নিঃসঙ্গতার একটা অন্য আধার আছে |
তাকে সঠিক অর্থে উন্মোচন করা চাই |
তা পারলে জীবনের দুর্মূল্য সময় খেয়াটিকে
পূর্ণতার অতল জলে ভাসিয়ে দেওয়া যায় ;
আর অনেকখানি আলো এসে পড়ে
দূরে ঘিঞ্জি শহরের
ঠিকানা ভুলতে থাকা গলিগুলো জুড়ে |
- সৌভিক
-
না ফেরার দেশ থেকে তুমি প্রতিবার
কিভাবে ফিরে এসেছো !
আমার বিস্ময় জাগে ,
এই একটু ঝুঁকে পড়া ডানা ঝেড়ে ঝেড়ে
বিদেহী বাতাস এখনও আমায় স্বপ্ন দেখায় ,
তোমার চেনায় |
-সৌভিক
-
রুক্ষতা পেরিয়ে দুপুর রোদে
মেয়েটির ছায়া পড়ে উইন্ডস্ক্রিনে
তার সুগন্ধি মাতোয়ারা চুলের আশ্রয়
সবুজ আলোর মতো ছিল নরম ,
দূর থেকে মনে হয় পরিচিত
ঠিক যেন সবেমাত্র পড়ে ওঠা
ছোটগল্পের শেষ কয়টি লাইন ;
বয়ে চলেছে সুসময় ,শান্তি অরণ্য জুড়ে ..
-অনুরাগ
-
ঝরা পাতা !
শহুরে এই শীত পেরিয়ে
উড়ে যেও চন্দনের শাখে ,
দেখা হবে মুক্তির আনন্দে ...
-সৌভিক-
আকাশ তোমার হৃদয়খানি
ছুঁয়ে রাখো আমার শরীরে ,
সূর্য নিভে এলে
দীঘির পাড়ে মৃত্যু এসে বসে রোজ -
দীর্ঘ আলাপচারিতা শেষে
সে বড় স্বজন হয়ে ওঠে প্রতি রাতে ...
- সৌভিক
-
আকাশ তোমার হৃদয়খানি
এ শীতল শরীরে
ছুঁয়ে রাখো আরো কিছুক্ষণ ,
সূর্য নিভে এলে দীঘির পারে
মৃত্যু এসে পাশে বসে রোজ -
দীর্ঘ আলাপচারিতা শেষে
সে বড় স্বজন হয়ে ওঠে প্রতি রাতে ...
-সৌভিক
-
নবজাতক ! এখানে তোমাকে আনতে
বড় ভয় হয় আমার ...
দীর্ঘ স্বপ্নে তুমি কখনো স্খলন দেখেছো
একটি ক্ষয়িষ্ণু সমাজের ?
কিংবা বুকের মাঝে
নীল পাহাড়ের গা বেয়ে ঝুরো পাথর খসার ?
সেখানে একটি মানুষ
কিভাবে বেঁচে যায় এতোটাকাল !
ভারাক্রান্ত পৃথিবী কিভাবে সয়েছে তাদের অনন্তকাল !
-সৌভিক
-
নীরবতা ধ্বনিত হলে
ইচ্ছে করে ফিরে ফিরে আসি
জন্ম নেই মুখরিত শিশুটির শরীরে ...-
ভাবছি সরে দাঁড়ানোই ভালো ,
সুদিনের আশে আঁধার সরিয়ে সরিয়ে
এই যেটুকু হয়েছিল আমাদের ভীষণ নিজস্ব ;
এই আনত দিনে তাকে সদর দরজায় অপেক্ষারত বৃদ্ধ পিতার মতো লাগে ,
যে এখনো ভেবে চলে কুয়াশা চাদর সরিয়ে
শহরের শেষ ট্রেনটিতে তার খোকা ফিরবে ঘরে |
-সৌভিক-
শরীরের সমস্ত নিয়ম
ভাঙতে পারো যে কোনো অজুহাতে ,
বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যে নামুক আজ
অগোছালো শব্দের মায়া সরিয়ে ,
এই জোনাকি আলোয় ভরা দিনে
তুমি কাছে আসতেই পারো
গোলাপি চাদরখানি ফিরে পেতে |
- সৌভিক-