এখনও ঘটে ভিন্নভাবে
কিছু অচেনা রাতের আত্মপ্রকাশ।
বিভীষিকা মেশানো এক গভীরতা
নিয়ে চলে কোনো এক অজানা জন্মের একাকীত্বে।
যেখানে মানুষ বিষন্ন দেশের বাসিন্দা...
হঠাৎ করে কানে আসে এক পরিচিত স্বর,
কত জন্মের চেনা!
ঠিক যেন জন্মান্তরের স্রোতে অক্ষত এক বিভীষিকা।
তারপর শুরু হয় এক অপূর্ণ থেকে যাওয়া কথোপকথন।
শেষের আশায় গা ভেসে যায় তেপান্তরে।
কিন্তু হঠাৎ ঘটে বজ্রপাত!
শেষের গলিটা খুঁজে পেয়েও আবার হারিয়ে যায়,
কোনো এক অজানা জন্মের স্মৃতিতে।
আরো একবার অপূর্ণ থেকে যায় কথা গুলো।
আর অপূর্ণ থেকে যায়...
স্মৃতির রাস্তায় চলা আমার একলা অনুভূতির সারি।-
মন থেকে চিত্রশিল্পী🎨(জানিনা কতটা হতে পেরেছি)
মাঝে মাঝে ছড়িয়ে ছিটিয়... read more
যদি কখনো হারিয়ে যাই
পাহাড়ে খুঁজো আমায়।
ওই নদীটার ধারের ছোট্ট কুটিরে,
যেখানে রোজ এসে জমা হয় মনখারাপ।
যেখানে কাঁচের গ্লাসের নেশায় অভ্যস্ত ঠোঁটগুলো,
আর নিকোটিনে মগ্ন হাজার হতাশা।
যেখানে রাতকরে একরাশ বিষাদ নামে।
যেখানে হারিয়ে যায় কিছু বিষণ্ণতায় জমা জঞ্জাল।
তবুও সেখানে আলো বয়ে আনে আনন্দ!
ভোরের হাত ধরে আবার জন্ম নেয় স্বপ্নরা।
তাই মনে রেখো...
মনখারাপের ট্রাফিকজ্যামে যখনই হারাবে আমায়,
খুঁজে পাবে আবার নতুন করে;
একটুকরো পাহাড়ের বুকে ওই ছোট্ট বাড়িটায়।-
বিকেলের বৃষ্টিটা কেমন যেন আলাদা
এক অপার স্নিগ্ধতা যখন বস করে নেবে চারিদিক,
ঠিক তখনই কেমন যেন হুড়মুড় করে এসে হাজির হবে মেঘ।
কেমন একটা ফ্যাকাশে রঙের,
যেন নিজেই সব রঙ নিংড়ে ফেলে দিয়ে
সাদা কালোর মায়াজালে আটকে ফেলে আমাদের।
তারপর আসবে মন তোলপাড় করা হাওয়া;
যেন সব কষ্ট সে তখনই উড়িয়ে নিয়ে যাবে তার সাথে।
দিয়ে যাবে কিছু শীতল অনুভূতি...
আর কিছু মন কেমনের চিঠি!
চিঠি পড়ে মনকে আঁকড়ে ধরে বসতে যাবো কি,
কখন যেন চারিদিক শান্ত করে বৃষ্টি নেমে আসবে।
গাছেদের নাচটাও আস্তে আস্তে বন্ধ হবে।
এক স্নিগ্ধতার পথে হাঁটতে শুরু করবে তুমি,
হঠাৎ করে ঘটবে বজ্রপাত।
হাজার হাজার অভিমানের সার্কাস এসে জমবে একলা ব্যালকনির বুকে
এক কাপ চা আর নিকোটিনে হারিয়ে যাবো আবার।
হারাবে কত শত টুকরো টুকরো মন।
বেলা বোসের ফোন কল আর আসবেনা।
বৃষ্টি থামে সব শান্ত হবে আবার।
অন্ধকার থেকে আলোয় ফিরবে এই পৃথিবী।
বন্ধ হবে কিছু বাক্স, আবার হারিয়ে যাবে চিঠিগুলো।
আবারও একটা বৃষ্টির অপেক্ষায় দিন গুনবে
তোমার আমার মত হাজারো অপ্রেমিকের দল।-
শহরটা কত রঙিন, তাই না?
কত আনন্দ, কত উল্লাস,
চারিদিকে যেন খুশি বইছে বাতাসের সাথে।
কিন্তু যদি এই শহরটাও
আমাদের মত বলতে পারতো?
তবে কি সে চিৎকার করে বলতো?
বলতো এই বাসস্ট্যান্ডের কোণের
ছেঁড়া গোলাপের গল্পটা?
অন্ধকার গলিগুলো কি নির্ভীক হয়ে বলে যেত;
গভীর রাতের ওই আর্তনাদ গুলোর কথা?
সে কি বলতে পারতো ওই মেয়েটার কথা?
যার দেওয়া চিঠিটা আজও পরে আছে,
কোনো অচেনা গলির মুখে।
সে কি পারতো এক চিৎকারে
সেই ছেলেটার মাকে ডেকে আনতে,
যার হাতে আর বেশি সময় নেই।
সে কি পারতো প্রতি রাতের ওই
বেনামী কান্না গুলোকে পৌঁছে দিতে তার ঠিকানায়?
নাকি সে সব জেনেও চুপ করে থাকতো?
ঠিক যেমন আজ আছে।
সাদা কালোর রাংতা মোড়া
এক মিথ্যে কথার শহর।-
আকাশের গন্ধটা পেয়েছিলে সেদিন?
কেমন যেন এলোমেলো আবেগের সুর,
আনমনা বাতাসের চঞ্চল বিচরণ,
আর তারই সাথে ওই একলা নির্জন নদীর পাড়।
একটা দীর্ঘ আলিঙ্গন...
জামার ওই ভাঙ্গা বোতামটা ও মেখে নিয়েছিল তোর গন্ধটা,
অনুভূতিগুলোর মধ্যেও যেন তোর স্পন্দনের ছন্দ।
ঠিক যেন এক অচেনা শহর,
যার রাস্তায় হারিয়েছি বার বার, খুঁজেছি ঠিকানা।
তোর এলোমেলো চুলের ভাঁজে হারিয়েছিল
অসংখ্য নির্জন বিকেলের একাকিত্ব।
দূরত্ব সেদিন হারিয়েছিল তার ঠিকানা।
আমার শরীর জুড়ে বয়েছিলি তুই,
আর তোকে না ছুঁতে পারার অনুভূতি গুলো।
হারিয়েছিল বিকেলটা মিলনের সুরে,
কোনো এক একলা বিকেলের নির্জন নদীর ওই পাড়ে।-
আমরা তিনজন,
অচেনা রাস্তার মোড়ে,
কোনো এক অজানা রাত্রির বুকে;
না, আমরা কোনো ভিড় নই।
না আছে কোনো সঙ্গ, না কোনো প্রতিশ্রুতি।
পায়ে পায়ে জড়িয়ে পরা কিছুটা অগোছালো সুর...
আনমনা অচেনা রাস্তার জ্বলন্ত ল্যাম্পপোস্ট,
ফুটপাথ জুড়ে উত্তপ্ত অনুভূতির সারি,
তাকিয়ে আমাদের দিকে।
আবেগের হাট বসেছে চারিদিকে,
কিছু লক্ষ্য অপূর্ণ, একলা পান করে চলেছে,
বিষাক্ত নিয়ন আলোর আফিম।
তবুও হারিয়ে চলেছি আমরা অনিশ্চয়তায়।
আমার প্রতিশব্দ,
আমার ছায়া, আর
আমি...-
রাতের অন্ধকারে ওই গাছটাকে দেখেছো?
চুপ করে কেমন দাড়িয়ে আছে, কথাও বলছে না,
তবে কি সে এড়িয়ে যেতে চায় এই পৃথিবীকে?
তার কি এতটাই জেদ, এতটা অভিমান?
না, ভুল ভাবছো,
দিন পেরিয়ে রাত আসে রোজই,
সূর্য, চাঁদ, বর্ষা আর শরতের বুকে দাগ কেটে
সে শুধু দাড়িয়ে থাকে,
একলা, অগোছালো আর
এলোমেলো কিছু ভাঙ্গা টুকরো।
বালিশের সাথে অশ্রুদের বিনিমন প্রথায়
হারিয়ে যায় কাজলের শেষ চিহ্নটাও...
নিকোটিনের গলিতে সস্তা দরে নিলাম হয় স্মৃতিগুলো।
তবুও ওই দেখো, কেমন চুপ করে দাড়িয়ে আছে,
তবে কি... মৃত্যু?
হ্যাঁ, মৃত আমরা সবাই,
মৃত আমি, মৃত তুমি, আর মৃত এই পৃথিবী,
শুধু বেঁচে থাকার মুখোশ আর
রোজ একটু করে জীবনের অভিনয়...
সিগারেটের শেষ টানটা দিয়ে ঘরে চলে যায় মেঘনা🙃-
এসো বলি একটা একলা বিকেলের আত্মকথা,
কিছুটা আনমনা, আর কিছুটা এলোমেলো।
কখনো বৃষ্টি আবার কখনো গোটা আকাশ ঘিয়ে আসতো
কালো মেঘ,
সবাই ভাবত বিকেলটা বুঝি এরকমই হয়,
শুধুই কি বিষণ্ণতার ভিড় করে এখানে?
কখনো কি বসন্ত আসে না?
কখনো কি মন ভালবাসেনা কাওকে?
না, সবাই ভুল ভাবত।
বিকেলটা হয়তো শুধু ঐ একটুই ভালোবাসা চাইতো।
তারপর হঠাৎ একদিন ফেরার পথে
ক্লান্ত বিকেলটা পথ হারিয়ে ফেলে সন্ধ্যার কাছে,
হারিয়ে যায় একটা বেনামী সম্পর্কের বুকে।
তোলপাড় হয়ে ছন্নছাড়া বিকেল খুঁজে পায় তার গোধূলি।
আর তারপর,
আলিঙ্গন, একটা দীর্ঘস্থায়ী আলিঙ্গন,
বিকেল হারিয়ে যায় গোধূলির বুকে,
তারপর?
তারপরের গল্পটা?
আজও গোধূলির বুকে মাথা রেখে বিকেল আসে,
আর ছড়িয়ে দিয়ে যায় একরাশ ভালোবাসা।
-
আমি, আমি প্রতিবাদ,
সবার সাথেই একটু আধটু আমার সম্পর্ক,
প্রতিটা মানুষ, প্রতিটা সত্তা জুড়ে আমার বাস,
প্রতিটা মুহূর্তে, প্রতিটা অন্যায়ে আমি জেগে উঠি হৃদয়ে হৃদয়ে,
ওই তো সেদিন রাস্তায়, আছড়ে পড়েছিল মেয়েটা,
অ্যাসিডের দগ্ধ আগুনে ছারখার হয়েছিল হাজার স্বপ্ন,
সেদিন জেগে উঠেছিলাম, ভেঙে দিয়েছিলাম,
সমস্ত নৃশংস অপ্রেমিকের নোংরা হাতগুলো।
তারপর সেই যে সেদিন, ভিসুভিয়াসের মত জ্বলে উঠেছিলাম,
শিরায় শিরায় চালনা করেছিলাম আগুন...
কেঁপে উঠেছিল সমস্ত ধর্ষকের বুকও।
কিন্তু আজ?
কোথায় যেন হারিয়ে গেছি হঠাৎ,
হারিয়ে গেছি সোশ্যাল মিডিয়ার সার্কাসে,
হারিয়ে গেছি মোমবাতি মিছিলের ভিড়ে।
হারিয়ে গেছি বিলাসিতার ট্র্যাফিক জ্যামে,
হারিয়েছি অর্থ আর TRP -র লাইনে।
আর কি জেগে উঠবো না আমি কখনো,
মানুষের বুকে জ্বলন্ত মশাল হয়ে?-