ভালোবাসা মিথ্যা হলে তা ধরা পড়বেই।
-
এই ভালোবাসাটাও কত সুন্দর,
না আছে হারিয়ে যাবার ভয়,
না আছে কাছে পাবার ইচ্ছা,
বোঝার চেষ্টা নেই
তবুও আছে
বুঝে যাবার বিরাট আনন্দ।-
ম্যাম জানো আজ
আমার বাড়িতে গঙ্গা নদী হয়েছে।
বাবা, বাজে বকিস্ না, ক্লাসটা কর মন দিয়ে।
তাই গঙ্গা নদী হয়েছে?
নৌকো ছেড়েছিস্ জলে?
কিরে বল্?
কি রে কি হল?
.......................
......................
....... না।
আমি পারি না নৌকো বানাতে,
তাতে কী হয়েছে, আমি শিখিয়ে দেব।
তারপর একটা, দু টো করে
পঞ্চাশ টা নৌকো বানাবো।
ম্যাম 50 টা না, 100টা।
কেন ❓ 100 টা কেন ❓ বল দেখি?
আরে ম্যাম, তুমি বললে তো
100>50 ভুলে গেলে 100 যে বেশি গো।-
কলি যুগ খুব তাড়াতাড়িই চলে এল।
খবরের কাগজ, টিভির শব্দ
আজ কান, মাথা, শরীরের বিভিন্ন শিরায় শিরায়
বিষাক্ত সাপের বিষ ঢেলে চলেছে,
দিনের পর দিন এই বিষের সবুজ রঙ হয়ে চলেছে
আরও ঘন সবুজ আর দূর্গন্ধময়।
সেই দূর্গন্ধে হাত ঢুকিয়ে
কলি মানব খুঁজে বার করছে
কাদার মোহর, কাদা মাখা সম্পত্তি।
শুনতে পারছো? -----তার নির্লজ্জ অট্টহাসি।
ওই যে তার দূর্গন্ধময় অট্টালিকার
পাশের ভাগার থেকে চারটে শকুনের বাচ্চা
খুঁজে বার করেছে একটা পোড়া মুরগীর ঠ্যাং,
বিদেশি কাচের বোতল আর একটা রক্তমাখা পাংশু।
নিষ্পাপ শকুন ছানা খিদের জ্বালায় বোঝেনি--
এটা যে ঘোর কলিযুগ!
.... সোনালী সাহা সরকার
-
এটা গল্প হলেও পারতো
পাতা একটা আধটা পড়তাম,
খুব লুকিয়ে বাঁচিয়ে রাখতাম তাকে................
-
সেই মেঘবালিকার গল্প হোক্, শহর জুড়ে বৃষ্টি হোক্,
রোদ্দুর হোক শুধু তাহার ডাকনাম।
পাতা ঝরা সব দুঃখ রা, কালবৈশাখীর মত মুখচোরা,
সব ভিজে যাক্, শুধু বেঁচে থাক অভিমান।
- Sonali Saha Sarkar
-
জীবনের ফ্ল্যাশব্যাকে গিয়েছিলাম,
অনেক পিছনে ফেলে আসা সময়ে।
দেখলাম আজকের আমি
আমার আমি চেয়ে অনেক পৃথক।
আকাশি নীল ইউনিফর্মে
দাড়িয়ে আছি বুলা দিদিমনীর টেবিলের ঠিক পাশে,
কম্পিত হাতে রয়েছে অঙ্কের খাতা।
বুকের ভিতরের কম্পন যেন বেড়েই চলেছে,
ঠিক তখনই দেখি সরস্বতী পূজায়
বেঞ্চে বসে গরম খিচুড়ি আলুর দম খাওয়া,
বাঁশের ঢীপ পেড়িয়ে পাঁচিলে উঠে বসে থাকা,
সন্ধ্যে সাতটা বাজলেই
ঘুমের দেশে হারিয়ে যাওয়া।
ইশ্ যদি এমন হত, চোখ খুলে দেখতে পেতাম
বাবা মা আজও পাশে বসে।
........... সোনালী সাহা সরকার।
-
বহুরূপী মৃত্যু বারংবার নেড়ে চলেছে কড়া,
ঢং ঢং ঢং, দরজা খুলে দেখি কেউ নেই,
সত্যিই কি কেউ ছিল?
না অদৃশ্য বাতাসের আর্তনাদ?
না সেই সুদূর প্রান্তের গুলিবিদ্ধ শিশুটি
জানাতে এসেছিল তার কষ্ট।
সকলের দরজায় তীব্র শব্দে
কড়ার শব্দ বাতাসে ভেসে ভেসে
ছড়িয়ে পড়ে এ দেশ থেকে ও দেশ।
মৃতপ্রায় শিশুটি ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে
আছে কড়ার দিকে।
সকলে দরজা খুলে দেখে,
মানুষ শূন্য পৃথিবীর বুকে ছুটে চলেছে
নিষ্পাপ সেই ক্ষুদ্র প্রাণ,
সঙ্গে রং বেরংয়ের পাখির দল
আর এক ঝাঁক প্রজাপতি।
সব লোভ, সব হিংসে, সব অর্থ,
গোলা, বন্দুক, ফেলে ভীত মানুষগুলো
ছুটতে থাকে শিশুটির সাথে।
জিতে যায় পৃথিবী ,
হারিয়ে যায় সব অন্ধকার।
......... সোনালী সরকার-
অনেক দিন বৃষ্টির দেখা না পেয়ে,
আবার পিছু পায়ে ছুটে গেলাম
সময়কে খুজতে অনেক পিছনে।
টিক্ টিক্ শব্দে আজও চলছে তার
ভগ্নপ্রায় ঘড়ির কাঁটা।
অদ্ভুত! একশত বছরেরও
বেশি তার বয়স।
তবুও টিক্ টিক্ টিক্ টিক্ করেই চলেছে।
আগের মতো চাঞ্চল্য না থাকলেও
তবুও ক্ষমতাহীন পাখি🐦 হয়ে
স্থিরভাবে চলছে তার
টিক্ টিক্ টিক্ টিক্ টিক্ টিক্ টিক্ টিক্ টিক্ টিক্।
-