রান্তর পেরিয়েও আজ-
হয়নি স্বাধীন তার মন নিয়ে শেকলের স্নেহ।-
As time goes by
I stayed here
Thinking of you,
To embrace your
BEAUTY.-
।।।। সবুজ মন।।।।
অতীতের স্মৃতিচারণায় সম্পৃক্ত এই ক্ষণ,
কত সৃষ্টিকে করেছিলে আহ্বান তুমি-
তারই প্রতিচ্ছবি এখনোও প্রতিফলিত হয়।
হয়তোবা স্বল্প সময়ের জন্য।
আজ বর্ষায় প্লাবিত মনের নদীটি।
তাই সন্ধ্যায় সেখানেই কাগজের নৌকায় 'মন-মাঝির' সাথে ভেসে যাই অজানার উদ্দেশ্যে।
পার হয়ে যায় কত সুন্দর স্থাপত্য, কত নাম না জানা বন।
কত পাখি ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে যায় তাদের আস্তানায়।
পার হয়ে যায় কত প্রশ্ন, কত স্মৃতি, কত প্রত্যাশা, কত অহংকার, কত প্রাণ।
তবুও 'মন-মাঝি' দাঁড় টেনে যায়।
নৌকো চলছে উদ্দাম গতিতে জানে না কখন গন্তব্য আসবে।
পর্যন্ত সূর্যের হলুদ আভা গায়ে মাখিয়ে কত সন্ধ্যা পার হয়ে যায়।
মন যে তার হিসেব জানে না।
পার হয়ে যায় কত জনপদ, কত বর্ষাস্নাত বনানী।
নদীর তীরের ফুলের মধুতে আকর্ষিত কত ভ্রমর-ভ্রমরী।
তারা সবাই গাইছে জীবনের জয়গান।
গাছের মগডালে বসা ওই ফিঙে পাখিটিও আজ মনের আবেগে খুলেছে তার সুরের সাতরঙা কলতান।
প্রবল হরষে প্রকৃতি গাইছে তার জয়গান।
এত কলতানে মন যে হয়েছে মুগ্ধ,
প্রকৃতিকে মনের মাঝে পেয়ে,
তখন 'মন-মাঝির' অপরূপ গুন গুন গানের সুরে মনের তেপান্তর খুলে যায়।
ব্যাঙগোমা- ব্যাঙগমিরাও এই কলতানে সামিল হয়।
তখনই 'মন-মাঝি' সেই কাগজের নৌকা স্বপ্নের রাজ্যের তীরে নিয়ে আসে।
তখনই দেখি প্রভাতের রক্তিম আলো স্বপ্নের বিছানায় লুটোপুটি খাচ্ছে।।
-