পথের এঁটো মনুষ্যত্ব
ডাস্টবিনে যার ঠাঁই,
হেলায় হারানো মানুষের ন্যায়
ওদের মূল্য নাই।
সরলরেখা ক্রমশ বেঁকে
বক্ররেখা হয়,
ওদের নাকি আয়ুর হিসেব
ওদেরই হুকুম সয়।
তবু, আলোর পথে যে প্রচ্ছায়া
দিনভর সঙ্গিনী,
তাকেই আবার আঁধারের কাছে
পরাজিত হতে শুনি।-
Make the life more convenient with excuses 😉😌�... read more
শব্দের পর শব্দ
তবু অর্থহীন এ কাব্য
অনুভূতি সব ক্ষণস্থায়ী
দ্রাবকে ভীষণ দ্রাব্য!
কলমের নিব হঠাৎ ভেঙে
কালিতে ডোবে ছত্র,
শান না দেওয়া পদ্যগুলো
হারায় যত্রতত্র।
এমনিভাবেই হারিয়ে যাবো
হারানো ভীষণ সোজা;
এক-দুই-তিন-একশো-হাজার..,
হোক এভাবে মৃত্যু খোঁজা।-
যেই শরতের কোমল গায়ে
এলিয়েছিলাম ক্লান্ত আঁখি,
সেই শরত আজ শীতের দেশে,
একাকিত্বে ডুবছে নাকি!
পথিক নাকি হারিয়েছে পথ,
তুফান এলে আস্তানা কই?
বোবা শরতের বোকা আবদার,
পরিবারও নাকি টাকা দিয়ে হয়!— % &-
ভালো আছি মনকেমনে, অজুহাতে ভেজা গল্পে;
ভালো আছি বৃষ্টি দিনে, অন্য কারোর বিকল্পে !-
স্মৃতির শহর ঝাপসা হলে ব্যাকুল হয়ো ফের
মৌন থেকো বুকের ব্যাধি বিরহ লিখে ঢের,
চুপ করে থেকো মধ্যরাতে দুঃস্বপ্নের ঘোরে
ভাঙা দরজায় আগল দিও হৃদয় পোড়া জ্বরে।
বলে দিও আবার তাকে, মুক্তি চাই মুক্তি-
তুমি আমি থাকবো পৃথক- এটাই নতুন চুক্তি!
ঘুরে দাঁড়াবে অমনি সেও, ছলছল দুই চোখে-
ঠিক আছে তবে তাই হোক, যদি থাকতে পারিস সুখে!
উত্তর দেবো- ভালো থাকবো, থাকো অমন দূরেই,
বাঁচবো জীবন আঁধার-অসুখে একাকীত্বের সুরেই!
তবু তো মনের দরজা ভাঙা, প্রবেশ করবে আলো,
পৃথিবীটাও ভেলকি দেখাবে, বলবে প্রদীপ জ্বালো।
তারপর আমার দু-চোখ সিক্ত হবে, রেটিনা বলবে- আর না,
তোমার ভুলে শ্যাওলা জীবন, জীবন একে বলে না!
হাসব ভীষণ, কাঁদবো প্রবল: সেই মৌনমিছিল মিথ্যে,
স্মৃতির শহর তখনও ব্যাকুল হৃদয়ের অধিবৃত্তে!-
মানুষের ভিড়ে মানুষ হারায়,
জীবন যখন কৃতদাস;
সময় শুধু কৌতুক করে
এগিয়ে চলে বারোমাস!-
হাত রেখো সেই কলমে,
মেঘলা দিনের ছন্দস্রোতে প্রেমিক ছিল যে,
মন নামক গল্পটার লেখক ছিল যে।
হাত রেখো সেই খাতায়,
ছেঁড়া বুকেও শৈশবকে বেঁধে রাখে যে,
কলমের ঘাত সহ্য করেও হৃদয় জুড়ায় যে।
হাত রেখো সেই মনে,
জন্ম থেকেই সুখ-দুঃখ জমিয়েছো যাতে,
কেঁদে ওঠে আজও যেই জন তোমার আর্তনাদে।-
হারিয়ে যাওয়া অতীতও জানে ভবিষ্যতের কেমন গন্ধ,
আমরা তাই আজ বর্তমানে ভীষণ রকম অন্ধ!-
- কাল আমায় প্যান্ডেলে নিয়ে যাবি, পিকু? কত কাল অষ্টমীতে অঞ্জলি দিইনি...।
- তুমি? ঠাম্মু, তোমাকে কি করে নিয়ে যাবো? ঐ যে মাইকে মন্ত্র বলবে, তুমি শুনে নিও।
খুব কষ্ট করে হেসে, পাশ ফিরে শুলেন মনোরমা দেবী। বছর এগারোর পিকুও তার মায়ের কাছে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ল।
পরদিন সকালে, পিকু দেখল চারিদিকে সবাই ব্যস্ত আর কারা যেন কাঁদছে, কেউ পাত্তা দিচ্ছে না তাকে।
- মা, অঞ্জলি দিতে যাবে না? কত দেরি হয়ে গেল। আর বাড়িতে এত ভিড় কেন মা!
- ওরে পিকু, তোর ঠাম্মু যে আর নেই রে! কাল মাঝরাতে হঠাৎ রক্ত বমি হল..., আর তারপরই ...!
দৌড়ে পিকু ঠাম্মার ঘরে গেল।
সাদা ধবধবে কাপড়ে আচ্ছাদিত একটা দেহ- অজস্র ফুল দিয়ে সাজানো।
খানিকক্ষণ স্তব্ধ হয়ে পিকু পাগলের মত বলে উঠল- ঠাম্মু, তোমার জন্য হুইল চেয়ার এনেছি। চলো, ওটায় বসে অঞ্জলি দিতে যাবে। চলো, ওঠো বলছি!
উপস্থিত সবাই কাঁদো কাঁদো গলাতে হেসে উঠল।মা তক্ষুণি পিকুকে সেই ঘর থেকে নিয়ে গেলেন।
- তোমরা কেউ জানো না! ঠাম্মু আমাদের ওপর রাগ করেছে, আমরা ঠামুকে অঞ্জলি দিতে নিয়ে যাই না বলে। ঠাম্মু তাই চলে গেছে...!
এসব কথা মনে ভাবতে ভাবতে অঝোর কান্নায় ভেঙে পড়ল সে...।-
অনেকটা পথ দূর, তবু ভীষণ কাছাকাছি
সামনাসামনি দেখা না হলেও, আমরা যে প্রতিবেশী।
মনের ঘরের একাকীত্ব দূরে যাক, খুব দূরে
স্বপ্নশহর খুলুক দুয়ার, আলোক দিশার ভোরে।
বিনিদ্র সব স্বপ্নেরা হয়ে উঠুক সত্যি
লেখায় লেখায় ভরাও হৃদয়, এটাই প্রবৃত্তি।
সাফল্য ঘিরে থাকুক, জীবনবোধ উঠুক বেড়ে,
আজ জন্মদিনে শুভেচ্ছা নিও, ভালো থেকো জীবন ভরে।-