অবশেষে, যা ছিল উর্ধ্বমুখী সরলরেখা
দিন ফুরোলে বিশ্রামহীন বৃত্ত ধারণ করে।
রোজকার খাওয়া-পরার হিসেব মিলে গেলে
ধীরপায়ে আদিম যুগে হেঁটে চলি;
মুকুট পরে- আভরণ ছেড়ে,
ডাক দিই, 'মৃত্যু, অনেকটা পথ যে, রওনা দিতে হবে'।
-
তবে দেওয়াল গুলো ভেঙে যায় হঠাৎ
(If the roof of everyone is a singl... read more
নদীর বুঝি তেষ্টা পেতে বারণ?
গাছের পাতায় পড়তে নেই ছায়া?
বিলিয়ে দেওয়ার শুরু যেখান থেকে, নিজের ভাগে যায় না কিছু রাখা!
-
শেষটা ঠিক কেমন হয়?
মাঝপথেই হোঁচট নাকি পথের শেষে গন্তব্য
একটা স্বপ্ন দেখতে দেখতে ধড়মড়িয়ে জেগে ওঠা?
শেষটা কি ঠিক শুরুর মতই?
প্রত্যাশাদের কারচুপিতে যা কিছু অপ্রত্যাশিত
ভাবনা ধরে লিখতে লিখতে অকারণে কেটে ফেলা?
আমার শেষটা কেমন হবে?
শুরুটাই বা কেমন ছিল?
অবৈতনিক অটোকারেক্ট
সবটাই যে গুলিয়ে দিল!
বরং গোছাই এই রাতটা, বরং ভাবি কেমন আছি
খোলামকুচি এই 'আমি' টা আজ রাতটাই ভালোবাসি।
আমার শুরু নির্ধারিত, আমার শেষটা ধূমকেতু
সাধারণত, বিশেষ করে রোজই কাঁদি রোজই হাসি!
-
হঠাৎ
ঘুম ভেঙে কোনো কিছুর খোঁজ করাকে যদি 'টান' বলা যায়-
তবে, অপেক্ষামান রাত জাগার ডাকনাম কি?-
তুমি এমন ছাপোষা ভালো থেকো, বদলে গেলে কান্না যেন পায়
এমন করেই আগলে থেকো সেদিন-
দুঃখ যেদিন জমাট বেঁধে যায়।
এই "তুমি" টা আমার বড়ো কাছের
এই "তুমি" টা বই বা প্রিয় কলম!
হয়তো বা সেই লাল জামাটা পুজোর
কিংবা ধরো রোজনামচায় তুমিই
আমার সেই আগলে রাখা মলম...-
আমি কবিতার শেষে তারিখ লিখিনি কখনও
আমার বারোমাস্যা-রা দেখতে হুবহু এক!
এক-একটা রাত কঠিন হয়েছে ভীষণ-
দৈনন্দিন ক্লান্তি; হয়েছে কাব্যিক-
হার হয়তো সাপ্তাহিক কিংবা মাসিক
তবু, নখের কোণে জমে থাকা ধুলোবালি
বারোমাস্যা-রা তার চাইতেও পুরনো!
চক্রবৃদ্ধি হারে বেড়ে চলা অসুখেরা
উজ্জ্বল কিছু আলোর থেকেও উজ্জ্বলতর অন্ধকার।
কবিতাগুলো ঘুরে-ফিরে একই থাকে
শব্দগুলো ঘুরে-ফিরে আসে যায়।
-
চলার খাতিরে হাঁটতে থাকা
হোঁচট খেয়ে গুছিয়ে নেওয়া
আজকালকার-রোজনামচার গল্প
সহজাত দুঃখ পাওয়া
হাসির কথায় ফাঁসির সাজা
আজকালকার-রোজনামচার গল্প
গল্প ছিল সেদিন অনেক
নীরবতার সমান্তরাল
আজকালকার-রোজনামচায়
হলুদ বিকেল বড্ড কাঁদায়...-
শুকতারার প্রথম ইচ্ছে তোমায় দিলাম, প্রিয়-
ইচ্ছেমাফিক, খসে পড়া তারাখানাও তুমিই নিও।
আমার ভাগে থাকুক খালি তোমার পাশে হেঁটে চলা-
আর একটা-দুটো তোমার নামের বিকেলবেলা,
আমায় তুমি কেবল একটা শেষবেলার সূর্য দিও।-
শতাব্দীর শেষে এসে বোধোদয় হয় ;
যেমন ছেলেবেলায় অঙ্কে শূন্য পাওয়ার পরেই হিসেব শিখেছিলাম।
হিসেব - সন্তর্পণে পা ফেলার
হিসেব - গা ভাসিয়ে না দেওয়ার।
শতাব্দীর শেষে এসে বোধোদয় হয় ;
হিসেবের ঘেরাটোপে নিজেকেই হারিয়ে ফেলেছি
চাহিদা, কেবল চাহিদা পূরণের তাগিদে, ভালোবাসা পড়ে রইল
হিসেবের খাতার বাইরে।
শতাব্দীর শেষে এসে বোধোদয় হয় ;
দেখতে চাইলে এই পৃথিবী যতখানি বড়ো
দেখতে পেলে পৃথিবী কেবল একমুঠো!
কাব্যিক রূপ-রসের প্রত্যাশার বাইরে এই পৃথিবী-
কেবল ছিবড়ে হয়ে যাওয়া প্রত্যাখ্যান!
তাই, রেখে যাই কিছু মুহুর্ত যা কল্পনার বড়ো প্রিয় -
ক্ষণজন্মা কবিকে, পৃথিবী, আগামী আলোকবর্ষে শব্দ ধার দিও।-