'মানুষ'
মানুষ কোন পশু বা পাখি নয়,
যে ভালবাসায় পোষ মানবে।
মানুষ হলো মানুষ নামের এক ভয়ঙ্কর প্রাণী,
যে শুধু পোষ মানে..
অর্থ, স্বার্থ, সম্পদ ও প্রতিপত্তিতে!
-
কুয়াশাচ্ছন্ন শহর.....
খানিকটা ঠিক মানুষের চরিত্রের মতোই!
বাইরে থেকে সাদা ও সুন্দর মনে হলেও,
সামনে গেলে বোঝাযায় যে তার ভিতরে কত কি লুকিয়ে আছে।
-
প্রতিদিন, প্রতি মুহূর্তে..
একগুচ্ছ প্রশ্ন এসে ভীড় জমায়!
এলোমেলো করে দেয় সবকিছু,
খানিকটা অসময় আসা ঝড়ের মতো।
সেই জনহীন সৈকতে তুমি একাই নাবিক,
বিবেক-আবেক, মন-মস্তিষ্ক, হৃদয়ের নাকি সহানুভূতির!
কার ডাকে সাড়া দিবে তুমি?
সেটা তোমার একান্তই ব্যক্তিগত!
কিন্তু উথালপাথাল অনুভূতির ঢেউয়ে..
স্মৃতি যখন ভূমিকম্পের মতোই,
হৃদয়ে করে কম্পাঙ্ক সৃষ্টি!
দিশা কুল হারিয়ে তখন উৎকন্ঠিত জীবন,
পারেনা মিলাতে ঠিক ভুলের হিসেব!
চেতনা তখন ঘুমের ঘরে, বিবেক যায় হেরে,
মন আর আবেক নামেরে ছক্কা দিয়েই ....
জীবন প্রতিনিয়ত সাপ সিঁড়ি খেলে!
-
সাধারণ ভাবে জীবন সাজানোটা খুবই সাধারণ ব্যাপার,
কিন্তু সেই সাধারণ ভাবেই জীবন সাজাতে গিয়ে বোঝাযায় ..... আসলে 'সাধারণত্ব' শব্দটির মানে কতটা কঠিন!
✍️মূর্খ_মেয়ে-
সময়ের বাঁধনে বাঁধা প্রকৃতি ..
নানা রূপে মুসরমি সাজে।
জীবন গাড়ির নড়নড়ে গতি,
সেই রূপের মাফিক চলে।
গ্রীষ্মকালে তৃষ্ণার্ত প্রাণ,
জলের গ্লাস খোঁজে।
বর্ষাকালে বন্যা প্লাবন,
আতঙ্কে দিন কাটে।
শরতকালে পুজোর আমেজ,
আনন্দের মন নাচে।
হেমন্তের হালকা হীম,
শীতের পরশ মাখে।
শীত মানেই কুয়াশাচ্ছন্ন,
ঠান্ডায় হুঁশ উড়ে।
বসন্তকাল শুষ্ক ভীষণ,
তুবুও নতুন আশা জাগে।
✍️মূর্খ_মেয়
-
জীবন নামের খোলা বারান্দা এখন তমসাচ্ছন্ন,
মাকড়সার জালের মতো বৃদ্ধতা ঘিরে শুধু মৃত্যুর আসন্ন।।
-
ভালোবাসি একটি ছোট শব্দ,
তোমাকে বলতে চেয়েছি বারবার..
তবুও বলা হয়ে উঠেনি!
তুমি হয়তো বুঝেও বোঝনি,
আমি চেয়েও পারিনি বোঝাতে।
তোমার বলার ঝলে..
ভালোবাসার প্রকাশ ঘটলেও,
সেই ভালোবাসাটা আমার জন্য ছিলনা।
আমিও তাই ভালোবাসাকে বন্ধুত্বের নাম দিয়ে,
বন্ধুত্বটাকেই আগলে রাখতে চাই আজীবন।
-
হলদে পাতার গায়ে, লেগে আছে ....
শুকিয়ে যাওয়া গোলাপের চিহ্ন!
ভালোবাসার সাথে পাপড়িরা পচে গেলেও,
রয়ে গেছে তীক্ষ্ণ কাঁটা আর তিক্ত কিছু ক্ষত।।
-
আজও খুঁজে সেই প্রশ্নের উত্তর...
যেই ছন্দের সুতোয় বুনেছে মালা,
তা কি শুধুই কল্পনা নাকি বাস্তব ?
শব্দেরাও জানেনা, বোঝেনা তার অর্থ...
যেই ভাবানার অন্তরালে তার বহিঃপ্রকাশ,
সেই ভাবনা কি কবির একান্ত নিজস্ব?
একমাত্র কবিই কি জানে...
নাকি তাতেও আছে কোন সংশয়,
তাঁর লেখা কবিতা কতটা সত্য আর জীবন্ত!
-
ঝাঁটা (অণুগল্প)
______________
সকাল সাড়ে ছয়টা হবে, তনুজা দেবী প্রতিদিন মতোই নিজের দৌড় অভ্যাস শেষ করে বাড়ি ফিরছে, এমন সময় দেখে বনিকদের রামু নামের চাকরটা বাড়ির গেটের সামনেটা ঝাড়ু দিয়ে ঝাঁটাটা বাঁ দিকে গাড়ীর ঘরের কোণে ছুঁড়ে রাখলো।
ঝাঁটাটি ওইভাবে রাখতে দেখে তনুজা দেবীর মনে খুবই কষ্ট হলো। তিনি ঝাঁটাটির সামনে গিয়ে দেখলেন, ঝাঁটাটির কয়েকটা কাঠি ভেঙে সামনেই পড়ে আছে। তিনি ঝাঁটা তুলে আলগা করে দাঁড় করিয়ে বললেন - "তুই যদি আজ ঝাঁটা না হয়ে কোন দামী মূল্যবান জিনিস হতিস, তাহলে এই সমাজে তোর অনেক সম্মান আর দাম থাকতো। কিন্তু, তুই হয়েছিস গিয়ে এক সামান্য ঝাঁটা... তোর আবার সম্মান কিসের! তোর অবস্থা ওই মধ্যবিত্ত পরিবারের পুরুষটির মতো। তিনিও যতক্ষণ পর্যন্ত সংসারে খাটতে পারে, সকলের চাহিদা পূরণ করতে পারে, ততক্ষণই তার পরিবারের লোকজনের কাছে আদর।"
-