অরিত্র অফিস থেকে ফিরেই আয়েশার ফোনটা পায়। পরিবারের অমতে প্রেম করায় আয়েশার বাড়ি থেকে তাড়াহুড়ো করে অন্যত্র বিয়ে আয়োজিত হয়। আয়েশা সেটা বরদাস্ত করতে না পারায় ফোনে অরিত্রকে একটা উপায় বের করার কথা বলে। অনেক রকম এলোমেলো সিদ্ধান্তের পর ঠিক হয় বিয়ের দিনই ওরা পালিয়ে যাবে। পরদিন অরিত্র গেস্ট হাউস সহ যাবতীয় প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা করে রাখে যাতে কোন সমস্যা না হয়। রাতের মধ্যেই দুজনে ফোন আর ভিডিও কলে সবকিছু ফাইনাল করে নেয়। বিয়েটা পরশু। তাই আগামীকাল সকাল বেলা অরিত্র কাজ সেরে বিকেলের ট্রেন ধরে রওনা দেয়। অদ্ভূত ভাবে সেদিন আর আয়েশা কোন ফোন বা মেসেজও করেনি। সকাল সকাল আয়েশার বাড়ি পৌঁছে চারিদিকের অত্যধিক থমথমে ভাবটা দেখে অরিত্র স্তব্ধ হয়ে যায়।
পাশ থেকে চাপা কন্ঠস্বর ভেসে আসে.. মেয়েটা যে পরশু রাতে গলায় দড়ি দিয়েছে।
-
At lest i don’t like ... read more
চাওয়া পাওয়ার হিসেবগুলো অনর্থক.. ওদের বিসর্জনের আবীরেই অধিক মানায়,
যোগ বিয়োগের গোড়ায় গলদ থাকলে কি আর সমীকরণের সমাধান মেলানো যায়?-
ভেবে দেখেছি কবিতাগুলো এখন নিতান্তই অপ্রয়োজনীয়
ওদের ভালো মন্দ বিচার করার মত ক্ষমতা আমার হারিয়েছে;
না বলা কথারাও মুখ গুঁজেছে স্মৃতিসৌধের আদিম দক্ষতায়
তুলাদন্ডে মেপে দেখেছি.. প্রণয়ের ওজনটাও যথেষ্ট হ্রাস পেয়েছে।
এখন প্রথা মেনে রোজ রোজ কারফিউ চলে আবেগের শহরের প্রতি পরতে
বিষন্ন মুহূর্তদের কবলে গভীরতা আরো দ্বিগুণ বেড়েছে হৃদয়ের মারিয়ানা খাতে;
ভালোবাসি এই নিরপেক্ষ সত্যটা সময়ের হাতছানিতে আগাগোড়াই বিলীন হয়ে যায়
উপসংহারের সীমানায় অবস্থিত মুমূর্ষ প্রেম.. তাকে যে উপেক্ষাতেই অধিক মানায়।-
ঠিক কতটা ভালোবাসি বোঝাতে গেলে আত্মঘাতী কলমের কালিতে নতুন করে মহাভারত লিখতে হবে,
পরের বার ফিরে এলে গ্রহণের মায়াজালে ঢাকা নিরাশার সীমান্তরেখায় আমায় খুঁজে পাবে।-
সুমধুর উষ্ণসান্নিধ্যে তমসার শয্যায় আলতো ছোঁয়ার একটু বাহানা
আবেগের বন্যাস্রোতেই মিশে আছে তোমার স্পর্শসিক্ত নেশার প্রেরণা;
অনিমেষ নয়নের পাড়ে ভিজে নেব যদি রাতের শরীরে শ্রাবণ নামে
লিখে যাবো বিবর্তনের প্রেম...উন্মত্ত হয়ে তোমার আধভেজা শরীরী ঘ্রাণে।-
হৃদয়ের কাব্যপিপাসায় যখন বিরহের অধিবাস
মিথ্যে প্রতিশ্রুতির প্রলেপে,
উন্নিদ্র অভীপ্সায় জমেছে অবিশ্বাস।-
কালবৈশাখীর উন্মাদনায় সিক্ত প্রেমের ব্যালকানিতে ঝরেছে শ্রাবণ,
বুকের বোতামে আটকা পড়া এলোমেলো চুলের তখন উষ্ণ দহন...-
মনকাননের একাকী প্রণয় বাসরে সেদিন
তোমার অভিমানী অশ্রুতে আমার অব্যক্ত শব্দেরা
অঝোরে ভিজেছিল লাজুক ওষ্ঠের নিদারুণ ফাগুনে;
তখন রজনী থমকেছিল নিস্তব্ধ প্রহরে
জ্যোৎস্না আলোয় মিঠে আতরের উষ্ণ সুবাসে
নিঝুম রাতের তাজমহলে আবার তোমার সংবিধানে,
লিখেছিলাম প্রেম প্রেয়সীর বেশে উপনীত হয়ে রাণীর আসনে.......-
অস্তমান সূর্যের অবর্ণনীয় উজ্জ্বলতা
আজও সাক্ষী আছে,
কিছু অনাকাঙ্খিত উপসংহারও
সুখকর হয়।-