মুক্তির নিমিত্তে, কায়মনচিত্তে-
কত প্রার্থনা সরব, এই গঙ্গার ঘাটে।
হারায়ে সব বোধ, চূর্ণ চূর্ণ ক্রোধ,
মর্মবেদনার বিসর্জন, এই গঙ্গার ঘাটে।।
অঙ্গ অঙ্গ অস্থির, তরঙ্গে কর্মের বোঝা-
দেয় ডুব কত ভাসায়ে দানব মনের।
কেমনে বুঝিবে কি ছিল প্রারোব্ধে,
কে পেরেছে খন্ডাতে বিধির লিখনের?
যেথায় চিতার আগুন চিরন্তন প্রখর,
কারো চোখে আস্থা, কারো চোখে অনুতাপ!
কারো শুভযাত্রা, কারো শোকযাত্রা-
কোথাও মৃত্যু ,কোথাও বিস্বাসের ছাপ।
করজোড়ে বসে নতুনের সন্ধানে,
ঘর-জমি ভুলে, কোথায় অন্তর্ধান!
চন্দন ললাটে, বৈরাগ্যের টানে-
ছুটে আসে ঘাটে কত না ক্লান্ত প্রাণ।
মায়ের আঁচলে যেন ন্যায়ের গন্ধ ¡
বারিভরা নয়নদুটি, সেথায় খুঁজে ঠাই।
যেতে হবে তাই এই ঘাটে একদিন,
যবে পার্থিব দেহ পুড়ে হবে ছাই।
মায়াভরা পৃথিবী, দয়াহীন সংসার
কত ঋণ থেকে যায় ব্যর্থতার তরে,
উত্থাল তরঙ্গে, মিটায়ে লেনদেন
ভাসায়ে অস্তি চিরসজ্জার তরে।।
-