বৃষ্টিপাতের এ মরশুমে
ঘনিয়ে আসে মেঘ আকাশে,
নিবিড় কালো গগন ভেদে।
ঝড়ো হাওয়া বাধ মানে না
অবাধে বয়েই চলে অবিরত।
কেউ করে না বারণ তাদের ,
এদেশ থেকে ও দেশে যায়,
মরে না ভেদাভেদের জ্বালায়,
এই কি তবে জীবনের নিয়ম ?
কোথাও খরা কোথাও বন্যার ধুম!-
⬇
ক্রিয়েটিভ এবং এমবিভার্ট
⬇
🄵🄾🄻🄻🄾🅆
সমন্বয়ের মতিভ্রম
•••••••••••••••••••••••••••••
(সম্পূর্ণ লেখাটি থাকছে ক্যাপশনে)
লেখা:- সৌমি-
এজন্মে তো নাও পাওয়া হতে পারে,যা কিছু হয়নি পাওয়া,
যা কিছু চেয়ে বা না চেয়ে পেয়েছি সে আমার বড়ো আল্লাদের!
তবু জীবনের তো নিশ্চয়তা নেই কোনোদিনই,
আগামী জন্মে আর একটু প্রাপ্ত বয়স্ক হলে আমাদের আবার পরিচয় হোক।
ছেলেমানুষি ছাড়া ভালোবাসা হয়না, তবে ওসব আজগুবি কথায় বিশ্বাস আমার একতরফাই।
ওতো বুদ্ধিমতী বা বুঝদার আমি কোনোদিনই নই, তবে চেষ্টা করি হওয়ার।
এখন তো বারবার ভাঙে মন, কোমল আছে তাই;
সামনেরবারের মধ্যেই পোক্ত করে নেবো, সেবারও সাহস করে চেষ্টা করবে আমাকে ভালোবাসো বলার ?
তখন কিন্তু আমি একবিংশ শতাব্দীর যুবতী নই আর!
হবো আদ্দপান্ত কঠিন হৃদয়ের মহিলা বা হব হৃদয়হীনা।
কি হে...চলবে তো ?
এজন্মে যদি সঁপে দিই ঠিক তোমার পছন্দ মতো কারোর হাতে, খুশি হবে তো ?
আর কোনোদিনও আবদার, অধিকার, ভালোবাসা, আদরের ভিক্ষার পাত্র নিয়ে বিরক্ত করতে যদি হাজির না হই ?
শুনেছি পুরুষের গায়ে কোনোদিন কলঙ্কের ছাপ থাকে না, যদি কিছু থেকে যায় তাহলে তোমার কলঙ্কের সব দাগ আমার হোক, স্মৃতি হিসেবে যত্নে রাখবো।
আমার মেয়াদ বহুদিন আগেই ফুরিয়েছে, আমি বোকা, বুঝতে দেরি করে ফেলেছি।
-
আত্ম সংজ্ঞাটি
কলমে- সৌমি ঘোষ
_____________________
আমিই কি যথেষ্ট 'পাষণ্ড' শব্দের সংজ্ঞার জন্য ?
শুধু প্রতিবার মন ভাঙার পরে
আবার পোক্ত করে হৃদয়টাকে মেরামত করি বলে,
একটুকুই কি হৃদয়হীনের তকমা দেবে নাকি আমাকে!
আমি ওতো দুর্বল নই,
শুধু নিজেকে আত্মস্থ করিয়ে দিই প্রতিবার মন ভাঙলে কাঁদতে নেই,
আবার একটু অন্যরকমভাবে নিজেকে একটু গুছিয়ে নিতে হয়
ঠিক যেভাবে সপ্তাহের শেষে নিপুন হাতে
পরিপাটি করে রাখিস বইয়ের তাকটা।
আমি চুপ থাকতে ভালোবাসি বরাবরই,
ভয় হয় সত্যিটা মুখের উপর বলে দিলে
হয়তো সম্পর্ক গুলোর খুব সহজেই ইতি টানা হয়ে যাবে,
তবুও নিজেকে ভালো রাখতে বলেছি অনেকবার,
প্রেমিকের কথার ভুল ও বানান ধরিয়ে দিয়েই বুঝি
আবার একলা হয়ে পথ হাঁটতে হবে;
এসব ভয় আর হয়না।
আমি তেমন উড়নচন্ডী নই,
তবে সুযোগ হলেই দৈনিক পিছুটান কাটিয়ে
নিরুদ্দেশ হতে ইচ্ছে করে একা,
নির্বিকার মুঠোফোনের বিশ্রী শব্দ ও সময়ের হিসেব ভুলে যাই।
ওই আর কি, আমি আমার মতো,
সংজ্ঞাহীন, নারকেলের সুপ্ত শাঁসের মতো।-
শেষ অশ্রুবিন্দু
কলমে: সৌমি ঘোষ
___________________
ওই তরুণী ভীষণ জেদি, লোকেও বলে,
স্বজন বন্ধু সবার চোখেই একরোখা,
নিয়েছি তার মনের খবর অকারণে
কায়দা করে মুঠোফোনেই খামোখা।
সে সময়ও একই ব্যাপার, গোঁয়ারগিরি!
অচেনাকে নিজের কথা বলবেন কেন ?
বুঝিয়ে সুঝিয়ে জানতে পারি
অনেক ধারালো পাথর হতে
মেহনত তার ইয়া বড়ো!
তোষামোদের অভাবে যেসব হারিয়ে যাওয়া বন্ধুরা,
সঙ্গ ছাড়লো, তরুণী খানিক কাব্যমুখর তাই।
অবাক হলাম!
এই কি শুধু একরোখামীর আসল কারণ ?
শুধু এইটুকু নয়, আরও আছে নানান কিছু।
অসময়ে আসা উটকো আরও বন্ধুরা হাত ছাড়লো,
কারণ তাঁদের মতো হুল্লোড়ে বাঁচতে অক্ষম তরুণী।
প্রতারিত হয়, আবার বিশ্বাস করে,
আবার কিছু কথায় মনটা ভেঙে চুরে
খানখান হয়ে যায় কাঁচের মতো,
নিজের হাতে রক্তক্ষরণের ভয় উপেক্ষা করেই
জোড়া লাগাই ভয়ে ভয়ে আবার ভেঙে যাবে নাতো ?
অন্তরালে ধবধবে মনের আঁচলখানা পুড়ে ছাই প্রায়,
অতঃপর নিজেকে বাঁচিয়ে গুটিয়ে নেওয়া,
এবং শেষটায় আবারও বুকে সাহস নিয়ে
ঝরে পড়ার ঠিক আগের মুহূর্তের শেষ অশ্রুবিন্দুটিকে
আর কখনোই মাটিতে পড়তে দেওয়া হয়না।
মনের ভীত শক্ত করে এগিয়ে যায় তরুণী।
বাঁকা চোখের বিদ্রুপ ও বিরক্তি উপেক্ষা করেই
ওঁরা দিব্যি বেঁচে থাকে নিজের বলয়ে।
( সময়কাল- ১৪ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ / ২৮শে মে ২০২৪ )-
সুন্দর হলেও ঠুনকো ভীষণ
কালকে চূর্ণ হতেই পারে, নেই ভরসা।
রোজ শিখি কত কি,
এটিও তাদের মাঝে একটা;
দূর থেকে অনুপম যাহা,
কাছে গেলেই মিশে যায় বিলীনতায়।
-
রহস্য একটু থাক, সবটা প্রকাশ্যে আনার নয়,
ঠিক যেমন থাকে শুকনো ফুলের পাপড়ির মতো অনেক দামি স্মৃতিরা ডাইরির পাতার ভাঁজে ভাঁজে অবচেতনে গুপ্তধনের মতো।-
According to me the age of ourselves is only physical age, it's not mental age. So if we stay pure and innocent, we're not getting old anymore. Forget the official age of your body and live happily.
~ 𝗦𝗼𝘂𝗺𝗶-
লেখা সাঙ্গ হয়নি মনে জমে থাকা দু-চার কথা অল্পে;
আলাদা তেমন কিছুই নেই তবু হলফ করে বলার আছে;
ওই একটু নিজস্ব শৈশব অভিজ্ঞতা, যার নেই বিকল্প;
আমাদের হুল্লোড়ে বিকেল ছিল, ছিল ঠাকুমার গল্প!
দোয়াতের দিন শেষ, বলা যায় প্রজন্ম প্রায় নিঃস্ব এখন;
রাত জুড়ে যান্ত্রিক উদ্ধামতায় হারিয়ে গেছে নব সংকল্প।-
এখন ঝকঝকে নূতনের আগমন,
নূতন বৎসর, নূতন ভোরের সোনালী গরিমা।
কেন তাকাবো পিছন ফিরে?
কি লাভ হিসেব করে কত কিছু পাওয়া হল না।
যা পেয়েছি ওইটুকুই নমি,
কত মানুষের জুটছে না তাই, বাঁচতে শুধু হাসিটায় দামি।-