খোলা হাওয়ায় লেখা এক চিঠি,
যার শুরুটা হয়তো বা অভিমান...
শেষ পংক্তি আবার গুছিয়ে নেয়,
পাল্টা হাওয়ায় লুকোনো কোনো খাম!-
তিলোত্তমা আজ ধুঁকছে কেবল বিরহের জ্বরে,
প্রেমের কবিতা হয়ে মিশছে ময়দানের দুব্বা ঘাসে।
কংক্রিট কোণে লেগে থাকা ধুলোবালির মোড়কে,
যুক্তিগুলো ফের হারিয়ে যাচ্ছে, সাদাকালো এক বসন্তে।
অপেক্ষাদের আবরণ ছিঁড়ে ক্লান্তি বাড়ে পথের ভিড়ে,
ভুল বোঝা নামহীন প্রেমে, বাড়ায় ক্ষত মেঘলা আকাশে।
মধ্যরাতে শহর জুড়ে বেঁচে থাকা হলুদ-নীল আলোয়,
যন্ত্রনাগুলো শান্তি খোঁজে, শেষ সীমানায়, ছদ্মবেশে।
-
নামহীন স্মৃতি গ্রাস করেছে মনের ঘরে,
মূহুর্তগুলো বিলীন আজ অন্তরালে।
অসীমের কাছে আটকাবে দৃষ্টি,
গহীন অন্ধকারে দিকহীন সম্পর্কের ইতি।
চোখের পর্দায় মেলেনি সর্বত্র সমীকরণ,
প্রতিবিম্বে কেবলই মিথ্যে হাসির বিবরণ।
অজান্তে রাতের শীতলতা ঢেকে দেবে তিলোত্তমাকে,
হারাবো আমি প্রবাহিত জনস্রোতের আড়ালে।
-
নিঝুম রাত,
ক্লান্ত শহর,
এলোমেলো হাওয়ার পরশ;
আনকোরা মন
শুধু জেগে রয়।
-
মায়া জড়ানো বিকেলগুলো,
জুড়ে নেব আজ তোর সাথে।
কখনো বা অস্থির চুলগুলো,
এলোমেলো হোক তোর আবদারে।
গুঁড়ো গুঁড়ো সোহাগের আঁচে,
স্বপ্ন সাজাই প্রেমের শহরে।
পথ চলবো হাজার মাইল,
এই নীল আকাশের বুকে।
আমি বৃষ্টি হয়ে ছুঁয়ে যাব,
অবাধ্য দুটো ঠোঁটের ভাঁজে।
গল্পেরা সব এভাবেই থাক,
নাম না জানা পাহাড়ি ডাকনামে।-
বিদ্যুৎবেগে বেড়ে চলেছে,
যৌন হেনস্থা দিকে দিকে।
ট্রেন হোক বা বাসে,
নর খাদকের শিকারী বহু মেয়ে।
স্তনের বিভক্তির বৃদ্ধির সাথে,
যাদের সংকুচিত মন সুযোগ খোঁজে,
একা অথবা যৌথ উল্লাসে, তারা
পশুর জাল বুনছে যুগে যুগে।
তুমি হয়তো সভ্য নাগরিক,
তুমি এসবের কি বুঝবে?
তোমার চোখে পোশাকের মাপ,
বড্ড বেশি চোখে লাগে!
তবুও তুমি প্রতিবাদী আজ,
মুঠো ফোনেই তোমার রক্ত ঝরে।
লোক দেখানো স্ট্যাটাস দিয়ে,
তুমি এড়িয়ে যাও নীরবে।
তোমার ঘরে ছোট্ট মেয়েটা,
বাড়ি ফেরে তো স্কুল বাসে।
বুকে হাত রেখে বলতো পারো,
সেও নিরাপদ এই সমাজে?
হয়তো কোনোদিন এই আগুন,
স্থান নেবে তোমারও ঘরে।
গর্জে ওঠো তাই সবার সম্মুখে,
না হলে একদিন সব হারাবে।-
দোষারোপ করে না শব্দেরা আজকাল,
মৃত ইচ্ছেদের নেই কোনো রূপকথার দেশ।
স্বপ্নপূরণের লড়াই লড়েছে যারা এতকাল,
শ্মশান তাদের আশ্রয় নয় শেষমেশ।
পাখিদের কোলাহল মুছে গেছে এই সাম্রাজ্যে,
নুড়ি-পাথরগুলো আক্ষেপ জমায় না বোধহয়।
মেঘেদের অবজ্ঞায় আকাশও দিনের শেষে,
ডাইরির ভাঁজে ক্ষত লিখে ক্রমাগত ধূসর হয়।
আমি অতীত ঘেঁটে বরাবর কী বা পাই?
সেই তো কেবল স্মৃতি নিয়ে কাটাকুটি খেলা।
লাভ-ক্ষতির হিসেবহীন অজানা ধোঁয়াশায়,
প্রেমিক মনের ভালোবাসা হয়তো এখনো তাজা।
-
দিগন্ত জুড়ে মেঘের ভেলা
আকাশের রূপকথায়,
শ্রাবণ ধারায় ভিজলে শহর,
কবিতারও অনুতাপ হয়।
আপন মনে প্রকৃতি হাসে,
ঘাসের বুকে শিশিরের আশ্রয়।
নদীর সাথে পাল্লা দিয়ে,
খুচরো পাথরের চলছে প্রশ্রয়।
গোধূলি আলোয় মনখারাপ জাগে,
বিদায় ঘটে আর একটা দিন।
টুকরো টুকরো প্রাপ্তিগুলোয়,
ইচ্ছেরা আজ স্বাধীন।
-
মানুষ পুরোনো দিনগুলো ভুলেই যায়,
অবিশ্বাসের ভগ্ন পাহাড় সামনের এসে দাঁড়ায়।
চেনা চিরকুট পড়ে থাকে উপেক্ষাতে,
ক্লান্ত পথিক শক্তি হারায়, রুক্ষ ভূমিতে।
কখনো মেঘ জমে থাকে চোখের কোণে,
পুঞ্জীভূত শোক জমাট বাঁধে নীরবে।
নাছোড়বান্দা বিকেলগুলো স্মৃতির পাতায়,
খুচরো অতীত জমা রেখে যায়।-