They have to talk about you,
Because, when they talk about themselves,
Nobody listens...-
'ভালো আছি আমি' এটুকুই জানা থাক।।
*আরো বেশী জানতে follo... read more
ব্যাকস্পেসে জমে থাকা অপ্রকাশিত সত্যি কথার ভিড়।
প্রকাশিত হলে লাল-নীল পাখি বাঁধত গোলাপী নীড়।।-
থমকে দাঁড়িয়ে, পিছন ঘুরে একবার খোঁজ নিলে তো পারো।
ভয় করে, সে যদি ধরে থাকে হাত অন্য কারো।।-
আকাশকে বুঝিয়েছিল ওরা খুব করে
তুমি মহাকালের রাজা, সে সামান্য প্রজা,
তুমি ব্রহ্মাণ্ড বিস্তীর্ণ, সে গ্রহাণু সংকীর্ণ,
তোমরা এক জায়গায় মিলবে কী করে?
ওরা শোনেনি কথা, শোনেনি বাধা,
ওরা মিলে গেছে, ওরা মিশে গেছে রোজদিন।
সাগরকে ও বোঝালো তারা খুব করে
তুমি রত্নাকর, হরেক রকম কারবার,
সে বেকার, নির্বিকার, নির্লিপ্ত নিরাকার
তোমরা একসাথে পথ চলবে কী করে?
ওরা শোনেনি কথা, শোনেনি বাঁধা
ওরা মিলে গেছে, ওরা মিশে গেছে রোজ দিন।
কত সভা করেছে সভ্য বুদ্ধিজীবী
কত বিজ্ঞানী কাটিয়েছে রাত আধঘুমে
এই ভাবনায় কাব্য করেছে কত কবি,
"কীভাবে মিশে যায় বারি আর ব্যোমে?"
ওরা ছুটে গেছে সাগরের পাড় ধরে জোয়ারের টানে
উড়ে গেছে আকাশের বুক চিরে নিরুদ্দেশের পানে
তবু বোঝেনি কীভাবে ওই সমান্তরাল
মিলে গেছে, ওরা মিশে গেছে রোজ দিন,
এক দিগন্ত রেখায়
হলুদে লালে, কালোয় নীলে।
যেমন করে জাতে, ধর্মে, বর্নে ভারতীয়রা প্রতিনিয়ত গিয়েছে মিলে।।-
জেনে রেখো....
তোমরা যে গান গেয়ে
সবকিছু ভাঙার ডাক দাও...
সেই গান ও কিন্তু সুরে, ছন্দে বাঁধা।।-
সবাই এখন ইনজিরিম্যান, ভুল ইংরেজি বলে চটপট।
বাংলা জেনেও বলার বেলায় ভাষাটা বড্ড খটমট।
আমার মেয়েটা মডার্ন খুব ই, ওর বাংলাটা ঠিক আসেনা।
চলনটাও অন্যরকম, বোকার মত আবেগে আর ভাসে না।
আমার ছেলেটা পাগলাটে খুব বাংলা লিখছে দিনরাত।
কবি হবে নাকি, পছন্দ তার নুন দিয়ে রাখা জলভাত।
বুঝি দাদা কষ্ট আপনার, কি যে হবে ছেলেটার!!
কেন? ছেলে আমার এম. বি. এ পাশ মুগ্ধ হই ওর কবিতায়।
আমারও শৈশব কেটেছে বাংলা ছোটগল্পের মোড়ে,
এখনো ঠিক সময় করে পড়ে যাই উপন্যাসের ঘোরে।
মা বলার সুখ আর কিছু বলে পেয়েছ?
তীব্র বেদনায় কবিগুরুর গানই গেয়েছো।
মানুষ হয়েছি আমিও, হবেও আমার ছেলে।
তোমরা সবাই মূর্খ যারা মাতৃভাষার অসম্মানই করে গেলে।
বাংলা ভাষার পঞ্চম স্থান বলেছিল সব দৈনিক।
আমরা চলেছি, আমরা চলবো বাংলা ভাষার সৈনিক।।-
কত কথা জমা হয় রোজ,
টেলিফোন কেটে যায় রাতে।
ইগো আর ভালোবাসা খুঁজলে
তারা চলে ব্যাস্তানুপাতে।।-
বর্ডার এর গোলাগুলির শব্দ রিনি পাচ্ছে না। কিন্তু নিজের বুকের ধুকপুকানির আওয়াজ এ সে কিছুই শুনতে পায় না আজকাল। এই ডিসেম্বর এই ধুমধাম করে তাদের আট বছরের সম্পর্ক পরিণতি পেয়েছে। দু সপ্তাহ হলো সৌম্য ডিউটি জয়েন করেছে। তারপর থেকেই বর্ডার এ অশান্ত পরিবেশ। তিনদিন ধরে সৌম্যর সাথে কোনো যোগাযোগ নেই রিনির।পরশু রাতে শুধু মেসেজ পেয়েছে
"son ektu busy achi, koyekdin hoyto phone dhorte parbo na. Tension koris na, sabdhane thakis LOVE YOU Bye"
সেটা শুনে রিনির টেনশন আরো বেড়েছিল। হঠাৎ দূরের দিকে চোখ পড়ে রিনির দম বন্ধ হয়ে গেল, আস্তে আস্তে দরজার দিকে এগিয়ে গেল।একটা মিলিটারি গাড়ি এগিয়ে আসছে এদিকেই। পায়ের তলার মাটি যেনো রিনির হারিয়ে যায়। সে যেটা ভাবছিল সেটাই সত্যি? তাদের সপ্ন গুলো সপ্ন ই থেকে যাবে? এইসব ভাবতে ভাবতে গাড়ি টা তার বাড়ির দরজা পেরিয়ে এগিয়ে গেলো। বুক থেকে পাথর নেমে গেলো রিনির। গাড়িটার গন্তব্য তাহলে অন্য কোনো বাড়ি।-
বিষের উপর বিষ ছড়িয়ে বিষ কাটলো শেষে,
নতুন সূর্য দেখবে কি কেউ অমৃত একুশে??
-