মানুষ আজ ক্রমশ হয়েছে নত,
সরীসৃপ যেন তার চেয়ে উন্নত।
সময়ের ব্যবধানে সরীসৃপ
খোলস ছাড়ে নিয়মিত,
আর সেখানে মানুষ,—
সময় নেয় অপরিমিত।
ঘিরে থাকা ভক্ত,
খোলস করে শক্ত,
ছাড়াতে যারে ঝরে পড়ে,
বেশ খানিকটা,
তাজা রক্ত।-
চাইলেই কি সব কিছু পাওয়া যায়,
এই পরিবার মধ্যবিত্তে?
আধফালি চাঁদও তো মন ভোলায়,
পূর্ণচন্দ্রের অনুপস্থিতিতে।-
হাড় ভাঙানি কষ্ট করে যে করেছে খাবার দান,
কালা কানুন এনে, কে যেন তাদের কেড়ে নিয়েছ মান!
মনে রেখো তবে হে ভন্ড,
তোমার পেট ভরে খেয়ে যে রুটি,
আনতে কি পারবে তা ক্ষমতার ভ্রুকুটি?-
আবেদন
আমি চলে যাব হায়,
ফিরিবো তোমার লাগি–
রাত্রি অবসানে!
কথা দাও মোরে প্রিয়া
এক চিমটে সিঁদুর লাগিও
মোর লাগি তব সিঁথিতে–
গোধূলি লগনে;
অপেক্ষা কোরো সখী,
চেয়ে রবে মোর পথ পানে।
আমি ফিরিব অবশেষে
তোমাকে আলোকিত করে
পুব আকাশে।
-
ফণীমনসা
ধূ ধূ মরুপ্রন্তর
দিকভ্রান্ত পথিকের আর্তনাদে
নিথর,নিশ্চুপ।
সে এগিয়ে চলে
এগিয়ে যাওয়াই তো জীবন
থমকে দাঁড়ানো যেনো মৃত্যুর রূপ।
একি?
ক্ষুধা-তৃষ্ণা ভুলে সে খুঁজে চলে কাকে?
হা হুতাশ করে তবু খুঁজে চলে,
কোনো এক অদৃশ্য বলে,
অবশেষে পায় তাকে;
জাপটাতে চায়
চমক ভাঙ্গে শেষে,
হাজারটা কাঁটা বিঁধল অবশেষে।
হায়!
তবু যে তাকেই চায়।
রক্ত বিন্দু ঝরে পড়ে,
মাটি স্পর্শের আগেই উবে যায়।
আত্মরক্ষায় সফলতা পায় সে,
ম্লান হাসি খেলে ঠোঁটের শেষে।
যেখানে বিরাট মরুভূমি চাই এক টুকরো বরষা,
সেখানে তুমি হাতড়াও নগন্য ফণীমনসা!-
ভাইরাল
ভাইরাল,সেটা কি জিনিস?
খায় না মাথায় দেয়?
ও আচ্ছা হওয়া যায়।
তা কিভাবে শুনি?
প্রতিটা পদক্ষেপ মনে রাখবো গুনি।
ভাইরাল হতে হলে,
অনেক রাস্তা মেলে।
হতে হবে তোমায় মস্ত পাগল,
কিম্বা হয়ত আস্ত ছাগল।
কিম্বা তোমায় মারতে হবে চোখ,
পাবলিকের তো সেদিকেই ঝোঁক।
কিম্বা তোমার বুদ্ধি দিয়ে জলাঞ্জলি,
করতে হবে কিছু বিচিত্র মিউজিক্যালি।
কিম্বা গাইতে হবে কুৎসিত গান,
তাতে হয়ত যাবে তোমার মান-
তাতে কি এসে যায়?
অবশেষে তুমি ভাইরাল হয়েছ ভাই।
ভাইরাল হাওয়া মোটেও সহজ কাজ না;
সচিন তেন্ডুলকর ফেমাস হয়ে গেলেন কিন্তু
ভাইরাল হতে পারলেন না।-
There are some things which are imperfectly perfect. Don't try to make those perfect forcefully.
-
মিথ্যে বিনোদনের আশায়,
কয়েকটা জ্বলন্ত প্রাণ ছুটে যায়,
ধক করে জলে ওঠে অগ্নি শিখা।
নিমেষেই মিলিয়ে যায় কিছু আয়ুরেখা,
কয়েকটা বাঁচে নিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতা।
অবুঝগুলো তখন বুঝতে পারে,
দূরত্বটাই ছিল শেষ কথা।
কীটের রক্তে হয়ত –
রক্তাভ হয় আলোকশিখা;
তবু অমলিন হয়ে জ্বলছে আজও
রক্তপিপাসু দীপশিখা।-
The light, emanating from your body,
I want that,with the cup of coffee.
The glimpse of the light is the most beautiful,
Your rampage,red eyes,are humble to make me fool.
The nodding head and staring eyes are enough;
I am ready to take the tender bath.
Still some hurdles to be face off,
But waiting to take the sip of love
I can make humble the vendettas.
Dear it's enough, now it's time to switch off.
This is the way I've thought,
These are the things you will have bought.
Are you ready to cut the cherry of passion,
I've given the knife;
By the way, what do you think;
Will you be my wife?
-
অবাস্তব
তুমি নিশীথের সূর্য হবে?
আলোক ছড়িয়ে দেবে আমার লাগে?
ওগো তুমি অমানিশার চাঁদ হবে?
পূর্ণিমা যে মোর বড্ড ভালো লাগে।
তুমি মাঝ দরিয়ার খড় কুটো হবে?
তোমাকে অবলম্বন করেই বেঁচে রব আজীবন।
কিগো তুমি নিঠুর প্রেমিকা হবে?
তোমার লাগি হাজির চাঁদ তারা,এমনকি তুচ্ছ এ মরণ।
তুমি কি হবে এমন আলোক শিখা?
পতঙ্গের ন্যায় ছুটে যাব আমি,কিন্তু আঘাত করবে না কভু।
হবে কি তুমি সসীম দিগন্ত রেখা?
হাটতে হাটতে ঠিক পৌঁছে যাব অজানা দেশে,পাব কি তব তথাকথিত প্রভু?
-