অন্তরঙ্গতা । শুভ সরকার
....................................
একটা অসম্পূর্ণ অন্তরঙ্গতা বারান্দা দিয়ে ,
পথ ঘাট বেয়ে ঘুম বেচে আসে বোবা ছেলে ।
শান্তির দেবদূত হয়ে সে চেয়ে থাকে আমার দিকে ,
পোড়া কালি মাখা পথ চলতে গিয়ে অন্ধকার নেমে আসে !
মরচে পড়া সময় একটা অস্থিরতার দাগ ফেলে গেছে ,
মরা কোষ , শুকনো পাতায় আগুন জ্বালিয়ে দেয় ,
হলদে রঙের উপরে সন্ধ্যে গড়িয়ে এলো !
বাবার দেওয়া ঘড়ি ছুঁয়ে হেঁটে গেছেন স্বয়ং ঈশ্বর ।
আমিও বোধহয় বদলে যাবো ;
তাকে না পাওয়ার রঙ বদল দেখে !-
B.Tech in Mechanical Enginee... read more
আমার হাতের তালুতে তোমার পায়ের রেখা,
একটা ছবি, আবছা।
তুমি ফেলে রেখে গিয়েছো—
আমি দেখিনা, তোমার পছন্দ করা
আমার সেই জামা’তে মুড়ে রাখি।
একটা তীব্র অভ্যাস গড়ে উঠেছে—
হাতের তালুর দিকে তাকিয়ে থাকি।
খেজুর গাছের নিচে কিছু শালিকের ঝাঁক—
তাদের চোখে-মুখে অশুভ সংকেত!
এবার মুক্তি প্রার্থনা করি আমি—
শেষ হয়েছে।
তুমি কখনও ফিরে এলে দেখবে—
হাতের তালুতে তোমার পায়ের চিহ্ন পরিষ্কার।
শুধুমাত্র তিলে তিলে ক্ষয়ে গেছো—
তুমি।-
She stood beneath the moon.
Her saree flowed like a river.
The night forgot to breathe.
The moonlight kissed her skin.
Stars paused in awe.
Even silence fell in love.
She smiled without a word.
Her eyes spoke poems.
My soul listened quietly.
The breeze touched her saree.
It danced with grace.
The moon watched, enchanted.
In that silver glow, she shimmered.
My world stood still.
Love wore a saree tonight.-
উবু হয়ে বসে থাকি, সময় বেয়ে পড়ে ভাতের
ফ্যানের মতো,
কুঁড়ে কুঁড়ে খায় ভিটের চৌকাঠ।
একমুঠো রোদ বয়ে আসে খোলা জানালা বেয়ে,
আলগা আলো কিনারা ছুঁয়ে যায়।
তোমার ভাষা বুঝবো বলে নদীর জলে কান পেতে থাকি —
বুক কেঁপে ওঠে নীরবে ।
বাঁ দিকের শব্দগুলো পুড়িয়ে ফেলি
একটু শান্তির খোঁজে।
নিজেকে এখন খোলস মনে হয় —
যেন, একদিন সবটা জুড়ে
অরন্য বসবাস ছিল।
আজ কলমের দাগে আবছা হয়েছে সব ,
শুধু দেখি — লালচে পাহাড়ে মিশে যায়
আমাদের তুলো তুলো আদর ।-
আমার হয়ে রোজ একটা ছেলে বাড়ি ফেরে
প্রতিদিন মৃত আত্মার সাদা চাদর মুড়ে
ঘুরে বেড়ায়, নগ্ন নিঃসঙ্গতার অলিন্দে।
আমি দেখি সময়ের গায়ে পচন ধরতে,
তবু তাকিয়েই থাকি,
যেন অন্ধ চোখে ঈশ্বরের ছায়া খোঁজার ক্লান্ত সাধনা..
সেই ছেলেটার অবয়ব জুড়ে
চিহ্ন থাকে শুধু, তার মানে থাকে না।
আমার ভিতরে কেউ একজন,
প্রতিদিন প্রশ্ন তোলে —
এই 'আমি' কি কেবলই কষ্টের এক মুখোশ ?
না কি বেঁচে থাকার নামে নিরন্তর এক পলায়ন ?
ঘড়ির কাঁটা তিল তিল করে পুড়িয়ে ফেলে
মুহূর্ত, একটা করে স্বপ্ন বাসস্থান হারায় ,
সেই ছেলে আর আমি দাঁড়িয়ে থাকি,
একান্তে, নিজেরই ছায়ার সীমানায়..
সে কি আমি ?, নাকি কালপুরুষ !-