সত্য বলতে, নিজেকে ব্যক্ত করার মত কঠিন আর কিছুই আমার কাছে নেই।।
জানিনা কেন, কিন্তু আমি অসমর্থ।।
তবে,
সেই সমস্ত কিছুর প্রত্যেকটিই আমি অনুভব করেছি।।
একনিঃশ্বাসে বলতে চেয়েছি সেই সমস্ত কথা যা শুনতে চেয়েছিলে।।
কিন্তু, সেইদিনের সেই তীব্র অভিমানী চোখের তীব্রতায়
মূহুর্ত্তের অসাড়তা গ্রাস করেছিল আমায়।।
আমি বাকরুদ্ধ এবং আবারও পুনরাবৃত্তি সেই ঘটনার।।
জানিনা বোঝাতে পারব কিনা কোনওদিন।।-
কী, চিনতে পেরেছ আমায়?
আমি;
আমি 'অনুভূতি'।।
হ্যাঁ, আমি তোমার সেই 'জায়মান অনুভূতি',
যাকে তুমি সেইদিন প্রথম প্রত্যক্ষ করেছিলে।।
না না, হারিয়ে যাইনি।
ফিরে এসেছি আমি।।
ভবিষ্যতে আবারও আসব, বারবার আসব;
প্রতিবার শুধু 'আরও একটু পরিণত' হয়ে।।-
'নীরবতা' একারনে নীরব নয় যে
সে 'নীরব'।।
সে 'নীরব',
কারন তার 'সরব স্বত্ত্বা'
(সবার কাছে) 'সরব' নয়।।-
ভাষারা আজ শব্দহীন।।
মুখোমুখি এখন চারটি চোখ,
একে অপরকে প্রশ্ন করে,
তোমার আমার গল্পের তবে
এইক্ষনেই শুভ সমাপ্তি হোক?
শেষটা যদিও অন্যরকম হতে পারত।।
নাই বা হত নীরব, ভাষা।।
এ গল্পের চিত্রনাট্য আরেকটিবার লেখা যদি যেত,
হয়ত, বদলে যেত সমাপ্তি,
হয়ত, বেঁচে রইত আশা।।
-
কম্পিত আলো-আঁধারময় ঘর;
বাইরে নিরন্তর বৃষ্টি,
বিদ্যুৎ-এর কখনও সশব্দ
আবার কখনও নিঃস্তব্ধ আত্মপ্রকাশ।।
বৃষ্টির সুর ছাপিয়ে ভেসে আসা সেই বৃষ্টিরই গান।।
সেই মায়াবী মুহূর্তের সাক্ষী আমি।।-
ধন্যবাদ ছেলেবেলা;
বড়বেলার মনখারাপের বিকেলগুলোয়
'পরিযায়ী স্মৃতি' হয়ে
পাশে থাকার জন্য।।
ধন্যবাদ তোমায়;
মুক্ত জেলখানায় বন্দী,
একাকী এ জীবনের 'গল্প-দাদু'
হওয়ার জন্য।।
তোমায় ধন্যবাদ,
এই বুঝদার মন'কে
ক্ষণিকের জন্য হলেও,
অবুঝ করার জন্য।।
তোমায় ধন্যবাদ, ছেলেবেলা।।
(আমার) বড়বেলার অভিভাবক হওয়ার জন্য।।
তোমায় ধন্যবাদ।।-
We all have our own stories,
We are the writers, storytellers and the heroes of that stories.
'The Writer' has the copyright,
'The Storyteller' can pause and restart it,
'The Hero' has the right to win the battle of life.-
(তোমার জন্য)
কবিতা হতে চাওয়া
আমার (বেশিরভাগ) শব্দরা,
আজও কেবলই কিছু ছন্নছাড়া শব্দ।
আর,
যারা স্পর্ধা দেখাল, ছন্দবদ্ধ হওয়ার;
তাদের হাজিরা দিতে হল-
এই কবির বিচারসভায়।
অপরাধ তাদের গুরুতর।
কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তিই তাদের প্রাপ্য।
অতএব,
এই, 'মূহুর্তের কবি',
তাদের চির নির্বাসন দিল,
খাতার শেষ পাতায়।-