আমি তোমার কারনে ক্ষনিকের আনন্দ অনুভব করি,
আবারও তোমার কারনে হাজারো নীরবতার ঢেউয়ের দারুন যন্ত্রণা সহন করি!
তোমার জন্য আকাশ সাক্ষী রাখতে পারি, বাতাস সাক্ষী রাখতে পারি, বিশ্বের বিরুদ্ধে বিচরণ করতে পারি।
শুধু তোমার জন্য এক রঙিন আকাশ লিখতে পারি।।
-
আমি জানি আমি অন্যদের মতো স্মার্ট ভাবে কারো সাথে ভালো করে কথা বলতে... read more
অনেকদিন পর খাতা-কলম হাতে সাথে গাঢ় বেদনা। আর নতুন এক স্থান প্রস্তুত হবার কালেই বিষন্নতা। গোটা সম্মুখভাগ জুড়েই একাকিত্বের নজরে আসবার অবস্থায়। মিষ্টি হাসি,মিষ্টি মুখখানি, আর ওই চেয়ে থাকা দৃষ্টি ভাসমান অবস্থায় অনবরত প্রদক্ষিণ করছে সম্মতি না থাকা সত্ত্বেও। এ কল্পনা বহু বছরখানেক প্রতীক্ষা শেষে নূতন শিহরণের কল্পনা, এ প্রতিফলন সদ্য জাগরিত ঊষাকালের স্নিগ্ধ ছটার ন্যায় আবেগপ্রবণ। স্নিগ্ধ ছটা যেন আমায় গ্রাস করে রেখেছে তীব্রভাবে। মনে হচ্ছে অনুভূতিরা হৃদয় ঝড়া লালের মাঝে খিলখিলিয়ে হাসছে। আর মস্তিষ্ক' বিচ্ছিন্নতার আশঙ্কায় জেগে বেড়াচ্ছে নিশীথ থেকে ঊষা সবেতেই।
-
ওহে মৌসুমী প্রভাবী বর্ষণ, তুমি ভোরের স্নিগ্ধ দীপ্তি, তুমি বসন্তের লাল পলাশ, তুমি মরীচিকা । আমি মাখছি তোমাতে বিরামহীন তোমাতে।
তোমার ওই শব্দে আবারো জেগে উঠেছি আমি, ওহে বর্ষণ। যেখানে ছিল কাঠ কয়লা এ যুগে সেথা মৃদুমন্দ আবহ স্নিগ্ধকাল। যেন বেলি ফুলের ঘ্রাণে মত্ত হয়ে মাতাল আমি চিরকাল।-
এক অনিয়ন্ত্রিত আভাস। তোমায় নিয়ে গল্প লেখা রয়ে গেছে ঝিঁঝি প্রকার ন্যায় গুনগুন স্বরে গেয়ে ওঠা রাত্রিকালীন নিরবতা। লক্ষ্যবস্তু ভেদ করছে যেন তীরের মত, ভবিতব্যের চরিত্র যেন আজি চাই!
-
""প্রিয় তোমার জন্য"" - শুভঙ্কর দাস
খুব সুন্দর একটি সকাল তোমার জন্য,
তোমার জন্য এক আকাশ সমান সূর্যমুখী ভালবাসা—
যা জেগে থাকবে অনন্তকাল ধরে।
কাল-যুগ সবেরই সমাপ্তি ঘটবে কোন না কোন এক দিন!
কিন্তু তার মাঝে উজাড় করে বেঁচে থাকবে সে শুধু তোমার জন্য।
আমি যে দিয়ে এসেছি তাদের আমার জীবন!
তারা যেন চিরকাল বেঁচে থাকে, তাই জন্য।
ঠিক তাই জন্য এক আকাশ সমান সূর্যমুখী ভালোবাসার মৃত্যু নেই।
অমর হয়ে বেঁচে থাকুক তোমার জন্য, আমার ভালোবাসার জন্য, তোমার হয়ে।
থেকে যেও তুমি ওগো কালজয়ী অপরূপ-সৌন্দর্য, আমার কাব্যে প্রতিটি পাতায় পাতায় অক্ষরে অক্ষরে তোমার নাম, তোমার স্মৃতি, তোমার কণ্ঠস্বর' ঠিক যেমন নির্জন এক সন্ধ্যায় তোমার স্নিগ্ধ কেশ সুগন্ধিতে পাগল হয়ে মাতালের অবস্থায়!
আবারো কোনো সময় নীল-সাদায় অল্প সেজে, সাদা গোলাপ খোপায় গেঁথে, এত মধুর কত কথা কলি, আর মাঝে মাঝে একটু করে আলতো হেসে ওঠা ওই মুখ খানি—
চক্ষু সান্নিধ্যে যেন জীবনের সার্থকতা বোঝাই। আবারো কোন এমন এক বৃষ্টির দিনে তোমার অল্প ভেজা এলোমেলো চুল, টানা টানা চোখ, মুখ আমার ঝাপসা হয়ে যাওয়া চশমা যেন তার ইশারায় উন্মাদ।
উন্মাদ আমি বিভোর হয়ে, এক আকাশ সমান সূর্যমুখী ভালোবাসা হয়ে।
আমি উন্মাদ, উন্মাদ আমি চিরকাল অমর হয়ে।
প্রিয় তোমার জন্য, এক আকাশ সমান সূর্যমুখী ভালোবাসা থেকে যাক অনন্তকাল ধরে।।-
ভোরের আঁখি আমায় চেনাই —
স্তব্ধ ঝড়ের কোলে যখন নিশানায় নীরব, জেগে থাকা ঘুম ঘুম চোখে শুধুই তাণ্ডব! মনে হয় কত কাল স্তব্ধতা ছিন্ন করে সব রসাতলে। মেঘেরাও বোধহয় নিদ্রাচ্ছন্ন শতকাল ধরে "ঠিক মালিকের মতো"। তবুও একবিন্দু বৃষ্টি কণা দেখা যায়নি বর্ষাকাল ধরে! শুধু ভোরের সূর্যি রশ্মির স্নিগ্ধ ইতিহাস অজানা বাহানায় ছুটে বেড়ায় মনে হয় কত দূরের বাণী আজও সংকীর্ণ পথে। ছুটে চলেছে ঠিক এভাবেই বৃষ্টিহীন মেঘের মতো, যেখানে শুধু কাব্য লেখা হয় সমাপ্তি আর ঘটে না, তেমনি বসন্ত আসে বছরে বছরে ফন্দি আঁকে কত তবুও তার রং,,, "তোমার আমার সংযোগের মতো, সমাপ্তিহীন কাব্যের মতো, বৃষ্টিহীন মেঘের মতো, কত কিছুর অভেদ হুবহু আমার চরিত্রের মত"! যেখানকার কাব্যে ভোরের অস্তিত্বত আছে কিন্তু সেই স্নিগ্ধ আলোর ছটা কখনোই পৌঁছায় না। পৌঁছাই শুধুই মন ঝলসানো অ্যাসিড বৃষ্টির ন্যায় কঠিন- কঠিন অনুভব।।-
""শেষ প্রান্তর"" -শুভঙ্কর
তোমার দিশায় আমি রক্তিম ভাবি,
দাবানলে ছাই ভস্ম!
ওই যেথায় গুপ্ত কল্প কবি,
মেঘাচ্ছন্ন অন্তিম মন্ত্র।
কত দেখায় শত ভাবের বাণী,
স্তব্ধ দুনিয়ার কেন্দ্র —
মূর্ছা যে একুশের নবজাতি,
অশ্রুকালের আধুনিক যন্ত্র।
তবু বৈশাখের প্রভাবী সুনামি ঝড়ে,
বিশাল সব রণ বাহিনী —
ডুবছে তরী ছাপিয়ে বহু একর খড়ে,
কাব্য গড়ি কত কাহিনী।
কোন সনে' কত ছলে' ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠানে —
অনুভবে উদ্বিগ্ন অন্তর,
কোথায়' কে জানে' শত কোটি আমন্ত্রণে,
সমকক্ষ শেষ প্রান্তর!-
""প্রথমা মঞ্চ""
- শুভঙ্কর দাস
প্রথম দেখায় স্বপ্ন নয়ন,
ভাবছে তারা কত কহন;
ভিন দেশী অস্থির পাখি,
মন অজান্তে হৃদয় রাখি।
অজানা নামে কত মায়া,
নিশীথ গোপনে ছন্দ ছায়া—
স্মরণে তারে অনন্য অন্তরে,
অজস্র ঝরে ওই প্রান্তরে!
প্রাণবিদ্ধ এ নকশা জালে,
অন্তিম রাঙা মঞ্চ পথে!
কোন দ্বিধায় কোন কাজলে,
আবেগ ছড়াই রং মশালে।।
-
""সন্ধি চাই""
- শুভঙ্কর দাস
তোমার প্রান্তে দিশেহারা
কাব্যের লিখনে তৃপ্তি চাই,
ধরা বুকে ঝাপিছে তাহার
অঙ্কুর ধরিছে মত্ত যাহার।
তাণ্ডবের ভাঁজে স্বপ্ন চাই,
স্বয়ং মনে বিশ্রাম পাই।
অজান্তে যেন নামিছে খরা,
এ স্বপন তবু কহিছে ছড়া।
তোমার কলঙ্কে ঝলসে তাই,
আমারো বিশ্রাম পুড়ছে হায়!
গুলিবিদ্ধ যেন কিছুই নয়;
কঠিন কোথায় সবইতো ছাই!
পিছু হাটা ওই স্মৃতির রথে —
রক্ত জমাট বেঁধে যুদ্ধপথে;
অশ্রু জমে জটিল তাই,
সকল অভিমান সন্ধি চাই।।-