তুই বলিস আমি নাকি লিখি অনেক ভালো
কিন্তু তোর জন্যে লিখতে গেলে হয় কেন
লিরিক্স আমার এলোমেলো?
মনে পড়ে যায় টিউশন আর কলেজে দিনের কথা
আবেগ আনন্দ হৈচৈ আর অব্যক্ত কোনো ব্যথা
খুশি হয়ে যেতাম বল ছুটির পরে একসাথে জল ফুচকা খেয়ে
ফিরতি পথে তোর হঠাৎ ফিরে তাকানো আর মৃদু হাসির বিনিময়ে।
জানি আমি খামখেয়ালী, ভুল করি Algebra, Topology আর Analysis-এ
তখন তুই ধৈর্য ধরে শুধরে দিস ভুল -ত্রুটি, বুঝিয়ে দিস খুব সহজে।
নতুনভাবে পথ চলা হয়েছে শুরু পুরোনো অধ্যায় শেষে
তবে,খেয়াঘাটে যাব আবার সন্ধ্যা নামার আগে
আবারও কাটিয়ে নেব ফুরিয়ে যাওয়া রঙিন দিন,দুকাপ চায়ের ভাঁড়ের সাথে
পাশাপাশি তুই- আমি, হাসব অনেক , গল্প প্রচুর হবে
সেদিনও কি বলবি তুই ফিরতে হবে এবার ,আর সময় নেই হাতে ?
ভালোবাসার শহরে কোলাহলের ভীড়ে
দেখব নিরবে,সূর্যাস্তের আভা মিলিয়ে গিয়েছে নদীর ওই তীরে।
ভবিষৎ এখন অজানা আর দূরত্ব গেছে বেড়ে
তবে এভাবেই সবসময় থাকবে তোর হয়ে, তোর পাশে।
যখন আমি ভীষন জেদী,রাগ করি কিংবা দুঃখ করে গ্রাস
তুই ঠিকই সামলে নিস দিব্যি ১২ মাস
মান -অভিমান হোক না যতই , দিনের শেষে নোনা জল তোর জামায় মুছে ফেলে
দেখব আমরা তারায় ভরা অসীম আকাশ,আঁধার ঘনিয়ে এলে।

-

বছর আসে, বছর যায়
দিব্যি চলনসই -
এবারো বছর আসল তবে
সে আর আগের মতন ক‌ই ?
সকালে উঠে তড়িঘড়ি ,টিউশন ‌যাওয়ার তাড়া
ফিরতে ফিরতে সময় শেষ , কলেজ শুরুর পালা,
এখন আর সেসব নেই, আছি গ‌‌ৃহবন্দি হয়ে
দিনের শুরু ফেসবুকে হয় , নিউজফিড স্ক্রল করে।

শহর ছিল ব্যস্ত ভীষণ, সময় নেই হাতে
হঠাৎ সব‌ই থমকে গেল মহামারীর ফাঁদে।
অনেক শ্রমিক ফিরেছে বাড়ি , বেকারত্বের যন্ত্রনায়
মৃত্যুমিছিল বিশ্বজুড়ে,শবদেহ ফিরিয়ে দেওয়াও অনেক দায় ।
এর‌ই মাঝে আমফান ঘূর্ণিঝড় এসে ধ্বংস করলো বাসস্থান
উপড়ে পড়ল বোটানিক্যাল গার্ডেনের বটবৃক্ষটিও, আশ্রয়হীন মানুষের হৃদয় ম্লান
শিক্ষাব্যবস্থাও হারিয়ে ফেলেছে নিয়মমাফিক গতিবিধি, মতদন্দ্বের ভীড়ে,
পরীক্ষা নিয়ে অনিশ্চয়তা এখন আছে আমাদের ঘিরে

তবে এই লকডাউনে বাড়তি কিছু সময় পেয়ে
ফিরেছে কত সুর , ভরিয়েছে মন মিষ্টি গান গেয়ে,
আবার কেউ ধরেছে রংতুলি ,সাদা ক্যানভাসে সাজিয়েছে তার ভাবনা
কেউবা বানিয়েছে কমেডি ভিডিও, কেউ শিখেয়েছে ভিন্ন স্বাদের রান্না
আবারো ছন্দে তালে মেতেছে নৃত্যে
কিংবা পড়েছে প্রচুর বই , আবৃত্তি বা লেখনী দিয়ে কেটেছে দাগ চিত্তে
কেউবা ছুটেছে সমাজসেবায় , মানবিকতার স্বার্থে।
পুরোনো সময় ফিরবে কবে , সেকথা ভাবলে হয় মনভার ,
দিনেরাতে মৃত্যুযুদ্ধে PPE kit এ রুদ্ধশ্বাসে লড়ে চলেছে শুধু ডাক্তার ।
-@soumi

-

! মা !

ভোরের প্রথম আলোর ন্যায় খুশি ফুটুক তোমার গালে।
মা তুমি সত্যিই রাগ করো আমার অর্থহীন ছোট -বড়ো ভুলে?
যখন আমি অনেক ছোট , তোমায় আমার সাথে হাসতে দেখি ।
তোমার কাছে প্রথম আমি অক্ষর সব চিনতে শিখি ।
আবার মনখারাপ ঘনিয়ে আসলে দিনের শেষে ,
তোমার ভিন্ন সব রান্নার স্বাদে সব হারিয়ে যায় নিমেষে।
তবে , পরিস্থিতি যখন খুব খারাপ হয়
তখন বুঝি তোমার অনেক করে ভয় ।
১৯ টা বছর পেরিয়ে এলাম জয়-পরাজয়ের মাঝে
তোমার জগৎ আজও যেন আমায় ঘিরে আছে ।
তাই, মা , হঠাৎ যদি চোখ ভিজে যায় , অকারন কোনো ক্ষতে -
আঁচল তোমার এগিয়ে দিও , ভরসা আবার দিতে ।
তোমার জন্য লিখতে গিয়ে শব্দকোষ ভীষন খালি
সহজ কথা সহজে বলি -তোমায় অনেক ভালোবাসি ।

-

শীতকালেতে দিন চলে যায় , টিফিন ব্রেকে , মাটির ভাড়ে এক কাপ গরম চায়ে
দিশেহারা মন ,বেপরোয়া ভীষন , এলোমেলো বইয়ের ভাঁজে
দিন -তারিখের রাখিনা হিসেব , মন বসে না কোনো কাজে
একাকিত্ব কখন গ্রাস করেছে , হাজার ভিড়ের মাঝে।
কলেজ থেকে ফিরতি পথে সূর্য্যডোবা গঙ্গা নদীর তীরে
মনে হয় খেয়া ঘাটে ফেলে আসি যত বেহিসেবি ব্যস্ততা -বিষন্নতা আছে আমায় ঘিরে
ছন্দ আছে নদীর স্রোতে , কবির লেখায় , কোকিলের মিষ্টি সুরের গানে
খুঁজে দিতে পারো ছন্দে সাজানো জীবন লিরিক্স গভীর অনুসন্ধানে ?

-

"Ring out wild bells , Ring in the new"
Because 'New Year' has already arrived
With jovial fragrance and shimmering diamond dews .
This year , circumstances may appear so hard
Still say cheers to the zeal and happiness buried in your heart .
You , whoever is reading this,
May achieve all the flying colours of glory .
Correcting all the mistakes , let's compose a new story .

-

ছন্দ কখন ছেড়েছে সঙ্গ , কলম আজ বড্ড অসহায় ।
অবাধ্য অনুভূতির ভিড়ের মাঝে -আমার সেই পুরোনো আমিকে খুঁজবো কোথায় ?

-

কবিতা আমার সন্ধ্যা আরতি স্তব্ধতা যখন আঘাত হানে
ঘুরে দাড়াতে শেখায় , অসীম দুর্দশা আর চরম অভিমানে
কবিতার অন্ত্যমিলে পাই স্ঞ্জীবনী
তাই আবেগ দিয়ে যত্নে রাখি আমার কলমখানি ।

-

বাবার কাছে জেদ করে ওই রূপকথার গল্পগুলো আবার শুনে নিতাম
স্কুলে দরজার গেট থেকে হাত বাড়িয়ে সেই বরফ আইসক্রিম কিনে খেতাম ।
একটা বেঞ্চ দুইদিকে বন্ধু দুইদল আড্ড আবার জমে যেত বেশ ,
খাতার পেছন পাতায় হিজিবিজি খেলায় সময় হত শেষ
আবার আমরা নিত্যনতুন টিফিন আনতাম মায়ের কাছে অনেক আব্দারে
অট্টহাসি অনেক বেশি , শুনে টিচার হনহনিয়ে আসত তেড়ে
সত্যিই যদি শৈশব আসে ফিরে
আবারও খুশি হয়ে যেতাম বর্ষাকালে গঙ্গাফড়িং দেখে
মেতে উঠতাম কাঠবেড়ালির সাথে লুকোচুরি খেলায় সব কাজ ফেলে রেখে
শুয়োপোকা থেকে প্রজাপতির অলীক রূপান্তরে , আবার জাগত বিস্ময়
পূজোয় ঘুরতে বেড়িয়ে রংবেরং এর বেলুন কিনে আনতাম না হয় ।
ভাসিয়ে দিতাম কাগজের নৌকা একটু জল জমলে
সহজপাঠ পড়তে বসতাম দিনের শেষে সন্ধ্যাবেলা হলে ।
ফুরিয়েছে সে সময় , এগিয়ে গিয়েছি আয়ুরেখা ধরে
তবে আমি হন্য হয়ে রোজই খুঁজছি রূপকথার সেই জাদুকাঠি
যদি পাই তবে সময়ের গতি দেব উল্টে ,
ফিরব না আর হারিয়ে যাব সেই শৈশবে ।

-

তোর আদরে সব অসুখ সাড়ে তাই , হাত বাড়ালে শুধু তোকেই আমার চাই । ❤

-

এই রে অসময়ে বৃষ্টি শুরু হল , ছাতাটাও আজ সঙ্গে নিতে ভুলে গেছি ।
তো ? তাতে কি ? ক্ষ্যপি ,আমার কাছে ছাতা আছে ।
চল , চল কলেজে দেরি হয়ে যাবে ।

-