🌹নব সূচনায় পরিভ্রমণ 🌹
বন্ধু মানে খোলা হাওয়া ,
মুক্ত প্রান্তর চিরসবুজ :
স্মৃতির আনাগোনা .
পুনরাবৃত্তি...... নতুন কবিতা
নীল খামে অধীর অপেক্ষায়,
সূচনা হয় নব অংকুর .
সন্ধিক্ষণ বয়ে চলে সময়ে ..
ফিরে আসে বারে বারে
২৪ শে মে শুভ তোরই জন্মদিন!
...... নীলাঞ্জনা-
আয় বৃষ্টি
ওই বৃষ্টির ফোঁটা আমার আকাশে চন্দ্রবিন্দু
কেন একটাও ছিটেফোঁটা
আসবেনা, যেখানে সবার রয়েছে সিন্ধু।
আমার খনন রয়েছে কূপ,
চারদিকে কোলাহল, জনরোষ
অল্প শীতলতায় ব্যাঙগুলো আদতেই চুপ।
ওদের হ্রদ, তাদের জলাশয়,
আরো অনেকের নদী।
আমার আকাশ লাল মেঘে ধূসর;
যজ্ঞ করে মেঘ আর বৃষ্টি আসে যদি
চাইনা ওদের নদীর ধারা,
ফুটো বালতির সারি।
আমার আকাশে সবুজ লাগাবো
তোমাদের রঙে আড়ি।
...🖋️শমণ।
-
#:মিথ্যে কবিতা: #
কোন বৈপ্লবিক অভ্যর্থনায় আমি জন্মায়নি!
প্রতিদিনের সম্ভাবনাকে দমন করে চলি আমি-- খুব সাধারণ।
কয়েকদিনের হাঁটাপথে ঘটে গেল বিপ্লব।
নীল আকাশের দরাজ প্রশস্ততা থমকে দিল,
বিপ্লবের বিস্ফোরণ লেজ গুটিয়ে
কোনেই পড়ে রইল।----আমি সেই-ই সুপ্ত।
হয়তো আমার লেলিন,--ভীরু কিংবা অনুতপ্ত;
পরিবর্তনের চেতনায় অনেক উই আর ঘুঁনপোকা
অতি সাবধানে শেষ করে 'শুভ' লেখা।
ক্ষয়ে যাওয়া সভ্যতার ধ্বংস স্তুপ
আমার মজ্জায়--বড্ড অস্বস্তি লাগে!!
কেউ না থাকার মুহূর্ত আমায় ব্যস্ত করে-বিলিয়ে দিতে।-
এখনো স্বপ্ন দেখি,একটা বাড়তি দুঃখের
নামের মাঝে, কুৎসিত টা সুন্দরের বিপরীত।
আবার বৃষ্টি হবে, আবার লাভ হবে তোমাদের,
বোঝাটা বাড়বে আকারে-প্রকারে, ঘনত্বেও।
তোমরা সঙ্গে নেবে না কাউকে ই।
আমরাও নেব না কিছু জনকে।
শুধু লড়বে যারা এই আনন্দের বিরুদ্ধে
তারা লড়বে শুধুই। চলবে সবই.....
লড়বো বৃষ্টির জন্য
লড়বো বৃষ্টির বিরুদ্ধে।
লড়বো আমার জন্য
লড়বো তোমার বিরুদ্ধে।-
অভিমানকে অলংকার করেছিলাম!
সেদিন মন্দিরে যাওয়ার পথে দেখলাম
মোমবাতির উষ্ণতা বিলোচ্ছে
আমার ভালোবাসারা, শীতের সমাধিতে।
কাল যেন কার জন্মদিন ছিল!
ফেসবুকে তো সে নেই! তবে?
অভ্যেস বড় বালাই!
বখাটে ছেলের মত একটা শুভেচ্ছার ঢিল আকাশে ছুঁড়লাম।
একটা সৌজন্য জিজ্ঞাসাই যথেষ্ট-
সবাই কেমন থাকি।
আমিও নেশা হতে পারতাম
রাতের অন্ধকারের মতো।
তামাকের ধোঁয়া কবেই গোপন হয়েছে
ধূনার কাঠিন্যে। অভ্যেস বড় বালাই!
অভিমানকে অলংকার করেই.......!-
~চুপ দাও~
স্লোগানের বোধহীন বিস্মৃতি
নিবন্ধীকৃত আমাদের আবর্ত
পূর্বোক্ত ব্যঙ্গ-প্রতিবাদী-শব্দগুলি
কথা বলার অভ্যাসে ছুটছে
চলেছে বিকৃতির গোপনে
সিন্দুকের ভালোবাসা হাড়ের কাঠামো,
আবদারের নিঃশ্বাসে হিমের পরশ
এতটাই আবেদনার্থী।
ইচ্ছেমতো পাঠক্রম বহির্ভূত শহর পাতাল-মুখী;
চাকরিজীবী ট্রেন তবু চলে দূরে
ঠেলাগাড়ি অনেক আগুন জ্বালে
পিচ আর ঘামের ঘর্ষণ।
কাটাকুটি তারের জটিলতা
একে ওকে কেটে চলেছে,
বিদ্যুৎ প্রবাহ যেমন চলেছে।
আমি বস্তুত্বের দড়ি দিয়ে গড়তে থাকি বাসা,
বাঁধতে থাকি ড্রেনের ধারে উপচে পড়া জল।
ওরা জানে পলিথিনে বন্ধ
অনেক অনেক মানুষের মুখ।
তবুও তো জালের পথ.....-
জানি, দৃষ্টিভঙ্গিটা যে যার মত।
যাওয়ার জন্য আশা বোধহয়।
বিসর্জন এর আয়োজনটাই,
সবচেয়ে বেশি আড়ম্বরের।
আমরা যারা হিসেব বুঝি,
সুখ হারিয়ে দুঃখ খুঁজি,
আবারো বুঝি আগমনটা বিলাস,
বিসর্জন টাই অভিলাষ।
-
আমার হাসিটা ক্রমে সমুদ্র হয়ে যাচ্ছে।
পাতাগুলো ক্রমশ হলুদ
অনেক বছর আগে সবুজ দখল করে থাকতো কিছু মাকু আকৃতির অবয়ব।
কারা যেন বালি ছুঁড়ে ছুঁড়ে আঘাত করেছে,
রক্তও বেরোয়নি আর ক্ষতও হয়নি,
একদিন আহত করার নেশায় দমবন্ধ করে দিল।
আমি সাঁতরেছিলাম, সবুজ দ্বীপের নেশায়,
পৌঁছে দেখলাম এরাও ধোঁকা দিয়েছে!
অনেক সবুজ দলবেঁধে কি যেন সাগর বানিয়েছে শৈবালের!!
বড় অবাক, পৃথিবীর সব জল নুন
মাটিও কেঁদে যাচ্ছে বহু যুগ।
তোমাদের প্রতি হিংসা সূর্যের মুখে হাসি দিয়েছে।
আমার হাসিটা ক্রমে পৃথিবীব্যাপী খরতাপে সমুদ্র হয়ে যাচ্ছে।-
🥀মনে পড়ে🥀
নিখিলের বাগিচা জুড়ে সবুজের গন্ধ বাড়ে রোজ,এখন বৃষ্টি দিন।
মেঘদূতের আবহাওয়ায় সূর্যের আলো পাওয়া কতটা কঠিন!
শৈশবের শুশনি,গুগলি,পুঁঠিমাছ আর ফেলে আসা তারুণ্যের বৃষ্টি রঙিন।-