প্রতিক্ষণে ছায়ায় ঘিরে, মায়ার বাঁধনে বেঁধে
তিল তিল করে নিজের সবটা উজাড় করে
আগলে রাখার নাম মা।
দশ মাস দশ দিন অদেখা এক প্রানকে শরীরে
আগলে রেখে, প্রসব যন্ত্রণা সহ্য করে
স্নেহমাখা হাসিমুখে নতুন পৃথিবীর আলো দেখানোর নাম মা।
হঠাৎ করেই নিজের মেয়েবেলাকে নিজের ভয়কে
এক লহমায় পেছনে ফেলে
সন্তানের শৈশব উপভোগ করার নাম মা;
সন্তানের বিপদে হঠাৎ করেই এক অজানা শক্তি
দিয়ে রক্ষা করে মা।
হয়তো অপ্রকাশিত থাকে
মায়ের মনের বহু কথা, কিন্তু
মায়ের কাছে লুকানো যায় না
সন্তানের অব্যক্ত ভাষা।
সন্তানের মনমরা রাতে, মা হল হাসির বৃষ্টি;
প্রতিটি নিরাশার রাতে, মা মনোবলের কান্ডারী।
মা মানে স্নেহ ভরা হাত
মা মানে ভালোবাসার জোয়ার,
মা মানে সাহসিকতার প্রতীক
মা মানে মনোবলের দৃঢ়তা।
পৃথিবীর সকল মা
তোমরা ভালো থেকো সুস্থ থেকো;
তোমাদের এই আশীর্বাদের হাত
আমাদের মাথায় রেখো।-
লেখাতেই আমি আমার নিজেকে খু... read more
দুঃখের মেঘ মনের কোণে
জমিয়ে সর্বক্ষণ কেন সাজবে
তুমি শ্রাবণের মালায়?
কেন প্রতি রাতে আহবান জানাবে
একাকীত্বের লহরীকে?
আগুন ফুলে সেজো;
দুঃখ-কষ্ট, একাকীত্বকে
পাথরে পাথরে ঘষে ঝড়ে পড়ো
আগুনের ফুল রূপে।
আঘাতের দল ছিন্নভিন্ন করতে
আসলে আগুন হয়ে
পুড়িয়ে দাও তাদের,
পোড়া স্মৃতির ভস্ম মেখে
নতুন রূপে নতুন নামে
আগুন ফুলে সেজো।।-
আমাদের ছোট- বড় অন্দরের অন্তরে
যে জানলাগুলো প্রতিদিন
দেখে আস্তে আস্তে বেড়ে উঠি,
জীবনের প্রতিটি ক্ষণে কত মুহূর্ত কত আলগোছে
কথার সঙ্গী হয়ে ওঠে এই জানালা।-
বৃষ্টি নামার আগে
ডেকোনা তুমি আমায়,
পিছু ডাকলে একাকীত্বের সিঁদুরে
মেঘের ছায়ায় তোমার জীবনে
গুমোট অশান্তি সৃষ্টি করবে।
বৃষ্টি নামার আগে
হারিয়ে যেতে দাও আমায়;
জীবনে তোমার কাছ থেকে
না পাওয়া স্বপ্নগুলো মেঘের কোলে
সাজিয়ে শ্রাবণ হয়ে ঝড়ে
দুঃখগুলো ধুয়ে দিয়ে
নতুন করে সাজব প্রকৃতির আঙিনায়।-
যদি ফিরি
জ্বলন্ত দ্বীপ হয়ে ফিরব,
অপমানের করাঘাতে, মিথ্যে প্রতিশ্রুতির
আগুনে জ্বালাতে আসলেই দাবানল
হয়ে ধ্বংস করব তাদের;
দৃঢ় পাহাড় হয়ে মনোবলকে ভাঙতে আসা
ভাঙনের দলকে ভেঙে টুকরো টুকরো
করে মাথা উঁচু করে ফিরব।
যদি ফিরি, শিশির ভেজা নরম
ঘাস হয়ে নয়, মাটির গায়ে লেগে থাকা
শক্ত পাথর হয়ে ফিরব,
পদাঘাতে পিষ্ট করতে আসলেই নিজেই
পাথরের আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত হয়ে
ভীত হয়ে চিরতরে হারিয়ে যাবে।
যদি ফিরি,
এবার আগের আমিকে ঝেড়ে ফেলে
নতুনভাবে নতুনরূপে এক
বলিষ্ঠ বালিকা হয়ে ফিরব।-
যদি ফিরি একফালি রোদ হয়ে ফিরব,
মনের ভেতর জমে থাকা মনখারাপের
আঁধার এক নিমেষে সরিয়ে আলোভর্তি
ভালোবাসা ছড়িয়ে দেব সবটা জুড়ে;
অঝোর শ্রাবণ হয়ে তোমার শরীর-মন ভিজিয়ে
উজ্জীবিত করে চিরতরে
বিদায় দেব নির্জীবতা ।
তোমার দিকভ্রষ্ট নিশীথ গগনে ধ্রুবতারা
হয়ে ছায়ার নতুন দিগন্তের পথ দেখাবো।
যদি ফিরি, ছায়া হয়েই সর্বক্ষণ
থাকব তোমার সাথে সাথে,
আগলে রাখব প্রতিক্ষণে।-
অনুভূতির কোনো ঠিকানা নেই যাযাবর জীবন তাদের,
যত্রতত্র ঘুরে ঘুরে কখনো মনের ফাঁকে মাঝে মাঝে উঁকি দেয়, তো আবার মাঝে মাঝে
একদম মনের সবটা জুড়ে জেঁকে বসে।
সে যে বড়ই চঞ্চল,
বহুরূপীও বটে, ক্ষণে ক্ষণেই সে তার রূপ বদল করে;
দেয়ালের আনাচ- কানাচে হোক বা দমকা হাওয়ায় ঝড়ে পড়া বেলী ফুলের সুমিষ্ট গন্ধ- সর্বত্রই তার যাতায়াত বিদ্যমান।
কখনো সে দুম করে মনের অগোচরে ঢুকে অট্যহাস্যে হাসিয়ে দিয়ে চলে যায়,
কখনোবা উচ্চস্বরে ক্রন্দনরত হয়ে দুঃখের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়।
শান্ত মনে আচমকাই প্রবেশ করে হঠাৎই অভিমানের গান শুনিয়ে চলে যায় অন্য এক আঙিনায়;
সঙ্গীহীন, একাকীত্বের মাঝে গোপনে,মনের ভেতরের রঙিন প্রাণকে চুম্বন করে
ঘটায় সুখানুভবের উপক্রমণিকা।
ঠিকানাহীন অনুভূতি মেলে-
অস্তরবির আভায়, বৃষ্টির ফোঁটায়,ডায়েরির পাতায়, গোলাপের কাঁটায়, নদীর কিনারায়, জ্যোৎস্নার মাধূর্য্যে, স্নিগ্ধ গ্রামের ঠিকানায় বা কোলাহলমুক্ত শহরে....... সর্বত্র।
আসলে ,যতই সারাদিন বাস্তবতার মুখোশ পড়ে ঘুরে বেড়ানো হোক না কেন,
দিনশেষে নিজের অজান্তেই আমরা
অনুভূতিকে আলিঙ্গন করি, আশ্রয় খুঁজি অনুভূতির কোলেই।-
বন্ধু চল,
দুঃখ-প্রতিহিংসার যান্ত্রিকতা ছেড়ে
কৃত্রিমতার শহর থেকে ডুব দিয়ে,
চল না গল্প হই রূপকথার,
ভালোবাসার শব্দাক্ষরগুলো সবাই মিলে
লিখি নিষ্পাপ হাতের রংপেন্সিল দিয়ে।-
বন্ধু চল
হাতে হাত ধরে ফিরে যাই
সেই সোনালী খুনসুটির দিনগুলোতে,
হারিয়ে যাই চিন্তাহীন প্রাণখোলা
অট্যহাসির দেশে।
বন্ধু চল না,
ভেসে যাই আবার সেই খুশির
রূপকথা মাখা অনুভূতির আকাশে।-
আবার যদি ফিরে আসো
পাখির মত এসো,
মনের মাঝারে লুকিয়ে থাকা
অব্যক্ত দুঃখের চিঠি স্মৃতির
খামে ভরে তোমার ডানায় রাখব।
উড়িয়ে দিও না হয় অজানা
কোনো ঠিকানাহীন রাজ্যে,
দুজনে একসাথে সুখপাখি হয়ে
হারিয়ে যাব রূপকথার দেশে।-