এ শহর চুপচাপ ভীষণ
শব্দ স্রোত বাজি রেখে এসেছে
না জানি কোন কূটনীতিক পাশায়।
যাত্রার শেষ আলো নিভিয়ে এল
এবার ফিরতে হবে পুরানো প্রাসাদে,
শৈবাল স্তুপ আঁকড়ে ধরেছে ওর শরীর
জানি না থাকব কোথায়।
সহসা মৃত ছন্দের এপিটাফে
আগাছা জমেছে অনেক,
মুছে গেছে যত্নে লেখা অনৃত অনুরাগ
তাদের খুঁজতে যাওয়া অন্যায়।
তবু এখনও 'সে' বেঁচে আছে
না জানি কোন প্রতিশ্রুতির অপেক্ষায়
বারে বারে ডেকে ফেরে আমাকে,
তুলে ধরে অতীত গল্প কয়েক।
তুমি আছো বলেই বোধহয়-
আমার আবার ফিরতে ইচ্ছে হয়।-
লেখার নেশায় অশক্ত,
আর শব্দের মধ্যে শক্তি স্থাপনের-
এক মোহে মোহিত।।
আমার জীব... read more
সনাতনী কুসংস্কারে, আবদ্ধ সমাজ
যবে, হাহুতাশ করে উঠেছিল সেই
উনবিংশ শতাব্দীর ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে;
উঠেছিল জ্যান্ত বধূ, জলন্ত স্বামীর
লেলিহান চিতায়, নিতান্ত নির্বিচারে,
মূর্ছিত অম্বরে তবে উঠেছিল নব
দিবাকর, নব রূপে, দীর্ঘ কলেবরে!
আতঙ্কিত নারী যেন, পেয়েছিল শক্তি,
পেয়েছিল নব আশা, আর্ত সর্বহারা,
বর্ণপরিচয়ের সে হাত ধরে যেন
পেয়েছিল প্রাণ মৃত প্রায় মাতৃভাষা।
অজিকের দিনে দীর্ঘ পরিক্রমা শেষে
অস্তমিত হয়েছিল বিদ্যার সে সূর্য,
হয়েছিল পিতৃহারা বাংলা ,সাহিত্য।-
অপেক্ষার শেষে, সূর্য উঠবে পাহাড় ঘেঁষে,
বদ্ধ যত যন্ত্রনা, বিষাদ, ভয় ও অসুস্থতা
মিলিয়ে যাবে এক লহমায় সূর্যের আবেশে।
স্বপ্ন যারা দিচ্ছে উঁকি অস্ফুট ওই কুঁড়ির আরে
মানুষ যারা চাইছে সময়, ব্যস্ততার ভিড়ে
তাদের বাসনা, কাঙ্খিত এষনা
পূর্ণ হবে অপেক্ষা শেষে।
রাতের আধারে হারিয়েছে যারা
মন গুঁড়িয়ে নিয়েছে যারা স্থান অন্তরে
সময়ের স্রোতে মিলবে সবার সমীকরণ
অমীমাংসিত চলরাশির রহস্য ছিঁড়ে।-
কবিতার নাম-ফুল
নাম- সৌভিক ঘোষ
............🌺🌺...........
নতুন সূর্য মেখে উঠেছে যে ফুল বাগান আলো করে,
নষ্ট কোরোনা ওকে অমন করে ছিঁড়ে।
কত রকমের পতঙ্গ বসছে এসে,
নানা রঙে ভেসে দেখ, ও উঠছে কেমন হেসে!
সুবাস তার ছড়িয়ে চারিধার
প্রকৃতি যেন জানাচ্ছে নিজ অহংকার!
দেবতার চরণ রাঙিয়ে যে দেয় কত ফুল,
কত ফুল সাজে, ঔ বন্যমেয়ের কানের দুল।-
আমাদের বেঁচে থাকা আছে
অগুনতি অনুরূপ তারাদের মাঝে,
নাম- পরিচয় নিষ্প্রয়োজন!
যত ইতিহাস পড়ে আছে পিছে,
তাদের নীরবে আঁকা জলছবি
উবে গেছে কবেকার সেই গ্রীষ্ম দুপুরে
লেশমাত্র বাকি নেই!
আমাদের পথ চলা আজ
শান্ত নীরব ফল্গু নদীর গতিপথে-
ব্যস্ত নগরীর বিবিধ অধ্যায় থেকে
বহু বহু ক্রোশ দূরে।
তবুও নিঃশ্বাসে যেন ভেসে আসে
অশোকের স্বর্ণ রাজ্যের বাতাস,
চোখে ফুটে ওঠে ইতিহাসের নিখুঁত শিল্পকর্ম!
মনে হয় যেন আমাদেরও গল্প আছে
আছে লেখার জন্য সোনালী অক্ষর,
ধূসর এ সময়ের শেষে শিরোনামে পরশপাথর।।-
পূর্ণবয়স্ক এক কই-মাছ রূক্ষ ডাঙ্গায়
কাতরাচ্ছে অকাতরে, বাঁচাই বিকার!
কর্মব্যস্ত দিনের শেষে ভাবলেশহীন সন্ধ্যা-
শেষ যাত্রার আলো নিভে আসছে
যত কলাকূশলী পুত্র প্রপৌত্র বান্ধব
দাঁড়িয়ে বটগাছের কান্ডমূল ধরে
শেষ মায়ার টানে!
স্মৃতির আকাশে পট পরিবর্তনের ছাপ;
মজ্জা বিহীন কিছু ধূসর ইতিহাস
জপের মালার মতো সেজে ফিরে আসছে।
লুকোচুরি খেলার শেষ হবে এবার-
ক্ষীণ হয়ে আসা জীবন বন্ধন
শব্দের কোষে শব্দ রেখে এসে
ভুলে যেতে চায় শেষ ছায়া ছবি!
ধীরে ধীরে মৃত্যু ঘটে স্বপ্নের প্রেমের স্মৃতির
নীরবে নেক্রোপলিস সাজে হৃদয় নীর।-
আঁধার মুখ ঢাকে রক্তিম আলোকে,
আগামীর স্বপ্ন দেখায় প্রথম প্রভাত!
চারিপাশে জেগে ওঠে যেন কর্মের বিস্তার।-
প্রেম তুমি এসো!
খেলিব আজিকে নতুন কোনো খেলা...!
(Full piece in captions)-