প্রতীক্ষায় ব্যাকুল এই রাত কাটবে কি করে একা
হয়তো এই মিথ্যে শান্তনায় কাল যে হবে দেখা !
তোর ভাবনায় সুখের পারদ হিমাঙ্ক ছুঁয়ে থাকে
মরখারাপের 'খারাপ' টাকেও মন আড়াল করে রাখে।
-
প্রতিদিন ধর্ষিত হচ্ছে কতশত নির্ভয়া
কেউ বা বাজে নজরে ধর্ষণ করছে সবার অলক্ষে
কেউ অশ্লীল স্পর্শে ধর্ষণ করছে পাশের সিটে বসে থাকা মেয়েটাকে
কেউ বাজে মন্তব্যে ধর্ষণ করে যাচ্ছে মেয়েটাকে একলা পেয়ে
সব ধর্ষক কি শাস্তি পায়?
সব ধর্ষণ কি মানুষের নজরে পড়ে?
হয়তো জেনেবুঝে অন্ধ হয়ে যায় মানুষ ।
সেই মানুষই আবার বদনাম করে মেয়ের ছেলে বন্ধু থাকলে!
প্রতিটা ধর্ষণের সাথে সাথে একজন নয়,
ধর্ষিত হয় প্রতিটি মেয়ে মানসিকভাবে ।
কে বলেছে নির্ভয়ারা ভয় পায় না?
পায় সেই পিশাচদের অ্যাসিডের বোতল দেখে
কিংবা তাদের ওই ধারালো ছুরি দেখে।
ওই একটাই তো দুর্বলতা,
সবাই যে ঘুরে দাঁড়াতে পারে না ভয়ে।
নির্ভয়া আজও কাঁদছে বসে ঘরের কোণে!
সব ধর্ষক যে শাস্তি পায় নি আজও ।
প্রশ্ন শুধু একটাই "বদলাবে কি এই সমাজ"?-
কি হবে একদিন নারী দিবস পালন করে?
যেখানে বছরের বাকি দিনগুলো তাঁদের জন্য নয়!
তোমাকে "happy women's day" লিখে wish করা মেয়েটা কি সত্যিই happy?
মেয়ে হয়েছে বলে যার পরিবার জন্মের পরই তাঁর গলা টিপে দেয়।
ছোট্ট থেকে যার বড়ো পছন্দের মাছের পিস্ টা কেড়ে নিয়ে দাদাদের কে দেওয়া হয়।
যার কোনো অধিকার নেই নিজের মতামত দেওয়ার।
যাকে উঠতে বসতে মায়ের মুখঝামটা শুনতে হয় "শ্বশুরবাড়ি গেলে তোর কি হবে! ওরা তো কিন্তু তোকে মেরে তাড়িয়ে দেবে।"
বন্ধুদের সাথে ঘুরতে বের হতে চাইলে যাকে বলা হয় "বিয়ের পর যা খুশি করিস, এখন নয়।"
আর বিয়ের পর যাকে শুনতে হয় "বিয়ের আগে যা করেছ করেছ, এখানে এসব চলবে না।"
যাকে আজও মোটা টাকা পণ দিয়ে বিয়ে দিতে হয়। বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ির থেকে শুনতে হয় "বাপের বাড়ি থেকে কি আনলে?"
তবুও সারা পরিবার সামলে মেয়েটা সবার মুখে হাসি ফোটায়। তাঁর হাসির খবর কি কেউ রাখে?
দিনশেষে তাঁকে শুনতে হয় "সারাদিন বাড়িতে বসে বসে থাকো, কাজ তো কিছুই করো না।"
এই এতসবের পর এই একটা দিন women's day পালন করে কি কোনো লাভ হবে?
আগে নারীকে ভালো রাখতে শিখুন তারপর না হয় পালিত হবে happy women's day.-
আমার শিক্ষক
ভাবনাগুলি আসে যায়, শব্দেরা ভিড় জমায় ,
আবার হঠাৎ উদাস হয়ে একলা আকাশে ভেসে বেড়ায় ।
আজ হঠাৎ এই বিদায় বেলায়
এ মনের মণিকোঠায় ,
পুরোনো দিনগুলি হাত নাড়ায়
বান ভাসায় সাদা পাতায় ।
লাল পাঞ্জাবি পড়া, একমাথা কোঁকড়া চুল, চশমা চোখে, আর গাল ভরা দাঁড়ি।
প্রথম যেদিন ক্লাসে আসলেন ভাবলাম বিজ্ঞ মানুষ ভারী ।
দিনের সাথে সাথে ভাবনাগুলিও পাল্টে যায়,
বাড়তে থাকা দিনগুলি মানুষটিকে নতুন করে চিনতে শেখায় ।
খোলামেলা, খোসমেজাজি, গাল ভরা হাসি ,
শিক্ষক যেমন,দাদাও তেমন,বন্ধু পাশাপাশি ।
বেশ তো কটা দিন কেটেছে খুনসুটি আর ঝগড়াতে,
প্রিয় একটা বন্ধু পেলাম যে টিচার শুধু নামেতে।
তোমার শিক্ষা, তোমার ভাবনা রাখব করে যতন,
যদি কখনো teacher হই হব তোমার মতন ।
মান-অভিমান ঝগড়াগুলো হঠাৎ করেই মনে পড়ে,
বিদায় বেলার এই কান্না ভালবাসা টাই প্রকাশ করে ।
-
যদি জানতাম যে এটাই শেষ দেখা তবে তোমায় বলতাম আরো কিছুক্ষন থেকে যাও প্রিয়। হোক না বেলা, সন্ধে নামুক, টিউসন টা আজ না হয় কামাই করলেই বা ! যদি সত্যিই জানতাম আর দেখা হবে না শেষ বারের মত জড়িয়ে ধরতাম তোমায়, অশ্রুজলে খানিকটা না হয় ভিজতো তোমার বুক। 🙃 সেদিন না হয় শেষ অটোটা ইচ্ছে করে ছেড়ে দিতাম। হেঁটেই বাড়ি ফিরতাম না হয়! যদি জানতাম শেষ দেখা , তোমার হাতটা আর একটু জোরেই আঁকড়ে ধরতাম না হয়! সত্যিই আমি বুঝতে পারিনি তোমার সঙ্গে সেই আমার শেষ দেখা! কিছুক্ষন আরো না হয় রহিতে পাশে !🌼
-
তোমাকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন বুনেছিলাম ,
আজ যখন ঘুমটা ভাঙল
বুঝতে পারলাম
সত্যিই সেসব স্বপ্নই ছিল !-
জানো এখনো মনে পড়ে আমার,
যখন তোমার যোগ্য হয়ে উঠতে পারিনি বলে
তুমি আমার হয়ে উঠতে পারো নি!
হয়তো আমি সেদিন সম্পূর্ণ হয়ে উঠতে পারিনি বলে
তুমি আমায় সম্পূর্ণভাবে গ্রহণ করতে পারো নি ।
শেষবার দেখা হবার সময় যখন বলেছিলে
তুমি থেকে যাবে আমার সাথেই
পরিবর্তে সমস্ত সম্পর্ক ভাঙতে চেয়েছিলে,
সেদিনও আমি পারিনি তোমায় আগলে রাখতে
চাইনি তুমি এত লড়াই করে আমার হাত ধরো।
আসলে নিজেকেই তো সম্পূর্ণ করে তুলতে পারিনি সেদিন!
বলেছিলাম "বিয়ে করে নাও!"
আর একটা কথাও বলনি সেদিন
একবারও পেছনে ফিরে তাকাওনি!
কিন্তু তোমার গালটা যে সেদিন সিক্ত হয়ে উঠেছিল
আমার চোখ এড়ায়নি।
আজও এত বছর পর যখন তোমাকে দেখলাম
ঠিক সেই আগের মতোই আছো তুমি,
এখনো অভিমানী চোখদুটো আমার থেকে ফিরিয়ে রেখেছ
সেই চার বছর আগের স্নিগ্ধতা এখনো গায়ে লেগে
আজ আমি তোমার সরকারি চাকুরি করা বরের থেকে
ঢের ঢের বেশি উপার্জন করি!
কিন্তু আজও তুমি চাইলেও আমার হতে পারবে না,
কারণ তুমি যে
পণের হিসেব মেলাতে না পেরে ফিরেছ লাশ হয়ে!
সেদিনও আমার চিৎকারের সাক্ষী ছিল সেই বৃন্তচ্যুত বকুল ফুলটা,
সেই নদীর ধারটা
সেই মিটমিটিয়ে ওঠা সন্ধ্যাতারা !
আমি সেদিনও সম্পূর্ণ ছিলাম না
আমি আজও সবকিছু পেয়েও সম্পূর্ণ হয়ে উঠতে পারলাম না!-
বলিনি আমায় ভালোবাসতেই হবে
শুধু আমাকে ভালোবাসার সুযোগটুকু দিও।
আমার অভিমান ভাঙাতে পারো কিংবা নাই পারো
অভিমান করার অধিকারটুকু দিও।
তোমার আনন্দের ভাগ চাইব না কোনোদিন,
শুধু আমার মনখারাপি বেলায় তোমায়
আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরতে দিও।
এক পশলা কথা কাটাকাটির পর অভিমান হলে
আবার আমার কোলেই তোমার মুখটা গুঁজে দিও।
ভিড়ের মাঝে একা লাগলে
আবার আমায় অভিসারে ডেকে নিও।
দুনিয়ার সামনে পরিণত হলেও আমার সামনে
তোমার সেই ছেলেমানুষি টাকেই মেলে দিও।
আমি নাহয় স্নেহের পরশে তোমায় জাপটে রাখব।
কোনো এক নির্বাক রাত্রিরে যদি
একরাশ জমানো কথাগুলি বলতে ইচ্ছে করে
তবে আমায় জাগিয়ে রেখো সারারাত।
তার বদলে আমায় যদি কিছু দেবার ইচ্ছে হয়
না হয় একটি বর্ষমুখর বিকেল দিও,
হাতে হাত রেখে প্রাণভরে হাসতে দিও।
বড্ড অভিমানী এই মেয়েটা
তার ভালোবাসাকে আগলে রাখতে চায় প্রিয়।
আমার ছেলেমানুষিটাকে আঁকরে ধরে
আমায় নিজের মতো গুছিয়ে নিও।
আমায় তোমার মতো গুছিয়ে নিও।-
কত স্বপ্ন নিয়ে একটা সম্পর্ক শুরু হয়।"প্রথম প্রেমে পড়া"এই শব্দ গুলোর অর্থ বুঝে ওঠার আগেই হয়ত আমরা প্রথম প্রেমে পড়ে যাই। তাই বেশিরভাগ সময়ই প্রথম প্রেম টেকে না। প্রথম বা দ্বিতীয় বা তৃতীয় যেকোনো সম্পর্ক ভেঙে যাওয়া মানে শুধু দুটো মানুষ পরস্পরের থেকে আলাদা হয়ে যাওয়া নয়। এতদিন ধরে তিলতিল করে মনের মধ্যে গড়ে ওঠা সংসার ভেঙে যাওয়া। মানুষ টা হারিয়ে গেলে যতটা না কষ্ট হয় সেই সংসার ভাঙার কষ্টটা আরো বেশি। অদ্ভুত তাইনা! যে স্বপ্নগুলো একজনকে নিয়ে দেখা, স্বপ্নগুলো একই থাকে,শুধু মানুষটা বদলে যায়। আমরা মানিয়েও নিই, কিন্তু দিনশেষে যখন একা লাগে তখন সেই মানুষটার মুখটা ভেসে ওঠে। পুরোনো সেই অভ্যাস গুলো,সেই চেনা রাস্তার মোড়, সেই চেনা গান, প্রিয় ফুল, সেই চেনা নাম যেন বারবার কানে ফিসফিসিয়ে বলে ওঠে -"কত কথা বলা হল না প্রিয়!"..
? ..-